আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার আদমদীঘিতে সামিউল ইসলাম (১৯) নামের এক কলেজ ছাত্র আত্মগোপনে থেকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে তার বন্ধুর মাধ্যমে মায়ের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে নিজেই ফেঁসে গেছেন। আটক সামিউল রবিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় আদমদীঘি থানা পুলিশের কাছে নাটকের বিষয়টি স্বীকার করেন। সামিউল উপজেলার তিলছ সিতাহার গ্রামে প্রবাসী আব্দুল লতিফের ছেলে।
আদমদীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দীন জানান, সামিউল ইসলাম বগুড়া ওয়াইএমসি স্কুল এন্ড কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র। সে বগুড়া জলেশ্বরীতলা রাজ্জাক ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশুনা করে। সম্প্রতি বাড়ীতে আসার পর গত ১৮ মার্চ রাত ৯টায় সে নিজেই বাড়ী থেকে কাউকে না বলে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়। মোবাইল ফোন বন্ধ রাখায় তার মা বিজলি বেগম ও স্বজনরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি শুরু করেন। এমতাবস্থায় গত ১৯ মার্চ তার মা বিজলির ফোনে কল দিয়ে জানানো হয় সামিউলকে পেতে হলে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। এরপর বিজলি বেগম আদমদীঘি থানার শরনাপন্ন হলে পুলিশ সামিউল ইসলামকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু করেন। একপর্যায়ে ফোনে তাকে প্রথমে দুপচঁচিয়া ও পরে বগুড়াতে টাকাসহ আসতে বলা হয়। সে অনুযায়ি বগুড়ার ডিবি পুলিশের সহযোগীতায় মা বিজলি বেগম টাকাসহ স্বজনদের নিয়ে গত রোববার দিবাগত রাত ১২টায় বগুড়া রানার প্লাজায় উপস্থিত হন। সেখানে সামিউলের উপস্থিতি দেখে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর রবিবার সন্ধ্যায় আদমদীঘি থানায় সামিউল ইসলামকে হাজীর করা হলে নাটকের বিষয়টি স্বীকার করে সে জনায়, প্রবাসী বাবা টাকা না দেয়ার কারনে নিজেই তার বন্ধু আল-আমিনের সহযোগীতায় এই দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। প্রকৃতপক্ষে সে অপহরণ হয়নি টাকার প্রয়োজনে অপহরণ নাটকটি করেছে। এ ঘটনায় তার মা বিজলি বেগম কোন মামলা করবেনা বলে জানান।