নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার সড়কের কান্দুন মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া মোঃ নাসিরের পুত্র রাসেল ওরফে কসাই রাসেল দীর্ঘদিন যাবত মরন নেশা ইয়াবা, ফেন্সিডিল,গাঁজা, টাপেন্ডা, হেরোইন বিক্রি করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসনের চোঁখ ফাকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা মাদক ব্যবসায় এবং মাদকের ভয়াবহ ছোবলে ধংস হচ্ছে যুবসমাজ । মাদকের নেশায় লন্ডভন্ড হচ্ছে নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা। মাদকের ছোবলে অবিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে রয়েছে চরম উদ্বেগ- উৎকন্ঠায়।
গোপন সূত্রে জানা যায়,
মাসদাইর এলাকায় অবস্থিত বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের ঠিক অপরপাশে প্রকাশ্যে ফেন্সিডিল, টাপেন্ডা,গাজা, ইয়াবা বিক্রয় করে আসছে রাসেল ওরফে (কসাই রাসেল)। এছাড়াও মাসদাইরের বেশ খুচরা বিক্রেতার কাছে পাইকারি মাদক বিক্রি করে আসছেন তিনি।
গত বছরের বুধবার (১০আগস্ট) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার সড়কস্থ নুর ভিলা নামক একটি নির্মাণাধীন ভবনের নীচতলা থেকে ৪০০ পিছ ইয়াবাসহ মোঃ রাসেল কে গ্রেপ্তার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। পরে তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। তাকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছিল।
এছাড়াও ২০২১ সালের বুধবার (১৬ জুন) দিবাগত রাতে ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাটের পারুলির বাড়ির সামনের রাস্তায় অভিযান চালিয়ে এক নারীসহ মাদক ব্যবসায়ী রাসেলকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। পুলিশ জানায় গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ২০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
সূএ আরো জানায় মাদকের এই ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য রাসেল মাসদাইর বাজারের একটি রিকশার গ্রেজে আস্তানা তৈরি করেছে। এছাড়াও মাদক ব্যবসায়ী রাসেল অটোরিক্সা ও ব্যাটারিচালিত রিক্সার কার্ডের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। যার নামে শহরে চলছে শতাধিক অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাদক ব্যবসায়ী রাসেলের সেলসম্যানদের একাংশ বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের অপরপাশের গলির একটি নতুন ৫ তালা বিল্ডিংয়ের নিচে বসে থাকতে ও বিল্ডিংয়ের উপরে বারান্দার কার্নিশে বসে থাকতে।
এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন মহল বলেন, রাসেল দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। রাসেল সুপরিকল্পিত মাদক ব্যবসা করে আসছেন কিছু অসাধু ব্যাক্তিবর্গকে ম্যানেজ করে। মাদক নির্মুলে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ প্রায় সবাই জানেন তাদের ব্যাপারে কিন্তু তারা আছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্থানীয় কয়েকজন এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাইলে তাদেরকে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা নানাভাবে ভয় দেখিয়ে আটকিয়ে রাখে।
মাদকের ছড়াছড়ির ভয়াবহতা সম্পর্কে এক শিক্ষার্থী বলেন, এভাবে অবাধে মাদক ব্যবসা চলতে থাকলে মাদকাসক্তির হাত থেকে আমাদের রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। এ সকল মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ না হলে বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকা কোনোভাবেই মাদকমুক্ত হবে না বলেও জানায় এলাকাবাসী। মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের দাবি জানান মাসদাইর এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, এরা প্রশাসনের গতিবিধি আগাম জেনে যায়, তাই তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায় এবং মাদক সেবন ও ব্যবসা চালিয়ে যায় নির্দ্বিধায়। মাদক সেবন, মাদকদ্রব্য বিক্রি ও জুয়া খেলা যেসব স্থানগুলোতে দিন রাত চলে তা হলো বেগম রোকেয়া খন্দকার বিদ্যালয়ের ঠিক অপরপাশের গলির নতুন খালি ভবনে।
বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা জানান,তাদের ছেলেমেয়ে প্রতিনিয়ত বিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার পরে মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে ইভটিজিংয়ের স্বীকার হচ্ছে।