ঝিনাইদহ সংবাদদাতা :-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নলকূপের পানিতে ভাটার ইট ভিজে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ভাটা মালিক আব্দুল মতিন বিশ্বাসের ছেলের নাম ইমদাদুল হক সোহাগ। ২৪ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে অবস্থিত ভাটায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন এবং প্রতিপক্ষের বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন ইমদাদুল হক সোহাগ।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ধানের বীজতলায় পানি দেওয়ার সময় গভীর নলকূপের পানি ইঁদুরের গর্ত দিয়ে ভাটায় প্রবেশ করে ইট ভিজে যায়। এ বিষয় নিয়ে ভাটা মালিক আব্দুল মতিন বিশ্বাস ও নলকূপের মালিক দুর্গাপুর গ্রামের হোসেন আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় পাতা মিয়ার লোকজন হোসেন আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম বাবুকে মারধর করে। এক পর্যায়ে ভাটা মালিকের ছেলে ইমদাদুল হক সোহাগ ঘটনাস্থলে এসে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে এবং ভাটার পাশে হোসেন আলীর বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।
হোসেন আলীর শ্যালক সেলিম উদ্দিন ওলি জানান, ইঁদুরের গর্ত দিয়ে ভাটায় পানি প্রবেশ নিয়ে ভাটার ম্যানেজার রহিম হোসেনের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রবিউল ইসলাম বাবুকে মারধর করে। ভাটার মালিক আব্দুল মতিন বিশ্বাস (পাতা মিয়া) ও পুলিশ এসে দুলাভাই হোসেন আলীকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। এ সময় ভাটা মালিকের ছেলে ইমদাদুল হক সোহাগ এসে গুলি করে। ২০/২৫ জনের একটি দল নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে দুলাভাই ও বোনকে মারধর করে ও টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে ভাটার মালিকের ছেলে ইমদাদুল হক সোহাগ মুঠোফোনে জানান, তার বাবাকে মারধর করে পাঞ্জাবী ছিড়ে দিয়েছে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমার লাইসেন্সকৃত শটগান দিয়ে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সরকারি ফোনটি রিসিভ হয়নি।