শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কালাইয়ের ঝামুটপুর বানিহারা হাতিয়র এলাকাবাসীর সালাতুল ইস্তিসকার অনুষ্ঠিত  চট্টগ্রাম নগরীর সিএমপির ইপিজেড থানা পুলিশের অভিযানে (১০) জন, জুয়াড়ি গ্রেফতার সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান প্রেস হেলথ কেয়ার লিমিটেড স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক এর গর্বিত অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়ায় ইউপি সদস্যর জমি গভীর রাতে দখল স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা মামলা নওগাঁয় প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারি খাস জমির গাছ কেটে আড়াই লক্ষ টাকা লুটপাট দেখার কেউ নেই নওগাঁর নোচনাহার বাজারে স্টেশনারি ও কাপড়ের ৩ টি দোকান আগুনে পুড়ে ভূষ্মিভত নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামে একই পরিবারের ৪ ভাই বোন শারীরিক প্রতিবন্ধী মধুপুরে ইসতিসকার সালাত ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে নওগাঁর ধামইরহাটে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নওগাঁয় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে শিক্ষককের ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দুপচাঁচিয়াতে তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় নওগাঁর ধামইরহাটে গ্রিন ভয়েসের ১৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত নওগাঁ সেনা সদস্যকে মারধর করে টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ গাইবান্ধার পলাশবা‌ড়ি‌তে মিথ্যা অপপ্রচা‌রের প্রতিবা‌দে এক সংবাদ স‌ম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে মধুপুর উপজেলা ইয়াকুব আলী নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত ৪৮ নওগাঁ ৩ আসনের এমপির মা,সবিতা চক্রবর্তীর দশম প্রণয় দিবস পালিত কালাইয়ে তীব্র তাপদাহ ও অনা বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য সালাতুল ইস্তিসকার অনুষ্ঠিত নওগাঁ যৌতুকের টাকা না পেয়ে কিশোরী ঐশীর হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার নওগাঁর রাণীনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

একই নামের কারনে দিতে হলো খেসারত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১৮৯ বার পঠিত

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের রামু থানায় দায়ের করা এক মাদক মামলায় ৫ মাস ধরে জেল খাটছেন নুরুল আমিন নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু নতুন তদন্ত কর্মকর্তা মামলার দায়িত্ব নেওয়ার পর জানা গেল ভিন্ন গল্প। তদন্তে বেরিয়ে আসে ওই মামলায় যে নুরুল আমিন জেলে আছেন তিনি আসলে নিরপরাধ।

প্রকৃত আসামি ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রকাশ্য দিবালোকে। নাম ও ঠিকানা হুবহু মিল থাকায় এ বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি মাদক কারবারি নুরুল আমিনের। অবশেষে ঠিকই ধরা পড়লেন পুলিশের জালে।

নাইক্ষ্যংছড়ি জারুলিয়াছড়ি এলাকায় ১০ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার অভিযান চালালে ইয়াবা কারবারি নুরুল আমিন ধরা পড়েন বলে জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী।

গ্রেপ্তারকৃত নুরুল আমিন ওরফে ইমাম হোসেন (২৪) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জারুলিয়াছড়ি এলাকার মৃত আশরু মিয়ার ছেলে। তিনি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক হলেও শ্বশুর মো. মনিরুজ্জামানকে পিতা সাজিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করেন।

অন্যদিকে নিরাপরাধ হওয়ার পরও মামলায় মিথ্যা আসামি হয়ে কারাগারে থাকা নুরুল আমিন ওরফে নুরু (২৬) একই এলাকার নুরু সালামের ছেলে।

এজাহারের বরাতে ডিবি সূত্র জানায়, চলতি বছরের গত ২৮ এপ্রিল রাতে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের চা-বাগান এলাকায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি মোটরসাইকেলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৩০ হাজার ইয়াবাসহ রশিদ ওরফে খোরশেদ (৩০) নামে এক যুবককে আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মাদক সিন্ডিকেটের সহযোগীদের নাম জানান তিনি।

রশিদ জানায়, ইয়াবার চালান লেনদেনে তার সঙ্গে নুরুল আমিন ওরফে ইমাম হোসেন, মো. বেলাল হোসেন, বশির আহমেদ ও মাহমুদুর রহমান জড়িত।

পরে আটক মোহাম্মদ রশিদকে নিয়ে মজুদ করা আরো ইয়াবার চালান উদ্ধারে চা-বাগানের ভেতরে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশকে লক্ষ্য করে তার সহযোগীরা গুলি ছুড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে মোহাম্মদ রশিদ ও পুলিশের ৩ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে (মোহাম্মদ রশিদ) উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছিল। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছিল দেশীয় ১টি বন্দুক ও ৩টি গুলি। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ বাদী হয়ে রামু থানায় মামলা দায়ের করেছিল।

এ মামলায় নুরুল আমিন ওরফে ইমাম হোসেন, মো. বেলাল হোসেন, বশির আহমেদ ও মাহমুদুর রহমানকে পলাতক দেখিয়ে আসামি করা হয়।

এদিকে গত ২১ জুলাই নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ মামলার পলাতক আসামি নুরুল আমিন ওরফে ইমাম হোসেনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। এতে নাম-ঠিকানা মিল থাকায় প্রকৃত আসামি মনে করে নুরু ছালামের ছেলে নুরুল আমিন ওরফে নুরুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কিন্তু মামলাটির প্রথম তদন্তকারি কর্মকর্তা পরিদর্শক রুপল চন্দ্র দাশ অন্যত্র বদলি হলে তদন্তেরভার ডিবির পুলিশের পরিদর্শক শেখ মোহাম্মদ আলীকে দেয়া হয়। তিনিই আবিষ্কার করেন প্রকৃত আসামিকে।

এ ব্যাপারে পরিদর্শক শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা ব্যক্তি প্রকৃত আসামি নয় এবং তিনি নিরাপরাধ। প্রকৃত আসামি এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে সরেজমিন তদন্ত করে তথ্য সংগ্রহ করি। পরে অভিযান চালিয়ে প্রকৃত আসামি নুরুল আমিন ওরফে ইমাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করি।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রকৃত আসামিকে আদালতে সোপর্দ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150