সোহেল চৌধুরী,স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র,বাংলাদেশের মধ্যে থেকেও সংশ্লিষ্টরা যেন আলাদা কোন রাষ্ট্রে চাকুরী করছেন। সরকার ঘোষিত নীতিমালা ও নিয়মকানুন কোনটাই যেন তাদের মানতে হচ্ছে না। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে কর্মরতরা নিজেদের ইচ্ছায় কর্মস্থলে আগমন ও প্রস্থান করেন। কর্মরতদের দায়িত্বে অবহেলা,সরকারী আদেশ না মানার অভিযোগ পেয়,বলুহর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে অনুসন্ধানে যেয়ে দেখা যায়। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেইন গেটের হেজ বোল্ট ভাঙ্গা,পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোঃ শাহাজান আলী অফিসে না থাকতেও তার অফিসে ফ্যান চলছে,রুমের ভিতরে প্রতিনিয়ত ছাগল রাখা হয়।
(২১ সেপ্টেম্বর) বুধবার বেলা ১১ টার দিকে সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার দুই দিন ডিউটি রত,স্যাকমো প্যারামেডিকেল ডাক্তার মোঃ মনিরুল ইসলাম’কে পাওয়া যায় নি। স্যাকমো মনিরুল আজ বুধবার অফিসে না পাওয়ায় মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,হ্যা আমার আজকে বলুহর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ডিউটি ছিলো কিন্তু এলাঙ্গি ইউনিয়নে কেউ না থাকায় আজ আমি এলাঙ্গি ডিউটি করছি ওখানে যায়নি। স্যাকমো মনিরুল ইসলাম এ-র কাছে কেন্দ্রের ভিতরে ছাগল রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বলুহর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের পাশের স্থানীয় মোঃ নূর ইসলাম নামের একজন প্রতিনিয়ত ছাগল রাখেন কিছু বল্লে আমাদের হুমকি ও মারতে আসে। বাইরের মেইন গেটে হেজ বোল্ট নেই কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,হেজ বোল্ট লাগালে সেটিও বার বার কেটে ও ভেঙ্গে ফেলেন কে বা কারা। এবিষয়ে এফডব্লিউভি অনিতা মালাকার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা অনেক বার নুর ইসলাম কে নিষেধ করেছি এমনকি বলুহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম কে ডেকে নুর ইসলাম কে সতর্ক করেছি কিন্তু কোন রকম শুনছে না,তিনি আরো বলেন আমরা উপরের অফিসারদের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছি।
ছাগল মালিক নুর ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,যখন বৃষ্টি হয় ও অফিসের লোকজন না থাকলে তখন ছাগল রাখি। এবিষয়ে অবহিত করতে পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক ঝিনাইদহ মোঃ জাহিদ হোসেন কে ০১৭১১-৯০১৭৯৯ মোবাইল নম্বরে দুইবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।