রাজধানীর পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় ছেলের সামনে বাবাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার আসামি মানিক র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২১ মে) সকালে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের একটি টহল টিম কাজ করছিল। তাদের কাছে খবর আসে, একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। টহল টিম সেখানে গেলে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তারা। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে সেখানে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, নিহত ব্যক্তির নাম মানিক। পল্লবীতে শাহীন উদ্দিন নামে এক যুবককে যে দুজন কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন, তাদের একজন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে পল্লবী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, খবর পেয়ে লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মানিকের বিরুদ্ধে পল্লাবী থানায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদকসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। তিন মাস আগে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল মানিক। কিছু দিন আগে সে জামিনে ছাড়া পায়।
গত ১৬ মে বিকেলে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পল্লবী ডি ব্লকে একটি গ্যারেজের ভেতর সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দিনকে হত্যা করা হয়। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে পল্লবী থানায় মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল। কুপিয়ে হত্যার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করা হয়। সেটি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
মামলাটি বুধবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মিরপুর বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই মামলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাবেক এমপি আওয়ালসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট সাতজনকে। এর মধ্যে ঘটনার পরপরই মুরাদ ও দীপককে গ্রেপ্তার করা হয়। মানিক এ মামলার ৫ নম্বর আসামি ছিল।