হবিগঞ্জে মনিরা খাতুন চৌধুরী নামের এক জীবিত নারীকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেইসে মৃত দেখানো হয়েছে। এর ফলে আট বছর ধরে কোনো নাগরিক সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না তিনি। ব্যাংক হিসাব খোলা, সিম কার্ড কেনাসহ অন্যান্য সুবিধা থেকেও বঞ্চিত মনিরা খাতুন। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভোট দিতে পারছেন না। মনিরা খাতুন চৌধুরী হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদেশ্বর গ্রামের আজগর আলীর স্ত্রী।
মনিরা খাতুনের ছেলে নাজমুল ইসলাম জানান, তাঁর মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ১৯৬৭৩৬১০৫২৩২৯২৩৭৫। এই পরিচয়পত্র দিয়ে গত দুটি নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে বলা হয় তালিকায় তাঁর নাম নেই। ব্যাংকে হিসাব খুলতে গেলেও বলে তাঁর কার্ড সঠিক নয়। মোবাইলের সিম কিনতে গেলেও একই দশা। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, ডাটাবেইজে ২০১১ সালে তাঁর স্ট্যাটাসে মৃত লেখা রয়েছে।
এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম আঞ্চলিক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার সময় হয়তো ভুলবশত এমনটা ঘটেছে। পরবর্তী সময়ে নতুন তালিকায় মায়ের নাম সংযুক্তির অপেক্ষা করি। কিন্তু পরেও তাঁর নাম আসেনি। বিষয়টি সমাধানের জন্য গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করলেও এর সমাধান হয়নি। বারবার যোগাযোগ করেও কাজ না হওয়ায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করছি।’ এ ব্যাপারে বাহুবল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ করেননি তিনি।