শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরিষাবাড়ীতে সংস্কার হলো রাস্তা, কমলো জনদূভোর্গ নওগাঁ আন্তঃজেলার ডাকাত চক্রের মুল হোতা মাসুদ রানাসহ ৯ জন গ্রেফতর!!!!! প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকার মনোনয়ন দিবেন তাকেই জয়যুক্ত করতে হবে-এলিন তালোড়ায় ভলেন্টিয়ার এসোসিয়েশন এর আয়োজনে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে লালমনিরহাট থানার পৃথক ৩টি অভিযানে ২৪ কেজি গাজা সহ ট্রাক ও অটোভ্যান আটক শেরপুরে ১৯০ বোতল ফেন্সিডিল সহ দুই মাদক ব্যবস্যায়ী গ্রেফতার নওগাঁর শাপাাহারে স্বপন নামে এক জন ভূয়া ডাক্তারের জেল ও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত!!!! নওগাঁ দক্ষিণ কালীতলা আরতী রানী নারী বীর মুক্তিযোদ্ধার ১৯৭১সালে কাহিনী কথা: রাঙ্গাবালীতে ৭০০ গ্রাম গাজাঁসহ গ্রেফতার-০১ স্বামীর স্বীকৃতি পেতে উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ারের বাড়িতে কৃষি কর্মকর্তা আমাদের ধনবাড়ীর গর্ব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নওগাঁ বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিকের উভয় পক্ষের সংঘর্ষ অতঃপর ২০ জন আহত!!!!! চট্টগ্রাম সিএমপি, ইপিজেড থানা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের মাধ্যমে চোরাই মটর সাইকেল উদ্ধারসহ গ্রেফতার-০৫ মধুপুর কাঁচা বাজারে লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলছে দ্রব্য মূল্যের দাম নওগাঁয় ৪দিন ব্যাপী ‘কথক নৃত্যের কর্মশালা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত!!!!! নওগাঁ আন্তঃজেলা অটোরিক্সা চোর চক্রের মূলহোতা রাজু মন্ডল গ্রেফতার!!!! ৯৯৯-এ দিয়ে প্রাণ বাঁচলো সাগরে ভাসমান ২৯ জেলের নওগাঁর নিয়ামেতপুর ঐতিহ্যবাহী ঘুঘুডাঙ্গায় তাল পিঠ মহাউৎস আগামী কাল শুরু!!!! বগুড়ার মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে দের কেজি গাঁজা সহ একজন গ্রেফতার শেরপুরে বাড়ীর সীমানা বিরোধের জেরে ভাংচুর লুটপাটসহ হামলা : আহত-৫

ডায়ালাইসিস চিকিৎসার উপকরণ না থাকায় রংপুর মেডিকেলে রোগীরা মহাবিপাকে !

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ মে, ২০২৩
  • ৩০ বার পঠিত

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ!

শোয়েব হোসেন —

ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি বিভাগে ডায়ালাইসিস চিকিৎসার প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই। বাইরে থেকেই সব উপকরণ কিনতে হচ্ছে রোগীদের। একবার ডায়ালাইসিস করতে কমপক্ষে তিন হাজার টাকার উপকরণ কিনতে হয়। ফলে মহাবিপাকে রয়েছেন রোগী ও স্বজনরা।

তাছাড়াও অর্থের অভাবে অনেকের ডায়ালাইসিস বন্ধ রয়েছে। কারও কারও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
এরই মধ্যে গত ১৫ দিনে ১২ জন কিডনি রোগী মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন স্বজনরা। অথচ হাসপাতালের পরিচালক ইউনুছ আলী জানিয়েছেন,
এত রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি তার জানা নেই!

কিডনি রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে ডায়ালাইসিস চিকিৎসার যন্ত্র ছাড়া কোনও উপকরণ নেই। সবকিছু বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে রোগীদের। এ নিয়ে বারবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করলেও কোনও ব্যাবস্থাই হয়নি। উপকরণ কিনতে না পেরে সপ্তাহে দুই বারের পরিবর্তে মাসে একবার ডায়ালাইসিস করছেন দরিদ্র রোগীরা। যারা প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনতে পারছেন না, তাদের চিকিৎসা চলছে না। এতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে কারও কারও মৃত্যু হচ্ছে বিনা চিকিৎসায়।

ডায়ালাইসিস বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা বলছেন, কর্তৃপক্ষকে বারবার লিখিতভাবে জানানোর পরও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে ডায়ালাইসিস সেবা অনেকটা বন্ধ হওয়ার পথে এবং রোগীর সংখ্যাও কমে গেছে।

সরেজমিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২য় তলায় অবস্থিত ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডে ঘুরে এবং কিডনি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে ১২ জনের মৃত্যু ও অনেকের শারীরিক অবস্থার অবনতির তথ্য জানা গেছে।

পঞ্চগড় থেকে রংপুর মেডিকেলে কিডনি ডায়ালাইসিস করতে এসেছেন আছমা বেগম। তিনি বলেন, ‘উপকরণ কিনতে না পারায় আমার ডায়ালাইসিস হচ্ছে না।
একই কথা জানালেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা থেকে আগত রহিমা বেগম ও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থেকে ডায়ালাইসিস করতে আগত মনোরঞ্জন বর্মন।

তারা জানিয়েছেন, একজন কিডনি রোগী ২০ হাজার টাকা জমা দিয়ে সপ্তাহে দুদিন করে ৪৮ বার ডায়ালাইসিস করাতে পারেন। এটি রোগীদের প্যাকেজ সুবিধা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যাদের দুটো কিডনি বিকল, একমাত্র তাদের সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করানো হয়। আগে সব ধরনের উপকরণ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হতো। কিন্তু, গত ছয় মাস ধরে প্রত্যেক রোগীকে ডায়ালাইসিসের সব উপকরণ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। সব উপকরণ বাইরে থেকে কিনে আনলে তবেই ডায়ালাইসিস করানো হয়। এসব উপকরণ কিনতে ২৭০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করলে ছয় হাজার টাকা লাগে। সে হিসাবে মাসে আটবার ডায়ালাইসিস করতে ২৪ হাজার টাকা লাগে। একজন রোগীর পক্ষে এই ব্যয়ভার বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এজন্য ডায়ালাইসিস করাতে পারছেন না তারা।

ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুর মেডিকেলে ডায়ালাইসিস করতে আসা সালমা বেগম বলেন, ‘ডায়ালাইসিস করাতে পানি, রক্ত, ক্যানুলা, সুঁচ, গজ ও ব্যান্ডেজসহ সবকিছু বাইরে থেকে কিনতে হয়। সপ্তাহে দুই দিনে খরচ লাগে প্রায় আট হাজার টাকা যা কিনা মাসে ৩৬ হাজার টাকা। এভাবে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমি এখন নিঃস্ব।

রংপুর সদরের মমিনপুর থেকে শাহেরা বেগমের কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হাসপাতালে এসেছেন তার ছেলে সফিউল আলম। তিনি জানান, তার মায়ের প্রতিবার ডায়ালাইসিস করাতে তিন-চার হাজার টাকার উপকরণ কিনতে হয়। কিন্তু উপকরণ কিনতে না পারায় মাসে আট বারের পরিবর্তে চার বার করাতে হচ্ছে ডায়ালাইসিস।
এতে তার মায়ের অবস্থার অবনতি ঘটছে।

একই সমস্যার কথা বললেন নীলফামারী থেকে আগত মমতাজ আলী ও দিনাজপুরের হিলি থেকে আগত মোকতার হোসেন। মমতাজ আলী বলেন, ‘ইতিমধ্যে শেষ সম্বল একটি করে গরু বিক্রি করে উপকরণ কিনে ডায়ালাইসিস করিয়েছি। এরপর এত টাকা ব্যয় করে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই আমার।

ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডের নার্স মো. রানা বলেন, এখানে ২৬টি ডায়ালাইসিস মেশিন আছে। সবগুলোই সচল কিন্তু উপকরণ সরবরাহ না থাকায় অনেকের পক্ষে ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হচ্ছে না। আগে রোগীদের জায়গা দিতে পারতাম না। এখন রোগী নেই। যারা আসছেন তারা বাইরে থেকে সব উপকরণ কিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আ ম আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ডায়ালাইসিস চিকিৎসাসেবার প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ নেই।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সমাধান হচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে উপকরণ দিচ্ছে না। এ জন্য রোগীদের সেবা দিতে পারছি না আমরা।

এই খবর প্রচার-প্রকাশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সচেতন ও প্রভাবশালী মহলকে যতোদ্রুত সম্ভব সুষ্ঠু ব্যাবস্থা ও সমাধানের জন্য সার্বিক সহযোগিতা কামনায় দৃষ্টি আকর্ষন করা হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150