Cinn : দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ১ জন। গতকাল শুক্রবার ২ জনসহ ডেঙ্গুতে এ বছর মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ জনে। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (তথ্য ইউনিট) ডা. মোহাম্মদ কামরুল কিবরিয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৪ টি মৃত্যুর পর্যালোচনা করে ৩টি মৃত্যু ডেঙ্গুতে হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। আইইডিসিআর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু সন্দেহে ৬ জনের মৃত্যুর তথ্য পাঠিয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে জানানো হয়, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ নবেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১০৫ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১৯৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৪৫ জন, মার্চে ২৭, এপ্রিলে ২৫, মে মাসে ১০, জুনে ২০ জন, জুলাইয়ে ২৩ জন, আগস্টে ৬৮, সেপ্টেম্বরে ৪৭, অক্টোবরে ১৬৩ এবং নভেম্বরে এখন পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪৭৮ জন।
জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ১৭ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ৮২ জন। আর ঢাকা বিভাগের ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৯ জন, আর অন্যান্য বিভাগে ভর্তি আছেন ১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় (২৬ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে ২৭ নভেম্বর সকাল ৮টা) নতুন করে রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, আর ঢাকার বাইরে রয়েছেন সাত জন রোগী।
কীটতত্ত্ববিদ মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘যেহেতু ডেঙ্গু ও করোনার উপসর্গ প্রায় কাছাকাছি, তাই করোনা নেগেটিভ এলে সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গুর টেস্টও করা উচিত। আর কারও যদি ডেঙ্গু পজিটিভ আসে, তাহলে তার বাড়ির অন্যদেরও টেস্ট করাতে হবে। কারণ এই রোগটি ছোঁয়াছে। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীকে সার্বক্ষণিক মশারিতে রাখতে হবে। তার বাড়ির আশপাশের ৪০০ মিটারের মধ্যে ফগিং করতে হবে। যাতে ডেঙ্গু রোগীকে কামড় দেওয়া মশাটি অন্য কাউকে কামড়াতে না পারে। মোট কথা হচ্ছে, ব্যাপক হারে টেস্টিং দরকার।’