ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বেলা আড়াইটা থেকে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন বলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে দুদক সচিব মুহা. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ গ্রহণ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপাকে তলব করেছিলেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যান। আমাদের জানামতে, আদালত তাকে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দুদকে জবাব দেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি আজ (গতকাল) বেলা ২টায় দুদকে এসেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তার বক্তব্য গ্রহণ করছেন।
এর আগে ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে নোটিস পাঠিয়ে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে রূপাকে তলব করে দ্বিতীয়বারের মতো নোটিস পাঠান অনুসন্ধান কর্মকর্তা। এতে জিজ্ঞাসাবাদের দিন রূপাকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের কপি সঙ্গে আনতে বলা হয়।
এর আগে একই অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৪ নভেম্বর রূপাকে তলব করেছিল দুদক। কিন্তু এই জিজ্ঞাসাবাদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি রূপা। পরে এক শুনানি শেষে গত ৩ ডিসেম্বর রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
গত ২৮ অক্টোবর নোটিস পাঠিয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম ডিএজি রূপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ নভেম্বর দুদকে হাজির হতে বলেছিলেন। সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রের এই আইন কর্মকর্তা ‘বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন’ বলে অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে।