সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক ফোরাম (BNJF) নবীগঞ্জ উপজেলা শাখায় নতুন কমিটি অনুমোদন সেলিম সভাপতি সুমন সম্পাদক রাঙ্গাবালীতে নদী থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার মধুপুরে মাস ব্যাপি ক্ষুদ্র শিল্প ও পণ্য মেলা আয়োজন করা হয়েছে। সরিষাবাড়ীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত দিনাজপুর হিলিতে পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখেছেন ভারতীয় ট্রাক চালকরা মধুপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২জন নিহত আহত ১ লালমনিরহাটে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত। নওগাঁর ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান মোঃ আব্দুল জলিল এর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভায় আগমন ওবায়দুল কাদের!! দুপচাঁচিয়ায় আওয়ামী লীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োজন আছে। তবে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে নওগাঁয় দেড় কেজি গাঁজাসহ দু’জন মাদক কারবারি আটক মধুপুরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সরিষাবাড়ীতে-হেলালের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্র উৎসবের নামে মাসব্যাপী গত বছরের ন্যায় খোলা মেলা অশ্লীল যাত্রাপালার প্রস্তুতি!!! সরিষাবাড়ীতে নবনির্মিত গ্রামীণ বাজার দ্বিতল ভবনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত বগুড়ায় ডিবির মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক সহ গ্রেফতার ৪ তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দুপচাঁচিয়ায় গেমস ও এনিমেশন তৈরি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ অপরাধ ও সচেতনার লক্ষ্যে বিভিন্ন মসজিদে বক্তব্য রাখেন কুয়েতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেল ২ বাংলাদেশি রেমিট্যান্স যোদ্ধার

দেশের মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করবেন সেটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর চিন্তা – প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০
  • ২৭৬ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা লক্ষ্য স্থির থাকলে এগিয়ে যাওয়া সহজ হয়। আমরা ক্ষমতায় আসার পর আশু করণীয় কী, মধ্যমেয়াদি, সুদূরপ্রসারী সব পরিকল্পনা করে দিয়েছি। ২০১৩ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছি। ২১০০ সালের মধ্যে দেশ কেমন হবে তার পরিকল্পনা করেছি। সেই লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

গতকাল বৃহস্পতিবার বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারদের ১১৬, ১১৭, ১১৮তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে তিনি বিসিএস প্রশাসন অ্যাকাডেমিতে যুক্ত হন। ১১৬ জন প্রশিক্ষণার্থী এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব নেন জাতির পিতা। মাত্র সাড়ে তিন বছর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ‘৭৫-এ সপরিবারে তাকে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ।’ বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘জাতির জনক দেশের পুরো ব্যবস্থাটাকে ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এটা বাস্তবায়িত হলে ১০ বছরের দেশ মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠতো।’

পাকিস্তানের ডন পত্রিকার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৫৬ সালে বাঙালিরা কী অবস্থানে ছিল? পাকিস্তানীদের চোখে বাঙালিরা নাকি যোগ্যই ছিল না। প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীতে উচ্চপদে বাঙালিরা ছিল না। বাঙালিরা কোনও কাজেই যোগ্য না, পাকিস্তানীরা এই ভাবটা দেখাতো। আইন ও প্রশাসনের ক্ষেত্রে কোনও নারী ছিল না।’ তিনি বলেন, আইন ও প্রশাসনের ক্ষেত্রে যেন আমাদের মেয়েরা ঢুকতে পারে সেজন্য জাতির পিতা আইন করে দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫-এর ২১ বছর পর আমরা সরকার গঠন করি। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন করি। বাংলাদেশটাকে উন্নত করার চেষ্টা করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছি। করোনার মধ্যেও উন্নয়নের ধারাটাও এ কারণে অব্যাহত রাখতে পারছি।’

তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষের ভাগ্যটা কীভাবে পরিবর্তন করবেন বঙ্গবন্ধুর চিন্তা সেটাই ছিল। আমরা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছি। বাংলাদেশের জন্য আমরা দীর্ঘ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘২০১৫ সালে শতভাগ বেতন বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছি। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আমরা যত সুবিধা করে দিয়েছি তা আর কেউ করেনি। আপনারা কোনও মানুষকে অবহেলার চোখে দেখবেন না। মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায় তা দেখতে হবে। বিভিন্ন সমস্যা, যেমন- ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, মাদক, দুর্নীতি এসবের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, অন্যদের মেনে চলায় সচেতন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার দ্বিতীয় পর্যায় কীরকম হবে আমরা জানি না। তাই সব রকম প্রস্তুতি নিতে হবে, সচেতন হতে হবে। এর জন্য যা যা করা দরকার তার সবকিছুর নির্দেশনা দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিতে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়ে কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এরপরে যারাই আসবেন দায়িত্বে তারা যেন অন্তত তখনকার যুগের প্রয়োজন মিটিয়ে সেগুলোর কাজে লাগাতে পারেন; একটা লক্ষ্য যদি স্থির থাকে তাহলে প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্ব এখন; প্রযুক্তি পরিবর্তনশীল বিজ্ঞানের যুগ; এখানে গবেষণা এবং বিজ্ঞানের প্রভাব তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সেইভাবে পরিকল্পনা নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং সেটা আপনাদের করতে হবে। সেইভাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করবেন।’

‘এ দেশের মানুষ, যারা ভাগ্যহারা মানুষ, যারা গরিব-দুঃখী মানুষ। যাদের জন্য জাতির পিতা সারাটা জীবন তার জীবনটাকে উৎসর্গ করেছেন, তাদের কথা আপনাদের চিন্তা করতে হবে। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনেই আপনাদের কাজ করতে হবে এবং সেইভাবেই আপনারা কাজ করে যাবেন’ বলে আশাবাদ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি কিন্তু সবসময় তার ভাষণে বলতেন এই গরিব-দুঃখী মানুষের কথা। সবসময় সেটাই তিনি করেছেন যে, এদেশের মানুষের ভাগ্যটা কীভাবে পরিবর্তন করবেন। আমাদের এটাই থাকবে আপনাদের কাছে আকাক্সক্ষা। আপনাদের যে মেধা, আপনাদের জ্ঞান, বুদ্ধি, মনন সেগুলো আপনারা কাজে লাগাবেন দেশ ও জাতির সেবায়। এ দেশের মানুষ যেন নিরাপদ থাকতে পারে, উন্নত জীবন পেতে পারে। আর বিশ্ব দরবারে আমরা যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারি সম্মানের সঙ্গে। মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায়, প্রশাসনের সেবা পায়, নিজেদের ভাগ্য তারা গড়তে পারে সেই সুযোপ পায়।’

জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের কর্মদক্ষ ও যুগোপযোগী হিসাবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশটাকে উন্নত করতে হলে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতো উপযুক্ত কর্মচারী আমরা গড়ে তুলতে চাই। যেন মানুষ তার সেবাটা পায়। সেটাই আপনারা দেবেন, এটিই আপনাদের কাজ।’

জাতির পিতা একটা কথা বলেছেন ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনি একটা ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই দিনের ভাষণের একটা অংশ কোট করছি। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের অংশ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ‘আপনি চাকরি করেন আপনার মাইনে দেয় গরিব কৃষক… ওদের সম্মান করে কথা বলুন, ইজ্জত করে কথা বলুন, ওরাই মালিক।’

‘অর্থাৎ কোনো মানুষকে অবহেলার চোখে দেখবেন না। তাদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবেন না। মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান দিতে হবে। আমরা ছোটবেলা থেকেই ওটা শিখেছি। আমাদের বাড়ির ড্রাইভারকেও ড্রাইভার সাহেব বলতে হত, আপনি বলতে হত। আমাদের বাড়ির কাজের লোককে কখনো চাকর-বাকর বলে হুকুম দিতে পারতাম না এটি নিষিদ্ধ ছিল। আমার বাবা আমাদের হুকুম দিতে দেননি। আমরা দেইনি এবং এখনো তাই করি সেটাই আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। আমরা সেটাই করি। অর্থাৎ মানুষকে মানুষ হিসাবে দেখতে হবে।’

‘কারণ প্রত্যেকেরই অবদান রয়েছে এই সমাজের প্রতি, প্রত্যেকের অবদান রয়েছে দেশের প্রতি। সে কথাটা মনে রাখতে হবে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে সবাই যেন ন্যায়বিচার পায় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে এবং মানুষ সেবা পাবে আপনাদের কাছ থেকে, কারণ আপনার দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে সেবা দেয়া, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা মানুষের জীবনমান উন্নত করা।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150