স্টাফ রিপোর্টার
দৈনিক অপরাধ কন্ঠের ভুয়া ও প্রতারক সম্পাদক লায়ন কামরুল ইসলাম হৃদয়।পত্রিকাসহ আরও অনেক পত্রিকা ও সংগঠনের সম্পাদক দাবি করেন লায়ন কামরুল ইসলাম হৃদয় নামের এক ব্যক্তি।
বাংলাদেশের ৬৪জেলার প্রতিনিধি নিয়োগ প্রদানকারী হিসেবে বিশিষ্ট সিনিয়র সাংবাদিক,পত্রিকার সম্পাদক,সংগঠনের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবত।দেশের বিভিন্ন জেলা,উপজেলা থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছে।হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক।তার পরিচয় বাগেরহাট জেলা তবে আসলে কি বাগেরহাট জেলা কি না সন্দেহ করা হচ্ছে।আবার চট্রগ্রামে শশুরবাড়ী থাকেন বলে জানা যায়,তিনি নিজের মুখে স্বীকার করেছেন।তার ভাষাগত চট্রগ্রাম ও বরিশাল জেলার মিশ্রন ভাষায় কথা বলেন।তিনি বড় পরিচয়ে নিজ আইডি থেকে প্রকাশ করেন।তিনি বিভিন্ন রকমের সীমকার্ড ব্যবহার করেন।একেক সময় এক একটি সীম ব্যবহার করে।তার সহযোগীতায় আছে ৪/৫জন লোক।আর কোন একটি পরিত্যক্ত নির্জন বাড়িতে বসে বসে সকলের সাথে যোগাযোগ রাখে।টাকা নেওয়ার পর কারোর সাথে যোগাযোগ করেন না।
তিনি তার ব্যক্তিগত পরিচয় দিয়ে থাকেন জর্জকোর্টের এ্যাডভোকেট,সাংবাদিক সংগঠনের সভাপতি,প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মিডিয়া উইং এর উপদেষ্টা হিসিবে নিয়োগ পেয়েছেন সে দৈনিক অপরাধ কন্ঠ আইডিতে প্রকাশ করেন এবং শুভেচ্ছাবার্তা দিয়ে জেলার প্রতিনিধিদেরকে আকর্ষন করে রাখেন।আর এটাই তার বিশেষ অবদানের চতুরতা।বিশেষ কায়দা ও কৌশলতার মাঝে মানুষকে আপন করে প্রতিদিন ২০হাজার টাকার মত আয় করেছে।
পদ্মাসেতু শুভ উদ্ভোদনে তিনি একটি কাগজ তার আইডিতে পোষ্ট করেন এবং লিখেছেন একমাত্র দৈনিক অপরাধ কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে অফিসিয়াল লোকের মারুফত দিয়ে তার অফিসে পাঠানো হয়েছে,এরকমের পোষ্ট দেখে আরও মানুষকে আগ্রহী করে তোলে।তিনি নাম ব্যবহার করেন”লায়ন কামরুল ইসলাম হৃদয়”আবার সীমকার্ডে মনির নামে সীম সংগ্রহ করেছে।চট্রগ্রাম শহরে একজনকে বিকাশের দোকান দিয়ে বসিয়ে রেখেছে।বিকাশে টাকা গেলে সে স্বীকার করে।আবার পরিচয় জানতে চাইলে সে বলে আমি চিনি না,তাকে প্রশ্ন করলে দোকানদার বলে প্রতিদিন বিকাশে টাকা আসে তবে একটি লোক টাকা নিয়ে যায় তবে তাকে চিনি না বলে ফোন কেটে দেয়।আবার ফোন করে প্রশ্ন করা হয় আপনি প্রতিদিন টাকা বিকাশে আসলে দিয়ে দেন আবার তাকে চেনেন না কারন কি,বলার সাথে সাথে ঐ বাটপার ফোন কেটে দেয়।
কয়েকটি জেলার প্রমান সংরক্ষন করা হয়েছে।লায়ন কামরুল ইসলাম হৃদয় এর বিষয় খোজঁখবর নিয়ে জানা যায় সে হাইকোর্ট বা জর্জকোর্ট,সুপ্রীম কোর্টের কেউ না বা তাকে চেনে না,কয়েকজন আইনজীবীদের সাথে কথা হয় এই প্রতারক কোর্ট ও প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে এতে আমাদের চরম বদনাম হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর সুনাম নষ্ট করার জন্য একে আইনের আওয়াধীন এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে ফাঁসির কার্যকর করা উচিত।
এদিকে অপরাধ কন্ঠের সম্পাদক বলে যিনি দাবি করেন তিনি কয়েকজনকে পত্রিকার সহ-সম্পাদক করার জন্য ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা নিয়েছে রেকর্ড প্রমান আছে।সম্পাদক করার জন্য ২লক্ষ ৪০হাজার টাকার প্রমান আছে।ভুয়া কার্ড করে মানুষকে প্রতারনা স্বীকারে ফাঁসিয়েছে।প্রশাসনের সাথে ভুয়াসীম ব্যবহার করে বড়মাপের পরিচয় দিয়ে কথা বলে।প্রশাসন বোকার মতন মদনের কথা শুনে কাজ করেন।তার ব্যবহৃত সীমনাম্বার জানামতে কয়েকটি ব্যবহার করে।সে সকল সীমনাম্বার নিচে দেওয়া হল।
তিনি বলেন আমার অনেক পত্রিকা ও সংগঠন আমি এতগুলো প্রতিষ্ঠান সামাল দিতে পারছিনা,তার নিকট অফিসের কথা জানতে চাইলে সে বলে ঢাকাতে অফিস আছে চট্রগ্রাম অফিস আছে,তবে খোজঁখবর নেওয়া হলে দেখা যায় কোন অফিস নাই এবং কয়েকজন সম্পাদকের সাথে কথা হলে তারা বলেন এই ব্যক্তি কে,এর নাম ও শুনি নাই।একজন সিটার প্রতারকচক্রের প্রধান বলে ধারনা দিলেন।ডিজিটাল যুগে প্রতারকচক্রের গোন্ডি কিভাবে থাকে,এদের চক্রগ্রুপ ধরার জন্য প্রশাসনের এগিয়ে আসতে হবে।এবং মিডিয়াতে প্রকাশ করতে
হবে।সোসাল মিডিয়া,প্রিন্ট মিডিয়া,অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিউজ প্রকাশ করলে ধরা পড়ে যাবে প্রতারক লায়ন নামের ব্যক্তি।
ঢাকার এক সাংবাদিক কমিটি সভাপতির নিকট থেকে ৩২হাজার টাকা নিয়েছে প্রমান রয়েছে।সকলেই এই প্রতারককে ধরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।তবে এই ছবির লোকটিকে যদি কেউ চিনে থাকেন তাহলে নিকটস্থ থানাতে যোগযোগ করবেন।ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কারকৃত করা হইবে।প্রতারকের নিজের আইডি থেকে ম্যাসেন্জার তার পত্রিকা ও সংগঠনের তালিকা সংরক্ষন করা হয়েছে।তার নিজ কন্ঠের ভয়েস রেকর্ড করা হয়েছে।টাকা নিয়েছে রেকর্ড করা হয়েছে।তার কয়েকটি আইডি ব্যবহার করে তার মধ্যে বাংলায় লেখা দৈনিক অপরাধ কন্ঠ,ইংলিশে লেখা দৈনিক অপরাধ কন্ঠ।
ব্যবহার করেন মোবাইল নাম্বার-01748-742037
–01690145199-
01917-217001-01581-800297 এই নাম্বার নেয়।
যে সকল দৈনিক পত্রিকার জন্য সাংবাদিক নিয়োগ করবে দিয়েছিল–
১. দৈনিক অপরাধ কণ্ঠ
২. দৈনিক সকালের খবর
৩. দৈনিক খবরের কাগজ
৪. দৈনিক আজকের কাগজ
৫. দৈনিক বাংলা কাগজ।
যে সকল সাপ্তাহিক পত্রিকার জন্য সাংবাদিক নিয়োগ করবে।
১. সাপ্তাহিক অপরাধ চক্র
২. সাপ্তাহিক একাত্তর
৩. সাপ্তাহিক ক্রাইম ফাইল
৪. দ্য ক্রাইম
৫. সাপ্তাহিক সাংবাদিক।
যে সকল সাংবাদিক সংগঠনের জন্য সাংবাদিক নিয়োগ করবে।
১. বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশন ২. আন্তর্জাতিক সাংবাদিক কমিশন ৩.আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংস্থা
৪. ঢাকা মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাব ৫. ঢাকা মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন
যে সকল মানবাধিকার সংগঠনের জন্য মানবাধিকারকর্মী নিয়োগ করবে-১. আইন ও বিচার সহায়তা কেন্দ্র
২. আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন
৩. আন্তর্জাতিক মানবাধিকার অপরাধ দমন কমিশন
৪. আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দুর্নীতি দমন সংস্থা
৫. ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম কমিশন।
এই সমস্ত পত্রিকা আর সংগঠন দেখিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।নেই কোন অফিস নেই ঠিকানা, কার্ডে ঠিকানা দেওয়া আছে ঢাকা মগবাজার।
এই প্রতারকের বিচারের দাবি করছেন সাংবাদিকবৃন্দ।