রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
তানোরে জমির বিরোধের বিচারেই পুলিশের সামনে ব্যবসায়ীকে মারপিট আহত ৩ রাজশাহীতে আগে ট্রেনের টিকিটের আগ্রহ নাই যাত্রীদের! রাজশাহীতে আগে ট্রেনের টিকিটের আগ্রহ নাই যাত্রীদের! ক্ষেতলালে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক চাঁদ আটক বাগমারায় ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত রাষ্ট্রের ক্ষতির উদ্দেশ্যে সংবাদ পরিবেশন মোটেও কাম্য নহে-বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন মধুপুরে যুবককে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা ১৫১ বছরে দেশসেরা রাজশাহী কলেজ জেসমিন নিহতের ঘটনার বিচার বিভাগীয় দাবি রাজশাহী বিশিষ্ঠজনদের মধুপুরে হেরোইন সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার মানবতাবাদী প্রয়াত নেতা রতন বড়ুয়ার স্মরনসভা ও দানানুষ্ঠান ১৫ এপ্রিল নওগাঁয় ৩৪২বস্তা চাল নগত ২ লক্ষ টাকাসহ বার জন ডাকাত গ্রেফতারঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পুলিশের অভিযানে ভারতীয় মদসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার-২ কোম্পানীগঞ্জে হিউম্যান ফ্রি সার্ভিস সেন্টার এর ইফতার সামগ্রী বিতরণ রাজশাহীতে ব্রয়লারের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দাম প্রতিবন্ধী স্ব-নির্ভর সংস্থা’র উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত পুঠিয়ায় ঈমামের বেতন চাওয়ায় দুইজনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা রাঙ্গাবালীতে বন বিভাগের ১০ পিস গাছ উদ্ধার বগুড়া‘র ডিবি মাদক বিরোধী অভিযানে ফেন্সিডিলসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

নওগাঁয় প্রতিবিঘায় আউশের ৫৬ ধান ২৫ মন ফলন হওয়ায় মুখে হাসি -খুশি!!!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩৬ বার পঠিত

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আউশের ফলন ও দামে খুশি নওগাঁর চাষিরা
নওগাঁয় গত বোরো মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন চাষিরা। মৌসুমের শেষ দিকে একটানা বৃষ্টির কারণে মাঠেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ধান। তবে এবার আউশের ফলনে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন চাষিরা। এবার আউশের ৫৬ ধান প্রতিবিঘায় ২৫ মন হারে হওয়ায় কৃষকোর মুখে হাসি-খুসি । বাজারে ধানের দামও ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ কার্যালয় সূত্র জানায়, ১ সেপ্টেম্বর বাজারে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে আউশ ধান বিক্রি হয়েছে। গত মৌসুমে জেলায় ৫১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছিল, এবার তা বেড়ে ৫৫ হাজার ৫০০ হেক্টর হয়েছে। চাষিরা জিরা, কাটারি, বিআর-২৬ ও ২১, ব্রি-২৮, ৫৬, ৬৫, ৮২, ৮৫, বিনা-১৯, পারিজা ও হাইব্রিড হীরা জাতের ধান চাষ করেছেন। এ বছর ২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মহাদেবপুর উপজেলার ৯ নং চেরাগপুর ইউনিয়নের চৌমাশিয়া ৯ নং ওর্যাডের কৃষক শ্রীসুকুমার চন্দ্র সরকার এর সঙ্গে কথা
বলে জানা গেছে, এবার অনাবৃষ্টির কারণে আউশ ধানের খেতে সেচ দিতে হয়েছে। যার ফলে অন্য বছরের তুলনায় খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় বাড়তি খরচ পুষিয়ে নিতে পারছেন চাষিরা। সারা বছর সপ্তাহের প্রতিদিন ধান বেচাকেনা হয়ে থাকে জেলার নিয়ামতপুর সদর বাজারে। শনিবার ওই বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি মণ জিরা জাতের আউশ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ টাকায়। এছাড়া ব্রি-২৮, ৫৬, পারিজা ও হীরা ধান প্রতি মণ ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ধানের আড়তদার আব্দুল জব্বার জানান, গত বছর আউশ ধান ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই ধান এবার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। এ বছর ঘন ঘন বৃষ্টি না হওয়ায় আউশ ধানের দানা পরিপুষ্ট হয়েছে। মিল মালিকদের মধ্যে আউশ ধান কেনার বেশ চাহিদা দেখা যাচ্ছে।
নওগাঁ সদর, মান্দা ও মহাদেবপুরের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খেতের ধান পেকে গেছে। কাটা, আঁটি বাঁধা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত কৃষকরা। ভ্যান, ট্রলিসহ বিভিন্ন বাহনে করে কৃষকরা খেত থেকে ধান তুলে মাড়াইয়ের কাজ করছেন।
চাষি আলমঙ্গীর হোসেন জানান, এবার বোরো মৌসুমে যে সময় মাঠের ধান পাকতে শুরু করেছিল, সে সময় ঘন ঘন বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে অনেক ক্ষতি হয়েছিল। ঝড়ে ধানগাছ পড়ে যাওয়ায় ও পানিতে ডুবে খেতেই প্রায় ৩০ শতাংশ ধান নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া ধানগাছ পড়ে যাওয়ায় ধান কাটতেও বেশি খরচ হয়েছে। সেই তুলনায় এবার আউশ ধান লাভজনক হয়েছে। অনাবৃষ্টি ছাড়া বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। সেচের কারণে বাড়তি খরচ হলেও বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় সেই ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।
কৃষক কার্তিক বলেন, “দেড় বিঘা জমিত জিরা ধান লাগাইছি। এর মধ্যে এক বিঘা জমিত ধান লাগানোর জন্য সরকারি বীজ ও সার প্যায়ছিনু। দেড় বিঘা খ্যাতের মধ্যে ১৬ শতক জমির ধান মাড়াই করে ১০ মণ ধান হইছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে ৪ মণ ধান বাজারত ব্যাচে (বিক্রি) দিছি। গত বছর বর্ষালি ইরি (আউশ ধান) ধানের দাম আছিল ৭০০-৮০০ টাকা মণ। সেই তুলনায় এবার ধানের দাম ভালো।”
মান্দা উপজেলার সাবাইহাট গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, “প্রতি বিঘা জমিতে আউশ ধান চাষে সাধারণত ৮ থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা খরচ পড়ে। তবে এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ১০ হাজার টাকা করে খরচ পড়েছে। এবার প্রতি বিঘায় ধানের ফলন হচ্ছে ১৭–১৮ মণ করে। সে হিসাবে প্রতি মণ ধান উৎপাদনে খরচ পড়েছে প্রায় ৬০০ টাকা। বর্তমানে প্রতি মণ ধানের বাজারদর ১ হাজার ২০০ টাকা।”
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আবু হোসেন বলেন, “এবার কৃষি বিভাগ থেকে ১৬ হাজার ৫০০ কৃষককে ৫ কেজি করে বীজ ধান, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চাষিরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে সঠিক সময়ে আউশ ধান রোপণ ও বপনের কাজ করায় ভালো ফলন হয়েছে। ৬-৭ শতাংশ জমির ধান কাটা ও মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে বাকি জমির ধান ভালোভাবে কৃষকের ঘরে উঠে আসবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150