উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ থেকেঃ
নওগাঁ জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার হাট বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ১০ টাকা বিক্রি করেছেন কৃষক।
নওগাঁর ১১টি উপজেলায় কাঁচা মরিচ বাজারে মারাত্মক ধস নেমেছে। এক মাসের ব্যবধানে ২৫০-৩০০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ এখন পাইকারিভাবে বেচাকেনা করেছেন, প্রতি কেজি ১০-২০ টাকা পর্যন্ত। জমি থেকে মরিচ তুলতে যে শ্রমিক মজুরি গুনতে হচ্ছে, সেই টাকা উঠছে না বলে দাবি করেছেন মরিচ চাষীরা।
নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় এলাকায় চলতি মৌসুমে প্রায় তিন শতাধিক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করা হয়। বিগত বছরের তুলনায় এবার মরিচ চাষের পরিমাণ বেশি ছিল। নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাত্র এক মাস আগে উপজেলার পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ২০০ -৩০০ টাকা কেজিতে বেচাকেনা হয়। সে সময় কৃষকদের মুখে হাসি থাকলেও নাভিস্বাস উঠে ক্রেতাদের।
এক মাস পর মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) নওগাঁর বাজারগুলোতে সেই কাঁচা মরিচ এখন মাত্র ১০-২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মান্দা উপজেলার সাবাইহাট মরিচ চাষী হাবিবুর রহমান জানায়, এখন জমি থেকে মরিচ তুলতে এক মহিলা শ্রমিককে ২৫০ টাকা দিন মজুরি দিতে হয়। সেই শ্রমিক সারা দিনে ২০ কেজি মরিচ জমি থেকে তোলে। মরিচ বিক্রি করে শ্রমিক মজুরি টাকায় তোলা যাচ্ছে না।
মরিচ পাইকারি ক্রেতা ধামরহাটের রহিম জানায়, বাংলা ভাদ্র মাসের শেষে আমদানি বেশি হওয়ায় সাধারণত প্রতি বছরেই এ সময়ে কাঁচা মরিচের দাম কমে যায়।
নওগাঁর কৃষি উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, “কাঁচা মরিচের উৎপাদন বেশি সে মোতাবেক বাজারে চাহিদা না থাকায় মরিচের মূল্য কমেছে।