পিবিআইয়ের নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো: মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ইউনুছ ও ফাতেমার প্রেমের সর্ম্পকটি দুই বাড়িতেই জেনে যায়। এরই মধ্যে ইউনুস বাড়ি পরিবর্তন করে বিশনন্দী ভেংলায় নতুন বাড়িতে চলে যান। এরপর থেকেই ইউনুছকে বিয়ের জন্য বাড়ি থেকে পাত্রী খোঁজা শুরু করে দেয়।
এদিকে গর্ভবতী হওয়ার আশঙ্কা ও ইউনুছের জন্য কনে দেখার বিষয় জানতে পারেন ফাতেমা। তিনি বিয়ের জন্য ইউনুছকে চাপ দেন। কিন্তু ইউনুছ রাজি ছিলেন না। গত ১০ আগস্ট বিকেলে ইউনুছ মোবাইল ফোনে ফাতেমাকে ডেকে নেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে শেষে ইউনুছদের নতুন বাড়ির পিছনে গাছপালা ঘেরা জায়গায় ফাতেমাকে রেখে বাড়ি যান।
পরে রাত ২টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে ফাতেমার কাছে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন এবং একপর্যায়ে কৌশলে ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর ওই জায়গা থেকে পাশেই ডালিমের নির্মাণাধীন ঘরের বালুভর্তি ভিটিতে এনে কোদাল দিয়ে গর্ত করে ফাতেমার লাশ পুতে দেন। এর পরের দিন নির্মাণাধীন ঘরের মালিক ডালিমের মা শরিফাকে জিজ্ঞাসা করেন, কবে ভিটি পাকা করবেন। যদি টাকা লাগে আমার কাছ থেকে নিবেন।
এরপর গত ১৫ আগস্ট ডালিম ঘরের কাজ করার সময় ভিটি থেকে দূর্গন্ধ পান এবং কোদাল দিয়ে বালু সরিয়ে ভিকটিমের অর্ধপচা লাশ পেয়ে এলাকার লোকজনদের খবর দিলে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ মর্গে পাঠায় এবং অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে তদন্ত শুরু করে।