মোঃ রিয়াজ উদ্দিন,স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন জুয়েল নামের এক জনকে গ্রেফতার করেছে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ। তবে পুলিশও ভুক্তভোগীর পরিবার তাৎক্ষণিক ঘটনার কোন কারণ জানাতে পারেনি।
গুরুত্বর আহত ব্যক্তির নাম কলিম উদ্দিন (৬১) সে গাইবান্ধা জেলার ইছামত এলাকার আইনুদ্দিনের ছেলে এবং সোনাইমুড়ী উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের দানেশ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি পেশায় একজন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ শাকতলা গ্রামের নতুন বেপারী বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর যাবত কলিম উদ্দিন সোনাইমুড়ী উপজেলায় ভাঙ্গারি মালের ব্যবসা করে আসছেন। বুধবার সকালে নিজের ভ্যান নিয়ে দক্ষিণ শাকতলা গ্রামে যান কলিম। সেখানে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নতুন বেপারী বাড়ির সামনে স্থানীয় আব্দুল মন্নানের ছেলে জুয়েলের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় কলিমের। একপর্যায়ে জুয়েল ছুরি দিয়ে কলিমের গলায় ও পুরুষাঙ্গে জখম করে পালিয়ে যায়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন জুয়েল নামের এক জনকে সোনাইমুড়ী থানাধীন নদোনা ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামে তার ভাইয়ের শশুর বাড়ি থেকে বিকাল ৪টার সময় গ্রেফতার করা হয়েছে । সন্দেহভাজন অপর জনকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।