মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরো:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে মারধর করে সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন নববধূ। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট ফ্রাই মার্কেট সংলগ্ন সৈকতে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার স্বামী মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,অজ্ঞাত ৪-৫ জন ব্যাক্তি আমাকে মারধর করে আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমার ধারণা, এই কাজ তার সাবেক প্রেমিকের।
মনিরুল ইসলাম বরগুনা জেলা শহরের কেজি স্কুল সংলগ্ন আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন। আর নববধূ নূরে জান্নাত লুলু বরগুনা সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া গ্রামের হারুন অর-রশিদের মেয়ে।
গত পাঁচদিন আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন মনির।পরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে মনির তার স্ত্রীকে নিয়ে মির্জাগঞ্জ মাজারে ঘুরতে যাওয়ার কথা থাকলেও স্ত্রীর আবদার মেটাতে কুয়াকাটায় নিয়ে আসেন। ওই দিন সন্ধ্যায় কুয়াকাটায় এসে হোটেল তাজে অবস্থান করেন তারা।
মনির আরো বলেন,আমরা সৈকতে ঘোরাঘুরির পর সন্ধ্যায় রুমে আসি। কিন্তু আমার স্ত্রী আমাকে বার বার অনুরোধ করলে,আমরা আবার সৈকতে যাই।সৈকতের জিরো পয়েন্টে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর সে আমাকে বার বার অনুরোধ করে হাঁটাহাঁটি করার জন্য। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফ্রাই মার্কেট পেরিয়ে অন্ধকারে নিয়ে গেলে হঠাৎ ৪-৫ জন লোক আমার ওপর আক্রমণ করে। আমি বাঁচার চেষ্টা করি এবং স্ত্রীকে আঁকড়ে ধরি। কিন্তু আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে এবং কোনো প্রকার চিৎকার না দিয়ে তাদের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী খায়রুল নামে এক ব্যাক্তি সৈকতের আচার দোকানিদের বলেন,আমি তাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনকে সৈকতে নামতে দেখেছি। কিছুক্ষণ পর দেখি,তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজন পুলিশ বক্সে নিয়ে এসেছেন।
নূরে জান্নাতের বাবা হারুন অর-রশিদ মুঠোফোনে বলেন, আমরা ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে চলে কুয়াকাটা চলে যাই।আমার মেয়ে এখন কোথায় আছে জানতে পারিনি।জামাই মনিরকে নিয়ে বাড়িতে আসছি।পারিবারিক ভাবে বিষয়টি আমরা দেখব।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে মারধরের শিকার পর্যটককে উদ্ধার করি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে আমাদের কয়েকটি টিম আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু তার স্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। মনিরকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে|তিনি আরো বলেন,অভিযোগ পেলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে|