পুকুরে জোরপূর্বক মাছ ধরার প্রতিবাদ করায় হামলার পর হত্যার হুমকি!
রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রামঃ-
নালিসী জমি/পুকুর থেকে জোর পূর্বক মাছ ধরা, হত্যার উদ্দেশ্যে হামলায় গুরুতর আহত ও লাশ গুম করে ফেলার হুমকির অভিযোগ!!
নিজস্ব প্রতিবেদক:: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার ভিয়াজির বাড়ীর লতিফা বেগম ও উনার ছেলে লাল চান এর সাথে একই এলাকার বাসিন্দা গুফরান উদ্দিনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত মামলা চলে আসছে। লতিফা বেগমের দাবি অনুযায়ী সম্প্রীতি উক্ত নালিশি জমি/পূকুর থেকে জোরপূর্ব গোফরান উদ্দিন সহ আরো অনেকে মিলে মাছ ধরে বিক্রি করে।
উনার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে উনাকে গুরুতর আঘাত করে এবং হুমকি দেয় হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে এমনটাই দাবি করছেন লতিফা বেগম ও উনার ছেলে। ওনাদের দাবি অনুযায়ী উক্ত ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রিয়াদ হোসেন পরোক্ষ ভাবে ঘটনার মদতদাতা। উক্ত ঘটনার পরে উনি মামলা করেন আসামি ও গ্রেপ্তার হয়েছে।
লাল চাঁনের দাবি উনাদের বিভিন্নভাবে প্রতিপক্ষ হুমকি দিয়ে যাচ্ছে উনারা প্রাণনাশের আশঙ্কা আছেন এমনকি
জীবন বাঁচানোর তাগিদে উনি বর্তমানে নিজ বাড়ি/ঘর ছেড়ে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করছেন। উনি আরো দাবি করেন প্রতিপক্ষ উনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার ও চালিয়ে যাচ্ছেন।
উক্ত মামলায় অভিযুক্তরা হলেন (১) মোঃ নাসির (২) মোঃ গোফরান উদ্দিন (৩) মোঃ রাশেল (৪) মোঃ ডিপটি (৫) মোঃ নুর ইসলাম। মামলার এজাহার অনুযায়ী বাদী লতিফা বেগমের দাবি, ১ নং আসামীর নেতৃত্বে অপরাপর আসামীগন মারাত্মক অস্ত্রসঙ্গে সজ্জিত হইয়া এক বে-আইনী জনতায় মিলিত হইয়া আমার মালিকীয় প্রে হইতে অনুমান ২০ মন রুই, কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া, পাঙ্গাস মাছ, যাহার মূল্য মং- ২,৪০,০০০/- (দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা নিয়া যায়। ঐ সময় আমি বাধা নিষেধ করিলে ১ নং আসামী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা কিরিজ দ্বারা আমার ডান অগ্রবাহর উপরিভাগে কোপ মারিয়া মারাত্মক রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ঐ সময় ১ নং আসামী আমার গলায় পরিহিত ২ (দুই) ভরি ওজনের সোনার হার যাহার মূল্য মং- ১,৬০,০০০/ (এক লক্ষ ষাট হাজার) টাকা হইবে ছিনাইয়া নিয়া যায়। অতঃপর ২ নং আসামী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা কিরিছের পিঠ দ্বারা আমার মাথার পিছনে আঘাত করিয়া মারাত্মক থেতলানো জখম করিয়া আমার হাতে থাকা একটি নোকিয়া মোবাইল সেট যাহার মুল্য মং- ৪,০০০/- (চার হাজার) টাকা
ছিনাইয়া নিয়া যায়। অতঃপর ৩ নং আসামী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা বন্দুক যারা আমার ঘাড়ের পিছনে আঘাত করিয়া মারাত্মক জখম বেদনা করে। অতঃপর ৪ নং আসামী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা লোহার রড় যারা আমার সমাভাগে এ থাকা লাঠি দ্বারা আমার পিঠের পিছনে আঘাত করিয়া মারাত্মক জখম বেদনা করে। অতঃপর আসামীগন আমার শাড়ী ব্লাউজ টানিয়া আমার শ্লীলতাহানি করে। অতঃপর আমার শোর চিৎকারে উক্ত মামলার সাক্ষীগন সহ আরো লোকজন আসিয়া আসামীদের কবল হইতে আমাকে উদ্ধার করে। আসামীগন আরো হুমকি দিয়া বলে যে, তাহাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দায়ের করিলে আমাকে ও পুত্রদেরকে খুন করিয়া লাশ গায়ের করিয়া ফেলিবে। আসামীগন বিগত১১/০৮/২০২২ হইতে ১৫/০৮/২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত আমার মৎস্য প্রজেক্ট হইতে অনুমান ৮০ মন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ যাহার অনুমান মূল্য – ৯,৬০,০০০/- (নয় লক্ষ ষাট হাজার) টাকার মাছ ধরিয়া নিয়া যায়। সাক্ষীগন সমুদয় ঘটনা দেখিয়াছে ও শুনিয়াছে।
তবে উক্ত বিষয়ে অভিযুক্তদের মন্তব্য সহ ইউপি সদস্যের মন্তব্য নিয়ে অতি দ্রুত সরেজমিন প্রতিবেদন নিয়ে আসছি।