শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আবারো  বালু উত্তোলনের মহোৎসব    হুমকির মুখে স্থাপনা ও কৃষি জমি প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯৫তম জন্মদিন আজ নওগাঁর বিদ্বেশ্বরীঘাটে ব্রীজের অভাবে সুবিধা বঞ্চিত কৃষকরা ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার হচ্ছে মধুপুরে ইয়াকুব আলী এর নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মধুপুর থানা কর্তৃক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছে নতুন আঙ্গিকে থিয়েটার সিজারিয়ান অপারেশন দেওয়ান গঞ্জে এক শিশু ধর্ষণের শিকার নওগাঁর মহাদেবপুরে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোহাগ নামে এক জন আটক দুপচাঁচিয়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি সহ গ্রেফতার ৪ নরসিংদীতে হাতিরদিয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের জন্মদিন আজঃ নওগাঁর রাণীনগরে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ধাক্কায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু দেওয়ানগঞ্জে পৌরসভা বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ লালমনিরহাটের অন্যন্য এক সৃজনশীল প্রতিভার অধিকারি মোছাঃ জেসমিন নাহার গাইবান্ধার ফুলছড়িতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১ জন থানায় বিক্ষোভ দুপচাঁচিয়ায় মাদক বিক্রেতা সহ গ্রেফতার ৬ জন লালমনিরহাটে নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতীয় হিন্দু যুব ও ছাত্র মহাজোটের মানববন্ধন সিএমপি ইপিজেড থানা পুলিশের অভিযানে সাজা ভুক্ত পলাতক আসামী জাকির হোসেন গ্রেফতার নওগাঁর সাবিনার পাশে দাঁড়িয়েছে মালিশা ফাউন্ডেশন অতঃপর জেলা প্রশাসক ল্যাপটপ হাতে তুলে দিচ্ছেন

প্রতিবাদে আজ সারাদেশে বিএনপির কালো পতাকা উত্তোলন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকা দক্ষিণ এশিয়ার ভয়ঙ্কর বধ্যভূমি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩৪৭ বার পঠিত

দৈনিক সংগ্রাম

প্রতিবাদে আজ সারাদেশে বিএনপির কালো পতাকা উত্তোলন
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকা দক্ষিণ এশিয়ার ভয়ঙ্কর বধ্যভূমি
সোমবার ২১ ডিসেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট সংস্করণ

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি ভয়ঙ্কর বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী। সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচির একদিন আগে গতকাল রোববার সকালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সাথে সমমর্যাদা ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে সুসম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশীদেরকে পাইকারী হারে খুন করে যাবে, অথচ শুধু চুপচাপ নয়, বাংলাদেশ সরকার বরং বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যার বৈধ্যতা দিচ্ছে। ভোটারবিহীন সরকারের নতজানু পরররাষ্ট্র নীতির কারণে পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে রক্তাক্ত সীমান্ত এখন বাংলাদেশের সীমান্ত। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকা দক্ষিণ এশিয়ার একটি ভয়ঙ্কর বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে।
সীমান্ত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বিএনপি আজ সোমবার সারা দেশে জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পোশাক পরিধান করবে। গত সপ্তাহে দলের সর্ব্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ঘোষিত কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে অনুরোধ জানান রুহুল কবির রিজভী।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান তুলে ধরে রিজভী বলেন, এই সরকারের গত ১২ বছরে প্রায় সাড়ে ৫‘শ বাংলাদেশীকে সীমান্তে হত্যা করেছে বিএসএফ। এই করোনার মধ্যেও গত প্রায় এক বছরে প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর হাতে খুন হয়েছে ৪৫ জন বাংলাদেশী। সীমান্তে নোম্যান্স ল্যান্ড ও নদীতে প্রায়ই বাংলাদেশীর রহস্যজনক লাশ পাওয়ার ঘটনা খবরে আসে। সীমান্তে হত্যাকান্ডের ঘটনার বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের তরফ থেকে পতাকা বৈঠক করে লাশ গ্রহণ ছাড়া ভরসা রাখার মতো কোনো তৎপরতাই এখন চোখে পড়ে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন ‘বন্ধনে সোনালি অধ্যায়’ রচনা করতে ভার্চুয়াল আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন তখন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলীতে নিহত বাংলাদেশী নিরীহ দরিদ্র য্বুক জাহিদুল ইসলামের লাশ পড়েছিলো কাঁটাতারের নিচে। সামিট পরবর্তি সাংবাদিক সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুল মোমেন নিলর্জ্জভাবে বলেছেন, সীমান্ত হত্যায় ভারত একতরফভাবে দায়ী নয়। আমাদের কিছু দুষ্ট ব্যবসায়ী অবৈধভাবে সীমান্তের ওপারে যায় এবং তাদের কাছে অস্ত্র থাকে। তখন ভারত বাধ্য হয়ে ভয়ে ওদের গুলী করে। কিছুদিন আগে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছিলেন, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই্। কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরু আনতে গিয়ে ইন্ডিয়ার গুলী খেয়ে মারা যায়, তার জন্য দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকার নেবে না।
রিজভী বলেন, যারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশীদের পাখির মতো গুলী করে হত্যা করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো দূরের কথা উল্টো পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বাংলাদেশের মানুষদেরকে হত্যা করারই ন্যায্যতা দান করছে। এই দুই মন্ত্রীর বক্তব্য দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী। সীমান্ত হত্যার দায় বাংলাদেশ এড়াতে পারে না। নতজানু মিডনাইট সরকারের মন্ত্রীদের এসব বক্তব্য শুনলে মনে হয় তারা স্বাধীন দেশের মন্ত্রী নন, তারা অন্য কোনো দেশের প্রতিনিধি। বর্তমান সরকারের হরেক কিসিমের ক্রীতদাস ও মোসাহেবে পরিপূর্ণ। বাস্তবে এই সরকারের হাতে স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতির মৃত্যু ঘটেছে।
রিজভী বলেন, নিশিরাতের সরকারের আমলে নানা ঘটনা-দূর্ঘটনায় প্রতিদিন অনেকের মৃত্যু হয়। সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে কাউকে ধরে নিয়ে গিয়েও ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে। এই কারণে এই গণবিরোধী সরকারের কাছে মানুষের মৃত্যু কোনো গুরুত্ব বহন করে না। আত্ম মর্যাদাহীন এই সরকারকে কে বুঝাবে সীমান্ত হত্যাকান্ডের সঙ্গে অন্য কোনো মৃত্যুর তুলনা চলে না। তিনি বলেন, ভিনদেশের কেউ সীমান্তে আমাদের দেশের নাগরিককে হত্যা করার সাহস কিংবা ঔদ্ধত্য দেখালে সেটি কোনো সাধারণ হত্যাকান্ড নয়। সেই হত্যাকান্ড শুধু লাশের সংখ্যা দিয়ে বিবেচ্য নয়। ওই হত্যাকান্ডের সঙ্গে আমাদের দেশের মান মর্যাদা, সম্মান ও সম্ভ্রমবোধ জড়িত। এই নিশিরাতের সরকার দিয়ে বাংলাদেশের মর্যাদা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
রিজভী বলেন, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী বিএসএফ সীমান্তে গুলী করে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রেখেছিলো বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানীর লাশ। সেই বর্বর দৃশ্য আজও দেশের মানুষকে ব্যথিত করে। প্রতিটি দেশপ্রেমিকের হৃদয়ে আজও রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দেশের জনগণ আশা করেছিল, ফেলানী হত্যার বিচার হবে। সীমান্তে হত্যাকান্ড কমে আসবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, সীমান্তে বিএসএফের গুলীতে বাংলাদেশী হত্যার ঘটনা স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেই। সীমান্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় বর্ডার গার্ডের তরফ থেকে পতাকা বৈঠক করে লাশ গ্রহণ ছাড়া ভরসা রাখার মতো কোন তৎপরতাই এখন চোখে পড়ে না। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সাথে সমমর্যাদা ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে সুসম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশীদেরকে পাইকারী হারে খুন করে যাবে, অথচ শুধু চুপচাপ নয়, বাংলাদেশ সরকার বরং বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যার বৈধতা দিচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, রবিউল আলম রবি, আবদুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150