বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুুর উপজেলার দ্বাড়কিপাড়া এলাকায় ১২বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে লম্পট বাবা আবুল খালেককে (৪৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে শেরপুুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের দাড়কিপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। উক্ত ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির মাতা মোছাঃ লাভলী খাতুন বাদি হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্রে জানা যায়,
উপজেলার বাগড়া বস্তিপাড়া গ্রামের আয়েজ উদ্দীনের ছেলে আব্দুল খালেক বিগত তিনবছর আগে মামলার বাদি স্ত্রী লাভলী খাতুনকে তালাক দেন। এরপর আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আব্দুল খালেক। তবে তাদের একমাত্র কন্যা শিশুটি তার বাবার সঙ্গে দ্বাড়কিপাড়া এলাকাস্থ ভাড়া বাসায় থাকতেন। আর পার্শ্বেই অবস্থিত উপজেলা সদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ালেখা করতো।
প্রতিদিনে ন্যায় গত ২০ই অক্টোবর রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে মেয়েটি। আর তার সৎ মা স্থানীয় একটি রাইচ মিলে কাজ করার জন্য যান। এই সুযোগে রাত অনুমান দেড়টায় লম্পট বাবা খালেক মেয়ের শয়ন কক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। সেই সঙ্গে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখার জন্য নানা ভয়ভীতি দেখায়। তাই সামাজিক মান-মর্যাদা ও লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখলেও ধীরে ধীরে শারিরীক ও মানষিক ভাবে দূর্বল হতে শুরু করে মেয়েটি।
এরপর প্রতিবেশি দুই নারীকে ঘটনাটি জানালে এর একপর্যায়ে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন লম্পট খালেককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় উপস্থিত লোকজনের সামনেই নিজ মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন তিনি। পরে থানায় খবর দেয়া হয় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাকে সোপর্দ করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। শেরপুর থানার পুলিশ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল।