বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুজব প্রতিরোধের বিকল্প নেই : বিভাগীয় কমিশনার রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক যুবক নিহত, আহত আরোহী বন্ধু দুপচাঁচিয়ায় বিট পুলিশিং সভা ও সিসি ক্যামেরার উদ্বোধন উভ/ রাঙ্গাবালীতে মুজিব বর্ষের ঘর পেলেন ১১৮টি পরিবার, ভূমিহীনমুক্ত হলো উপজেলা রাজশাহীর উপশহর মহিলা কলেজে নবীন বরণ কচুয়া আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরিক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত: মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন ঐতিহ্যবাহী তিন গম্বুজ মিঠাপুকুর মসজিদ দুপচাঁচিয়া থানা অভিযানে তিন জুয়ারী গ্রেফতার শহীদ মিনার চত্ত্বরে পড়ে ছিল শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত আহত চার নওগাঁসহ সারাদেশে একযোগে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছেন আরও ৪০ হাজার গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবার!!! রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতি স্থগিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের গৃহ পেল ৭৫ ভূমিহীন তোমাদেরকেই এই দেশ এগিয়ে নিতে হবে: সৈয়দ আহমদ শফী আশরাফী দুপচাঁচিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে রমজান উপলক্ষে ২০ টি পরিবারকে ১ মাসের খাবার বিতরণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে রাসিক মেয়রের মতবিনময় বাঘার ৩০০ বছরের পুরনো মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিলুপ্তির পথে গোদাগাড়ীর মান্ডইল গ্রামের মেয়েদের শপথ বাল্য বিবাহ না করার শাফিউল আলম মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও ভর্তির খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায়।

বঙ্গমাতার নেপথ্য ভূমিকা স্বাধীনতা অর্জনে সহায়ক হয়েছে-প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০২২
  • ৬৫ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গমাতার নেপথ্য ভূমিকা তুলে ধরে বলেছেন, প্রধান রাজনৈতিক ইস্যুতে বঙ্গমাতার সিদ্ধান্ত দেশের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করেছে। এ সময় তিনি ঐতিহাসিক ৬ দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাকালীন প্যারোলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি প্রত্যাখ্যান এবং ৭ মার্চের ভাষণ প্রদানের প্রাক্কালে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের সময়োচিত সিদ্ধান্ত ও পরামর্শের উল্লেখ করে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২২ প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভাষণে একথা বলেন।  সরকার প্রধান গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত পাচঁ বিশিষ্ট নারীকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ নৈপূণ্যের জন্য নির্বাচিত ‘বঙ্গমাতা পদক-২০২২’ বিতরণী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। গোপালঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিল। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল স্বাগত বক্তৃতা করেন। পদক বিজয়ীদের পক্ষে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।

সরকার প্রধান বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হাতে বন্দী ছিলেন তখন বঙ্গমাতা ৬ দফা দাবির সঙ্গে আরো দু’টি দফার প্রস্তাবিত অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে সাহসী পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের অভ্যুদয় অসম্ভব ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি মেনে নিতে ইচ্ছুক ছিলেন-এমন একটি ধারণার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন বঙ্গমাতা যিনি তার নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আব্বা যদি প্যারোলে চলে যান তখন আর আন্দোলন-সংগ্রামের কিছুই থাকতো না। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাও প্রত্যাহার হতোনা।

শেক হাসিনা বলেন, সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হয়েছিল, বাকী যে আসামী সকলকেই তারা মৃত্যুদন্ডই দিত। কেউ আর বেঁচে থাকতে পারতো না এবং বাংলাদেশও আর স্বাধীনতার মুখ দেখ তো না।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রদানের বিষয়ে তার মা’র পরামর্শ প্রদানের উল্লেখ করে বলেন, সেখানে আমাদের বহু নেতাদের নানা মতামত উপেক্ষা করে আমার মা’র মতামতাই গুরুত্ব পেয়েছে।

তিনি বলেন, ৭ মার্চের যে বক্তব্য সেখানে আব্বার হাতে কাগজ বা কোন কিছু ছিলনা। ওনার মনের যে কথাগুলো এসেছে সেখান থেকেই সেটাই তিনি নির্দ্বিধায় বলে গেছেন। কিন্তু ভাষণ দিতে যাওয়ার আগে অনেক বড় বড় নেতা আব্বার হাতে চিরকুট লিখে দিতেন-এটা বলতে হবে, সেটা বলতে হবে। তখন আমার মা বলে দিতেন তুমি কারো কথা শুনবে না। নিজের মনে যা আসে তা-ই বলবে।

বঙ্গমাতার অবদানকে চিরস্মরণীয় করার লক্ষে ২০২১ সাল থেকে বছর আটটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত সর্বোচ্চ জাতীয় পদক ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ প্রদান করা হয়ে থাকে।

এ বছর রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সমাজসেবা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যে পাঁচ বিশিষ্ট নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২২ পেয়েছেন তারা হলেন, রাজনীতি’র ক্ষেত্রে সিলেট জেলার সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, অর্থনীতিতে কুমিল্লা জেলার সেলিমা আহমাদ এমপি, শিক্ষা ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, সমাজসেবা ক্ষেত্রে কিশোরগঞ্জ জেলার মোছা. আছিয়া আলম এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে গোপালগঞ্জ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আশালতা বৈদ্য (মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার)।

পুরস্কার হিসেবে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ৪০ গ্রাম ওজনের পদক, সম্¥াননা পত্র এবং ৪ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেন এবং সভাপতিত্ব করেন। প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক বঙ্গমাতার জীবনীর ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ।

সরকার প্রধান বলেন, আমার বাবা রাজনীতি করতেন অর্থাৎ রাজনীতির কাজ যেহেতু তিনি এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। তাদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন সেটা উপলব্ধি করেই তার মা সবসময় পাশে থেকে অনুপ্র্রেরণা দিয়ে গেছেন। একজন স্ত্রী হিসেবে কোন কিছু দাবিতো করতেনই না বরং আমার বাবার যা কিছু প্রয়োজন ছিল সেট তিনিই দেখতেন।

বঙ্গমাতার আদর্শ নিয়ে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে বাংলাদেশের নারী সমাজ যেন মানুষের কল্যাণে কাজ করেন সেই আহ্বানও জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের নারী সমাজ তারাও যেন এই আদর্শটা ধারণ করে। শুধু চাওয়া, পাওয়া, বিলাসিতা এটাই জীবন নয়। একটা মানুষের জীবনে মানুষের কল্যাণে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে এবং একটা আদর্শ নিয়ে চললে মানুষের জন্য অনেক অবদান রাখা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, তখন চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে। তার মা’র সকলের সঙ্গে একটা যোগাযোগ ছিল। ঢাকা শহরের বা বাংলাদেশের কোথায় কি হচ্ছে সে খবরটা তিনি জানতেন। যখন চালের দাম বেড়ে গেল তার মা’ নিজেই বাবাকে বললেন চালের দাম কিন্তু বেড়ে যাচ্ছে। সে সময় অফিসে গিয়ে বঙ্গবন্ধু যে খবর নিলেন তাতে চালের যে দাম আসে তা শুনে বঙ্গমাতা বললেন তাকে সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি। তার বক্তব্য প্রমান করার জন্য তখন বঙ্গমাতা ঐ দামে এক মন চাল কিনে দিতে বললে বাস্তাবিক অর্থে সে দামে বাজারে আর চাল পাওয়া গেল না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র চালাচ্ছেন আমার বাবা কিন্তু তার পাশে থেকে ছোটখাটো বিষয়গুলোও যে আমার মা খেয়াল করছেন তখন সেটা দেখা গেল। আর বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপের ফলেই তখন ১০ টাকা সেরের চাল ৩ টাকায় নেমে এসেছিল। শুধু স্বাধীনতা সংগ্রাম নয় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার মা’য়ের দৃষ্টি ছিল বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার আব্বার খুব সৌভাগ্য ছিল যে আমার মা’য়ের মতন একজন জীবন সাথী পেয়েছিলেন। তিনি বঙ্গমাতার পাশাপাশি তার দাদা-দাদীর অবদানও স্মরণ করে বলেন, আমার মা’য়ের মতন একজন জীবন সাথী এবং আমার দাদা-দাদীর মতন বাবা-মা পেয়েছিলেন বলেই আমাদের সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা অর্জন সহজ হয়েছিল।

৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার মা’ নিজের জীবন ভিক্ষা না চেয়ে জীবনটাও দিয়ে যান উল্লেখ করে সকলের কাছে বঙ্গমাতার জন্য দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150