শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছে নতুন আঙ্গিকে থিয়েটার সিজারিয়ান অপারেশন মধুপুরে চালু হয়েছে নারী উদ্যোগত্বা পারুলের ঢাকা রেস্টুরেন্ট দুপচাঁচিয়ায় শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত বাংলার জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ন দাস আর নেই : নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নওগাঁ ভুয়া সিআইডি পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতার দুপচাঁচিয়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত মধুপুর সহকারী পুলিশ সুপারের আবারও বিশাল অর্জন সরিষাবাড়ীতে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে নওগাঁর সাপাহারে আদিবাসী মঙ্গল টুডু নামে এক কৃষকের আম বাগানের গাছ কর্তনের অভিযোগ দুপচাঁচিয়ায় থানা পুলিশের অভিযানে ১০ জন গ্রেপ্তার নওগাঁয় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়াই নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে তুলেনিয়ে ধর্ষণ বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় মুজিবনগর দিবস উদযাপিত নাট্যকার অমৃতলাল বসুর জন্মদিন আজ : নওগাঁ জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় মোহাধুমধামে চৈত্র মাসে শুক্লপক্ষে বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নওগাঁ ঐতিহ্যবাহী ৫ শ বছরের পুরনো রঘুনাথ মন্দিরে রামনবমী জন্ম উৎসব উপলক্ষে ভক্তদের ঢল নেমেছে কালাইয়ে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ অনুষ্ঠিত বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন কালাইয়ে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২৪ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নওগাঁর মহাদেবপুরে বিএনপি ও জামাতনেতা সহ ২১ জনের মনোনয় পত্র দাখিল

বাংলাদেশের ৩৬% মেয়েশিশু অনলাইনে যৌন নির্যাতনের শিকার: আসক

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ১৬৪ বার পঠিত

বাংলাদেশে ৩৬ শতাংশের বেশি মেয়েশিশু অনলাইনে বন্ধুদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। ২৭ শতাংশের বেশি মেয়েশিশু পরিচিত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও আত্মীয় দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। এছাড়া ১৮ শতাংশ মেয়েশিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয় অপরিচিত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দ্বারা। বেসরকারি সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) পরিচালিত এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত ‘অনলাইনে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও আইনি পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিট ও ৯টি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, ২০১১ সালে ৩৫টি শিশু অনলাইনে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। ২০২০ সালে সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ জনে। ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩৯৯ শিশু অনলাইনে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর ২০১৩ সালে মামলার সংখ্যা ছিল তিন। ২০১৯ সালে মামলা ছিল ৭২১টি। এখন এক হাজারের ওপর মামলা চলমান।

সভায় জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আসকের কর্মসূচি সমন্বয়ক (শিশু অধিকার ইউনিট) অম্বিকা রায়। এছাড়া, অনলাইনে শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে দেশের আইনগুলোর পর্যালোচনা বিষয়ক অপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের (স্কুল অব ল) জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. সাইমুম রেজা তালুকদার।

এ প্রসঙ্গে আসকের কর্মসূচি সমন্বয়ক (শিশু অধিকার ইউনিট) অম্বিকা রায় রেডিও তেহরানকে জানান, ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়েশিশুরা অনলাইনে যৌন শোষণ, হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। অনলাইনে যৌন আবেদনমূলক কনটেন্টের মুখোমুখি হচ্ছে। এমনকি  অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব ও শরীর প্রদর্শনের মাধ্যমে সাইবার বুলিং-এর শিকার হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আসক প্রণীত গাইডলাইন অনুসরণের পরামার্শ দেন এ শিশু অধিকার নেত্রী।

সভায় পৃথক প্রতিবেদনে শিশুদের অনলাইনে নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিকার পেতে প্রচলিত আইনগুলোর দুর্বলতাও তুলে ধরা হয়।

সভায় ইউনিসেফের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ১১ বছর বয়সের আগে ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রবেশ করে দেশের ২৫ শতাংশ শিশু। সভায় আরও বলা হয়, করোনাকালে শিশুদের দিনের অধিকাংশ সময় কাটাতে হচ্ছে অনলাইন স্কুলে। হোমওয়ার্ক, খেলাধুলা বা বিনোদনের ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে অনলাইনভিত্তিক। ফলে শিশুরা আরও বেশি হয়রানি বা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বা ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, সরকার ৩০ হাজার পর্ন সাইট বন্ধ করেছে। ইন্টারনেটে পর্ন সাইট অনুসন্ধানে বাংলাদেশ শীর্ষ দশে ছিল। এখন বাংলাদেশের অবস্থান ১০০-এর নিচে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউবের যেসব কনটেন্ট পর্নোগ্রাফি বা শিশু পর্নোগ্রাফি বলে মনে হয়েছে, সরকার তা ফেসবুক, ইউটিউবকে অবহিত করামাত্র তারা তা বন্ধ করে দিচ্ছে।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আরোমা দত্ত বলেন, কোভিড ১৯ শিশু-কিশোরদের মনোজগতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তাই অনলাইন মাধ্যমে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ বিশেষ করে আইনের প্রয়োগ, ডাটাবেজ সংরক্ষণ, সমন্বয় সাধন জরুরি।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসপাব) প্রেসিডেন্ট এম এ হাকিম জানান, সচেতনতা বাড়াতে ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিটিআরসি সাইবার সচেতনতা ইউনিট ও সাইবার ৯৯৯ হেল্পলাইন চালু করতে পারে। সরকারের নির্দেশে ইসপাব বিনামূল্যে প্যারেন্টাল নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখলেও এখন পর্যন্ত কোনো অভিভাবক তাদের কাছে সহায়তা চাইতে আসেননি বলে জানান তিনি।

জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রামের প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা অ্যান্ডরু ম্যাকগ্রেগর বলেন, প্রযুক্তির বিকাশে ইন্টারনেট বড় আবিষ্কার হলেও কিছু মানুষ এর অপব্যবহারের মাধ্যমে শিশুদের যৌন নির্যাতন করছে, প্রতারণা করছে। ঘটনা প্রতিকারে আইনের প্রয়োগ ও সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150