Cinn :- সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের সাংবাদিক সম্মেলন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় আজ জুমাবার গণবিক্ষোভের কর্মসূচি স্থগিত করা হয় বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, রাজধানীতে এবং দেশের বিভিন্ন স্হানে রাস্তার মোড়ে মোড়ে মূর্তি তথা ভাস্কর্যের নামে যেভাবে মূর্তি স্থাপন করা হচ্ছে, তা কোন ক্রমেই একজন ঈমানদার মেনে নিতে পারেন না। কতিপয় তথাকথিত বুদ্ধিজীবীসহ কিছু কুচক্রীমহল ভাস্কর্য স্থাপনকে কেন্দ্র করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। মূলত:তারা দেশ, জাতি,ইসলাম ও দেশের স্বধীনতা-সার্বভৌমত্বের দুশমন। এভাবে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন করে দেশে আল্লাহর গজব টেনে আনা হচ্ছে। ৯৫% মুসলিম অধ্যুসিত এ দেশের বিবেকবান জনগণ কোনক্রমেই এ বিজাতীয় সংষ্কৃতি মেনে নিতে পারে না। তাই ৪ঠা ডিসেম্বর জুমুয়াবার দেশব্যাপী গণ বিক্ষোবের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির অংশহিসেবে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের প্রতিবাদে জুমুয়াবার রাজধানীতে সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি’র বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছিলো। কিন্তু অনুমতি পাওয়া যায়নি। তাছাড়াও পুলিশের অনুমতি ছাড়া রাজধানীতে রাজনৈতিক সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন কর্তৃক সভা-সমাবেশ কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গতকাল নতুন করে এক আদেশ জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, আমরা শান্তি শৃংখলা ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জুমাবারের বিক্ষোভ কর্মসূচী স্থগিত ঘোষণা করা হলো। পরবর্তীতে কর্মসূচী পালন করা হবে ইনশাআল্লাহ।
মাওলানা আবু তাহের জিহাদীর সভাপতিত্বে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামীর নায়েবে আমীর শরীয়ত আল্লামা জাফরুল্লাহ খান। সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের সহ-সভাপতি ড.মাওলানা খলিলুর রহমান আল মাদানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী,বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুফতি ফখরুল ইসলাম, ইসলামি জনতার পার্টির সভাপতি মাওলানা আজিজুর রহমান আজিজ, মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী,মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন আকন্দ ও মাওলানা ইয়ামিন হোসাইন আজমী প্রমূখ।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অনুরোধ করি দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে ইসলামিক সংস্কৃতি,তাহাজিব ও তামাদ্দুনের খিলাপ কোন কাজ এদেশে করা ঠিক হবে না। সরকার আসে সরকার যায়, শীর্ষ উলামায়ে কেরাম কোন সরকারকে ক্ষমতায় বসানো বা ক্ষমতা থেকে নামানোর দায়িত্ব পালন করবে না। তবে এদেশের জনগণের মৌলিক আকীদা-বিশ্বাস, ইসলামী বিধি-বিধান সংরক্ষণ ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ওলামা একরাম সব সময়ে অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হউন আমিন। নাসরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন কারিব।