করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের গরীব-অসহায়দের জন্য সরকারের দেওয়া ওএমএস কার্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহ আলমের স্ত্রী মোছাম্মৎ মমতাজ আলম ও মেয়ে আফরোজাসহ স্বজনদের নাম ওঠানো হয়। শাহ আলম নিজেও ওএমএসের ডিলার ছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে তুমুল সমালোচনার মুখে গত ১৩ মে শাহ আলমের ওএমএস ডিলারশিপ বাতিল করা হয়।
এরপর গত ২ জানুয়ারি সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য শাহ আলমকে সম্মাননা দেয় জেলা সমাজসেবা কার্যালয়।
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে কোন প্রক্রিয়ায় সম্মাননার জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য গত ৩ জানুয়ারি উপ-পরিচালক মাসুদুল হাসান তাপসকে চিঠি দেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান।
পরবর্তীতে তাপসের দেওয়া লিখিত ব্যাখ্যা ‘সন্তোষজনক না হওয়ায়’ শাহ আলমকে সম্মাননা দেওয়ার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দেন জেলা প্রশাসক।
ওই চাঠিতে শাহ আলমকে সম্মাননা দেওয়ার ক্ষেত্রে দাপ্তরিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি বলে উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান।