মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বগুড়ার কাহালুতে প্রায় তিন শতাধিক বাড়ির দেয়ালেও দরজায় পোস্টার লাগিয়ে চাঁদার দাবিতে সন্তান অপহরণের হুমকি আগামী ৭ অক্টোবর ২০২৩ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ)-র তৃতীয় টার্মিনালের শুভ উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শেরপুরে ৫১০ গ্রাম হিরোইনসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী‘কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪, ময়মনসিংহ নওগাঁর মান্দায় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় অর্থ বিতরণ কালাইয়ে বহুল আলোচিত মামলা বাজ সুমি আবারও বিয়ে করলেন নওগাঁ পারিবারিক কলহে এনজিও পরিচালক সোহেল রানা গ্যাসভরি খেয়ে আত্মহত্যা নরসিংদীর মনোহরদীতে মুদি ব্যবসার আড়ালে । দাগনভূঞায় খামার স্থাপন ও সম্প্রসারণ এবং বায়োগ্যাস প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ শুরু নওগাঁর মহাদেবপুরে সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আদিবাসীদের ধর্মীয় প্রধান অনুষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব পালিত লালমনিরহাটে পায়ুপথে হাওয়া দেওয়ায় ০১জন মৃত্যু সয্যায়।থানায় অভিযোগ দায়ের বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস ২০২৩ যথাযত মর্যাদায় উদযাপন টাঙ্গাইলের মধুপুরে কংকাল চোর চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে মধুপুর থানা পুলিশ নওগাঁ ৪৮-৩ আসনে এমপি সেলিম উদ্দিন তরফদার এর ৫৫ তম জন্মবার্ষিকী পালিত!! বগুড়া দুপচাঁচিয়ায় ডিজিটাল উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত সাগরের বুকে বিস্ময়কর ভাসমান দোকান, পাওয়া যায় সবকিছু মধুপুরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায়, অবরুদ্ধ ৬০টি পরিবার কালাইয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির মনোনয়নপত্র প্রদান ছিনতাইকারীরা সাংবাদিক সাগর বাদশাকে ছিনতাই ও জখম করে পালালো !! নওগাঁর কুজাইল বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রামভক্ত হনুমানকে আদর করে মুখে তুলে দিচ্ছেন খাবার!!!! বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে ছাত্রের মৃত্যু

মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেশকে আবারও ৫০ বছর আগের অবস্থায় ফিরে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা চলছে -প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২৮৯ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করে বলেছেন, পরাজিত শক্তির দোসররা দেশকে আবারও ৫০ বছর আগের অবস্থায় ফিরে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন । তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক মদদে সরকারকে ভ্রুকুটি দেখানোর পর্যন্ত ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। ১৯৭১’র পরাজিত শক্তির একটি অংশ মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া বক্তব্য দিয়ে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে মাঠে নেমেছে।’
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ অভিযোগ করেন। এসময় তার পেছনে শোভা পাচ্ছিল সর্ষে ক্ষেত আর গ্রাম বাংলার ছবি। ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের সবাইকে স্মরণ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বলেছিলেন, ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার না করতে। কিন্তু ধর্মকে ব্যবহার করেই এই অপশক্তি সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা শুধু একজন খাঁটি মুসলমানই ছিলেন না, তিনি ধর্মীয় আচারাদি নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিপালন করতেন। তিনি যখন সংবিধান রচনা করেন, তখন মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র এই চারটি মৌলিক বিষয়কে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ৭৫-পরবর্তী মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী সরকারগুলো মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মূল্যবোধগুলোকে জলাঞ্জলি দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিজেদের আসন চিরস্থায়ী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সামরিক জান্তা সঙ্গীনের খোঁচায় সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ধারাবাহিক অপপ্রচার চালিয়ে, ইতিহাস বিকৃত করে, আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কালিমা লেপনের চেষ্টা করে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী বঙ্গবন্ধু ইসলাম ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষা এবং প্রসারে যা করেছেন, ইসলামের নামে মুখোশধারী সরকারগুলো তা কখনও করেনি। আইন করে মদ-জুয়া-ঘোড়দৌড় নিষিদ্ধ করা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা, মাদ্রাসা বোর্ড স্থাপন, ওআইসি’র সদস্যপদ অর্জনের মতো কাজগুলো বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই বাস্তবায়িত হয়েছিল। পরবর্তীতে আমার সরকার ধর্মীয় শিক্ষা প্রচার এবং প্রসারে যত কাজ করেছে, অতীতে কোনও সরকারই তা করেনি। আমরা ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছি। ৮০টি মডেল মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছি এবং দাওয়ারে হাদিস পর্যায়কে মাস্টার্সের মান দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছি। প্রতিটি জেলা-উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। ইমাম-মোয়াজ্জিনদের সহায়তার জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতায় সারাদেশে মসজিদ-ভিত্তিক পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। লক্ষাধিক আলেম-ওলামায়ে কেরামের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, ধর্মান্ধ নয়। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকল ধর্মের-বর্ণের মানুষের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে তাই আসুন, আবারও আমরা শপথ নেই আমরা যেনো লাখো শহীদের রক্তের ঋণ ভুলে না যাই। আমরা যেনো মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ভূ-লুণ্ঠিত হতে না দেই।’ ‘যুবশক্তি, তরুণ সমাজ এবং নতুন প্রজন্মের কাছে অনুরোধ, তোমরা তোমাদের পূর্বসূরীদের আত্মোৎসর্গের কথা কখনও ভুলে যেও না। তাঁদের উপহার দেওয়া লাল-সবুজ পতাকার অসম্মান হতে দিও না। যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের বিজয়-নিশান সমুন্নত রাখার শপথ নাও, এই বিজয় দিবসে। প্রতিজ্ঞা করো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এদেশকে সোনার বাংলাদেশে পরিণত করবে। তবেই ৩০ লাখ শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হবে।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। কয়েকদিন পর আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পদার্পন করবো। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছি। গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলা করে সমগ্র বিশ্বের বুকে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। প্রমত্তা পদ্মার বুক চিরে নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণাধীন পদ্মাসেতু মাত্র সপ্তাহখানেক আগে দেশের দুই প্রান্তকে সংযুক্ত করেছে। কিন্তু এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ বছর আমাদের বিজয় দিবস উদযাপন করতে হচ্ছে। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে আমাদের দৈনন্দিন কার্যপ্রণালীতে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, জনসমাগম এড়িয়ে আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় কাজকর্ম সম্পন্ন করতে হচ্ছে। প্রতিটি মানুষের জীবনই মহা মূল্যবান। কোনও অবহেলায় একজন মানুষেরও মৃত্যু কাম্য নয়। তাই, আমি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজয় দিবস উদযাপনসহ যাবতীয় কাজকর্ম সম্পন্ন করার অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনারা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরিধান করবেন এবং মাঝেমধ্যে হাত সাবান অথবা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিস্কার করবেন। আপনার সুরক্ষা, সবার জন্য রক্ষাকবচ।’
দেশবাসীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বছরটি শুধু আমাদের জন্যই নয়, বিশ্ববাসীর জন্য এক দুর্যোগময় বছর। বিশ্ব অর্থনীতি এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। করোনাভাইরাসের মহামারির ফলে অনেক উন্নত এবং উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশে আমরা সময়োচিত পদক্ষেপ এবং কর্মসূচি গ্রহণ করে এই নেতিবাচক অভিঘাত কিছুটা হলেও সামাল দিতে সক্ষম হয়েছি। আমরা প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি, যা জিডিপি’র ৪.৩ শতাংশ। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ২.৫ কোটি প্রান্তিক মানুষকে নগদসহ নানা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ধাক্কা সামলিয়ে আমাদের প্রবাসী আয়, কৃষি উৎপাদন এবং রফতানি বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গত অর্থবছরে ৫.২৪ শতাংশ হারে আমাদের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রক্ষেপণ বলছে ২০২০ সালে বাংলাদেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।’
তিনি উল্লেখ করেন, জাতির পিতা যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে ব্যস্ত, দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, তখনই পরাজিত শক্তির দোসররা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে শুধু একজন ব্যক্তি মুজিবের মহাপ্রয়াণ হয়নি। তাঁকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস চালানো হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতির যে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছিল, তা স্তব্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁকে হত্যার মাধ্যমে একটি আদর্শ ও স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটানো হয়। যে স্বপ্নের সঙ্গে জড়িয়েছিল এ দেশের লক্ষ-কোটি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য। সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন, দিনের পর দিন দেশ পিছিয়ে পড়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। যথাযথ পদক্ষেপের ফলে আমরা বাংলাদেশের ‘ভিক্ষুক’ দুর্নাম ঘুচিয়েছি। আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশ আজ একটি সমীহের নাম। আজকের বাংলাদেশ স্বাবলম্বী বাংলাদেশ। এখন বাজেটের ৯৭ ভাগ মেটানো হয় নিজস্ব অর্থায়নে। বাংলাদেশ কারও দয়া বা করুণার ওপর নির্ভরশীল নয়। আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার। আমরা তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। তবেই ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বাংলাদেশ লালন শাহ, রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল, জীবনানন্দের বাংলাদেশ। এ বাংলাদেশ শাহজালাল, শাহ পরান, শাহ মকদুম, খানজাহান আলীর বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ শেখ মুজিবের বাংলাদেশ; সাড়ে ১৬ কোটি বাঙালির বাংলাদেশ। এ দেশ সকলের। এ দেশে ধর্মের নামে আমরা কোনও ধরনের বিভেদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে আমরা দেবো না। ধর্মীয় মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে এ দেশের মানুষ প্রগতি, অগ্রগতি এবং উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবেন।’
করোনার কারণে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা কিছুটা পরিবর্তন আনতে হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছর আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি। করেনাভাইরাসের এই মহামারি না থাকলে আমরা যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন করবো।’
ভাষণের শেষে বিদ্রোহী কবি, আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় তিনি তরুণ-যুবকদের উদ্দেশে বলেন,‘চাহি না জানিতে – বাঁচিবে অথবা মরিবে তুমি এ পথে,এ পতাকা বয়ে চলিতে হইবে বিপুল ভবিষ্যতে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150