শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁয় অসুস্থ রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস বিক্রয়ের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২ জন কসাইকে ৭ দিনের কারাদণ্ড! পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আইন-শৃংঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত মারা গেলে মাইকিং, কাফনের কাপড়, চেয়ার ও লাশ দাফনের সকল সেবা দিবে পিরোজপুর হিলফুল ফুজুল যুব সংঙ্গ পুঠিয়ায় চার ধাপে ৫৯৮টি পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নলডাঙ্গায় ২জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নওগাঁ সদর উপজেলার কাঁচা বাজার এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যৌথ অভিযানে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ১৩,৫০০ টাকা জরিমানা নওগাঁর ধামইরহাটে প্রধান শিক্ষক আবু শালেহর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের অভিযোগ!!!! কাহালু থানা পুলিশ অভিযানে গাঁজা সহ এক মহিলা গ্রেপ্তার আরএমপি পুলিশ সার্জেন্ট এসে রুমাল দিয়ে বেঁধে দিলেন আহত নারীর ক্ষতস্থান সন্ধান মেলেনি গোদাগাড়ীতে গায়েব হওয়া আড়াই কোটি টাকার হেরোইনের যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী পরিবার যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭,১৭ ও ২৬ মার্চ পালন করেছে রাঙ্গাবালীতে এস এ স সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান “‘”জামালপুরে ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারি-কে আটক করেছে র‍্যাব-১৪””” বাগমারায় কলেজ শিক্ষককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ গুইমারা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা,সভাপতি শুভ সাধারণ সম্পাদক সাচিং মারমা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুজব প্রতিরোধের বিকল্প নেই : বিভাগীয় কমিশনার রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক যুবক নিহত, আহত আরোহী বন্ধু দুপচাঁচিয়ায় বিট পুলিশিং সভা ও সিসি ক্যামেরার উদ্বোধন উভ/ রাঙ্গাবালীতে মুজিব বর্ষের ঘর পেলেন ১১৮টি পরিবার, ভূমিহীনমুক্ত হলো উপজেলা রাজশাহীর উপশহর মহিলা কলেজে নবীন বরণ

মার্কেট খোলার দাবিতে তৃতীয় দিনেও রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ১২১ বার পঠিত

মার্কেট খুলে দেওয়ার দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীসহ সারাদেশে  বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, দেশে সব কিছুই চলছে তাহলে মার্কেট বন্ধ কেন। দোকান না খুললে আমাদের রাজপথেই থাকতে হবে। এ ছাড়া কোন পথ নেই।
মার্কেট খুলে দেওয়ার দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চাঁদনী চক শপিং কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ করেন ব্যবসায়ী ও দোকানমালিকেরা। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার দাবি জানান। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধের কারণে এসব দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কামাল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, সরকার ভাবুক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না টিকলে দেশও টিকবে না। আমরা নির্দিষ্ট একটা সময় মার্কেট খোলা রাখতে চাই। রমযানে দোকান খোলা না থাকলে কী হবে, জানি না। গত বছরের ক্ষতিই পুষিয়ে উঠতে পারিনি। এ কথা বলেই কেঁদে ফেলেন গ্লোব শপিং কমপ্লেক্সের এই ব্যবসায়ী।
দিলশাদ আফরিন একজন নারী উদ্যোক্তা। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন বিক্ষোভে যোগ দিতে। সেখানে তাঁর একটি কাপড়ের কারখানা আছে। দিলশাদ নিউমার্কেট ও চাঁদনী চকের বিভিন্ন দোকানে কাপড় সরবরাহ করেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার মতো হাজারো নারী উদ্যোক্তা ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। উদ্যোক্তা হয়েছে। অনেক নারী উদ্যোক্তাই এখন খেয়ে না খেয়ে আছে। এ অবস্থায় মার্কেট বন্ধ থাকলে তাঁদের ঋণ শোধ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে জানান তিনি। দিলশাদ অভিযোগ করে বলেন, সরকার নাকি নারীদের বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে। আমরা তো সেসব সুবিধা পাচ্ছি না।
চাঁদনী চক বিজনেস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, গত বছরের সাধারণ ছুটি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ধাক্কা জানুয়ারি মাস থেকে একটু একটু করে সামলে উঠছেন তাঁরা।
মনির হোসেন আরও বলেন, আমাদের কাপড়টা পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে যাবে। তারপর কাস্টমাররা কিনবেন, তারপর টেইলরের কাছে বানাতে দেবে। আমাদের পিক আওয়ার এখন।
মনির হোসেন জানান, থ্রিপিস এবং অন্যান্য জামা ১০ থেকে ১৫ রোজার পর আর বিক্রি হয় না। কারণ, টেইলরের কাজ থাকে পরে। টেইলর যদি অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দেন, তখন তাঁদের কাপড়ও কেউ কিনবে না। তিনি বলেন, আমরা যে বিনিয়োগ করেছি, সেই টাকা কাপড় প্রস্তুতকারী, ব্যাংকের ঋণ, দোকান ভাড়া, কর্মচারীর বেতন, পারিবারিক খরচ এগুলোর পেছনে খরচ করা হয়। সব মিলিয়ে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত। এমনকি আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্রীয় প্রণোদনাও পাই না।
লকডাউনে দোকান খুলে দেওয়ার দাবিতে দেশের বিভিন্ন জায়গার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পুরান ঢাকায় এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। চকবাজার, মৌলভিবাজার ও মিটফোড এবং ইসলামপুরের সাধারণ ব্যবসায়ীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সকল প্রকার দোকান খুলে দেওয়ার দাবি জানান তারা। এদিকে, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সিলেটেও একই ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সোমবার ও রবিবার লকডাউন প্রত্যাহার ও দোকান খোলা রাখার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
এদিকে  গতকাল রাস্তায় নামেন মিরপুর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইলে বিক্ষোভ করে ব্যবসায়ীরা। এসময় তারা মার্কেট খুলে দেয়ার দাবি জানান। এদিকে দুপুর ১২টার দিকে মিরপুর ১ নম্বর চত্বরে  জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা। তারা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সনি সিনেমা হলের সামনের মোড় হয়ে আবার ১ নম্বর মোড়ে ক্যাপিটাল টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সের সামনে এসে জড়ো হন।
মিরপুর ১ নম্বর এলাকার কো-অপারেটিভ মার্কেটের ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, সরকার বিধিনিষেধ দিলেও অফিস-আদালত, বইমেলা, শিল্পকারখানা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই খোলা রেখেছে। তারাও তাদের দোকান সীমিত আকারে খুলতে চান। এই দাবি নিয়ে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন ।
কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছু সময়ের জন্য হলেও দোকান খুলতে চান তারা। কারণ গত বছর রমজানে লকডাউনের কারণে ব্যবসা মন্দা গিয়েছিল। সামনে ঈদ। এবারও দোকানপাট বন্ধ রাখলে তারা বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকায় মার্কেট খোলার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা। বেলা ১১টায় মহাসড়কের শিমরাইল মোড় হাজী আসহান উল্লাহ সুপার মার্কেটের সামনে ১৫ মিনিটের জন্য সড়ক অবরোধ করে দুই শতাধিক ব্যবসায়ী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। এ সময় রবিউল হাসান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ব্যবসায়ীরা দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে দোকান খুলে দেওয়া হয়। নইলে ব্যবসায়ীদের না খেয়ে মরতে হবে।
কুমিল্লায় কান্দিরপাড়-চকবাজার সড়ক অবেরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন ব্যবসায়ীরা। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, কুমিল্লায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার সাথে প্রায় এক লাখ মানুষ সম্পৃক্ত আছে। গত বছরের সাধারণ ছুটির কারণে অনেকগুলো উৎসবে ব্যবসা চালু রাখতে পারেননি তারা। এতে অনেকে ঋণ করে কর্মচারীদের বেতন দিয়েছেন, অনেকে বাধ্য হয়ে কর্মচারী ছাঁটাই করেছেন। ওই ক্ষতি না পুষিয়ে উঠতেই পুনরায় লকডাউন দেওয়ায় হতভম্ব হয়ে পড়েছেন তারা।
তাদের দাবি, সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়াতে মার্চ মাসের শুরুতে সরকার তাদের সতর্ক করতে পারতো। কিন্তু কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই সরকার আকস্মিক সিদ্ধান্ত দেওয়াতে পথে বসতে হচ্ছে তাদের। সামনে পয়লা বৈশাখ ও ঈদুল ফিতর। এসময় সীমিত পরিসরে ব্যবসা চালু রাখার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন, খন্দকার হক টাওয়ারের সভাপতি আনিসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন ও কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সদস্য রিয়াজ উদ্দিন।
কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, ‘আমরা চাই সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সমস্ত দোকানপাট খোলা রাখতে। সরকার যেহেতেু সীমিত পরিসরে অনেক কিছু খোলা রেখেছেন, দোকানপাট খোলা রাখতে সমস্যা কোথায়? আমাদের ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা বেশ সংকটের মধ্যে রয়েছে। সরকার যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে রাস্তায় গিয়ে বসে থাকবো, আর ঘরে ফিরবো না।’ পরে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিলসহ স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের কার্যালয়ে যান।
এমপি বাহার আন্দোলনরত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখুন। বৃহস্পতিবারের পরে ব্যবসায়ী সমিতির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলবো। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কি বলে শুনবো। না হলে স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150