রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঝিনাইগাতীতে ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠিদের নিয়ে নিরাপদ মাতৃত্ব বিষয়ে কমিউনিটি সেশন অনুষ্ঠিত শেরপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নাছরিনের সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সরিষাবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন নওগাঁয় রাতের আঁধারে ধানের পালায় আগুন লাগার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাঃ “বস্টনে পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন” খানকাহ শরীফ মসজিদে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় ও মাজার জিয়ারত করেছেন খায়রুজ্জামান লিটন। শেরপুরে ১০ দফা দাবী বাস্তবায়নে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাবের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠন সভা অনুষ্ঠিত পিবিআই বাগেরহাট জেলার আয়োজন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটির নগর মাতা মেয়র জায়েদা খাতুন সরিষাবাড়িতে এলাকাবাসীর নিজ উদ্যোগে রাস্তার সংস্কার সৌদিতে দুই বাংলাদেশি হজ এজেন্সি মালিককে ৯ লাখ সৌদি রিয়ালসহ গ্রেপ্তার জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট অধ্যক্ষ কামরুননাহার তালোড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২৩ – ২৪ সালের বাজেট ঘোষণা দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান হতদরিদ্রের মাঝে টিউবল বিতরণ নওগাঁ উৎসব মুখর পরিবেশে মধ্যে দিয়ে রিফাত ফল ভান্ডার শুভ উদ্বোধন!! শায়েখ মোহাম্মদ মামুনূর রশীদের আসর টু মাগরিব ক্লাস দুর্গাপুর থানার তিন কর্মকর্তাসহ চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ : ঝিনাইগাতীতে মডেল সমজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি ফৌজদারি আইনে মামলা চলবে চাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে।

মৃত নারীদের ধর্ষণ, যেভাবে শনাক্ত হয় সহকারী ডোম মুন্নার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০
  • ২৭৯ বার পঠিত

Cinn ডেস্ক ঃঃ- মুন্না রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ডোম জতন কুমার লালের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, গত ১ বছরে মুন্না অন্তত ৬ জন মৃত নারীকে ধর্ষণ করেছে। ৬ নারীর এইচভিএসে (হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব) মুন্নার ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। লাশগুলো আত্ম হত্যা জনিত ছিল । ১২ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে তুলনামূলক ভালো লাশ এলেই মুন্না ধর্ষণ করতো।

সিআইডি বলছেন, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের ডোম সহকারী হিসেবে প্রায় ৪ বছর ধরে কাজ করছে মুন্না। শুরু থেকে মর্গেই থাকে সে। ময়নাতদন্তের আগে লাশ রাতে পাহারা দেওয়ার সময় এই কাজে লিপ্ত হতো । সিআইডি কর্মকর্তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না তার এসব অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে।

মুন্নাকে যেভাবে শনাক্ত করে সিআইডি: ২০১২ সালে বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম ডিএনএ ল্যাব স্থাপিত হয়। ল্যাব স্থাপনের পর হতে ধর্ষণ ও হত্যাসহ আদালতের নির্দেশে প্রেরিত সব আলামতের ডিএনএ পরীক্ষা ও প্রোফাইল তৈরি করে সিআইডি। গত বছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ কয়েকটি নমুনা পাঠিয়েছিল সিআইডিকে। সেখানে মৃত নারীর এইচভিএসে পুরুষ বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া যাওয়ায় পূর্ণাঙ্গ ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করার চেষ্টা করে তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিআইডির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কোডিস (CODIS) সফটওয়্যার আমরা সার্চ দিয়ে দেখি। মোহাম্মদপুর ও কাফরুল থানার কয়েকটি ঘটনায় প্রাপ্ত ডিএনএ’র প্রোফাইলের সঙ্গে একই ব্যক্তির ডিএনএ বারবার ম্যাচ করছে। যেটা অনেকটাই অস্বাভাবিক ছিল। ধারণা করা হয়, একজন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা অথবা ধর্ষণজনিত কারণে আত্মহত্যা হয়েছে। কিন্তু মরদেহগুলোতে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।’

আমরা তখন মনে করেছিলাম কোনও না কোনোভাবে ভিকটিমদের মৃতদেহের ওপরে কোনও ব্যক্তির বিকৃত যৌন লালসা চরিতার্থ হয়েছে। প্রতিটি মৃতদেহ মর্গে আনার পর তার মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ বিশ্লেষণ করা হয়। সব লাশই ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রেখে দেওয়া হয়। সেখানে বেশ কয়েকজন ডোম নিয়মিত পাহারা দিতো। কিন্তু এই লাশগুলোর ক্ষেত্রে একজন ডোম সহকারী নিয়মিত ডিউটিতে থাকতো। প্রাথমিকভাবে তাকে সন্দেহ হয় আমাদের। পরবর্তীতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বাইরে নিয়ে গিয়ে কথা বলার নামে, চা খাওয়ার ছলে তার ডিএনএ সংগ্রহ করি আমরা। সেটা সিআইডি ল্যাবে নিয়ে এসে বিশ্লেষণ করলে ওই ৬ মরদেহের ডিএনএ’র সঙ্গে ম্যাচ করে। তখন শতভাগ নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150