Cinn অনলাইন ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় ৩০ বছর মৌলবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালিত হয়েছে উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মৌলবাদের শেকড় অনেক গভীরে, এদের মূলোৎপাটন করা সম্ভব নয়।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এদিন সকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১৯৭১ সালে শহীদ হওয়া বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১৬ আসনের সাংসদ ইলিয়াস মোল্লা, ঢাকা-১৪ আসনের সাংসদ আসলামুল হক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন,পাকিস্তান শাসনামলে প্রায় ৩০ বছর ধর্মের নামে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া পর্যায়ক্রমে ৩০ বছর মৌলবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনা করেছে। মৌলবাদীদের শেকড় অনেক গভীরে। তাই এককথায় এদের মূলোৎপাটন করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদের মূলোৎপাটন করার জন্য জাতি কীভাবে ঐক্যবদ্ধ সেটা নিশ্চয় আপনারা লক্ষ্য করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শিখিয়ে গেছেন আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য। তাই আমরা কোনো পর্যায়েই ওদের বিরুদ্ধে আইন হাতে তুলে নেইনি। আমাদের চেতনা দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতিতে উজ্জীবিত হয়েই রাজনৈতিকভাবে এই বিষফোঁড়া উপড়ে ফেলার জন্য ঐক্যবদ্ধ আছে।
রাজাকারদের তালিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আগে রাজাকারদের তালিকা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিল,আইনগত কোনো ভিত্তি ছিল না। ১৫ দিন আগে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের সংশোধন করে রাজাকারদের তালিকা করার জন্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। জাতীয় সংসদে আগামী অধিবেশনে রাজাকারদের তালিকা প্রণয়নের আইন পাস হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এই তালিকা করার সময় যাতে কারও প্রতি আক্রোশের বশবর্তী না হই, আবার বাড়তি আনুকূল্য দেখানোর জন্য কাউকে যেন বাদ দেয়া না হয়। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আমরা যেন তৃণমূল থেকে এ তালিকা করতে পারি, আইন পাস করার পরে সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে তিনি বলেন, নিশ্চয় আপনারা জানেন, সরকারপ্রধান নীতি নির্ধারণ করেন। তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।