শনিবার, ২৭ মে ২০২৩, ০২:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁয় রাতের আঁধারে ধানের পালায় আগুন লাগার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাঃ “বস্টনে পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন” খানকাহ শরীফ মসজিদে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় ও মাজার জিয়ারত করেছেন খায়রুজ্জামান লিটন। শেরপুরে ১০ দফা দাবী বাস্তবায়নে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাবের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠন সভা অনুষ্ঠিত পিবিআই বাগেরহাট জেলার আয়োজন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটির নগর মাতা মেয়র জায়েদা খাতুন সরিষাবাড়িতে এলাকাবাসীর নিজ উদ্যোগে রাস্তার সংস্কার সৌদিতে দুই বাংলাদেশি হজ এজেন্সি মালিককে ৯ লাখ সৌদি রিয়ালসহ গ্রেপ্তার জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট অধ্যক্ষ কামরুননাহার তালোড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২৩ – ২৪ সালের বাজেট ঘোষণা দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান হতদরিদ্রের মাঝে টিউবল বিতরণ নওগাঁ উৎসব মুখর পরিবেশে মধ্যে দিয়ে রিফাত ফল ভান্ডার শুভ উদ্বোধন!! শায়েখ মোহাম্মদ মামুনূর রশীদের আসর টু মাগরিব ক্লাস দুর্গাপুর থানার তিন কর্মকর্তাসহ চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ : ঝিনাইগাতীতে মডেল সমজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি ফৌজদারি আইনে মামলা চলবে চাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে। শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ১৮২৮ পরিবারের মাঝে সোলার প্যানেল হোম সিস্টেম বিতরণ নওগাঁর মহাদেবপুরে খাজুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত!!!! নওগাঁ জেলা টেলিভিশন.প্রিন্ট এন্ড অনলাইন জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনর সাদেকুল সভাপতি, এম আর রকি সম্পাদক নির্বাচিত

রঙিন মাছ এখন বাণিজ্যের সম্ভাবনাময় খাত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২৮৯ বার পঠিত

বাসাবাড়ি কিংবা অফিসের ভেতরের শোভা বৃদ্ধির জন্যে আমাদের দেশের মানুষের অ্যাকুরিয়াম মাছ পালার শখ আছে। তবে এই শখটি নতুন এক বাণিজ্যেকে প্রসারিত করেছে। অ্যাকুরিয়াম শুধুই একটি কাচের শোপিস নয়, এটি অনেকের জন্য এখন উপার্জনের উৎসও।
খাওয়ার জন্য নয়, পোলার জন্য যে মাছ সেই মাছ চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন ময়মনসিংহ অঞ্চলের চাষিরা। ময়মনসিংহের কয়েকটি উপজেলায় হচ্ছে বাহারি জাতের এসব অ্যাকুরিয়াম ফিসের পোনা উৎপাদন ও চাষ। বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। গবেষকরা বলছেন এসব মাছের বড় অংশই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। তবে দেশে এর চাষ ব্যাপক হারে করা গেলে রয়েছে চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানির সুযোগ।

বাসাবাড়ি কিংবা অফিসের ভেতরের শোভা বৃদ্ধির জন্যে আমাদের দেশের মানুষের অ্যাকুরিয়াম মাছ পালার শখ আছে। তবে এই শখটি নতুন এক বাণিজ্যেকে প্রসারিত করেছে।
ময়মনসিংহ শহরের অলকা নদীবাংলা মার্কটের বেশ কয়েকটি এ্যাকুরিয়াম ফিসের দোকান রয়েছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা অ্যাকুরিয়াম ফিসের কদর ক্রমশ বাড়ছে। এখানকার ব্যাবসায়ি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, অ্যাকুরিয়াম ফিসের প্রতি কম বয়সের ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে। বাসায় নিজেদের সাধ্যমতো শখে মাছ পালন করছে অনেকেই। সরঞ্জামের দাম একটু বেশি। আর মাছের জাত বাড়ানো আরও বাড়ানো গেলে বিক্রি আরো বাড়বে। এই ব্যাবসায় তিনি আরো বিনিয়োগের কথা ভাবছেন।

একই মার্কেটের আরেক ব্যাবসায়ী রাসেল বলেন রঙিন মাছের বেশির ভাগ বিদেশি তাই দামও বেশি। এসব মাছ যদি দেশে উৎপাদন হতো তাহলে শোভাবর্ধনকারি অনেক মাছই ক্রেতার হাতের নাগালে থাকতো। তিনি জানান স্থানীয় ভাবে কিছু চাষ হয় যা তিনি কম দামে দিতে পারছেন। ক্রেতারাও খুশি হচ্ছেন। ময়মনসিংহে বাণিজ্যিক ভাবেও অ্যাকোরিয়াম ফিসের উৎপাদন শুরু হয়েছে। এরকম একটি হ্যাচারি হল আমিন হ্যাচারি অ্যান্ড ফিসারিজ। এই প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল ইসলাম ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধলা এলাকার একজন মাছ চাষী। অন্যান্য মাছের সাথে প্রথমে সখের বসে তিনি একুরিয়ামের মাছ চাষ শুরু করেন। এখন বাণিজ্যিক ভাবে পোনা ও মাছ উৎপাদন করছেন তিনি। সরবরাহ করছেন ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলার অ্যাকুরিয়াম শপগুলোতে। ময়মনসিংহে তিনিই প্রথম এধরনের মাছ চাষ করেন। থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া থেকে পোনা এনে প্রথমে নিজে চাষ করে এর চাষপদ্ধতি শিখেন।

রঙিন মাছ চাষ নতুন হওয়ায় এই কাজে সহযোগিতা করার মতো কাউকে পাননি তিনি। নিজে নিজে শিখেছেন। এখন মাছের রেনু থেকে পোনা উৎপাদন করে পরে বিক্রি করেন। ঢাকার কাটাবনে নিয়মিত মাছ সরবরাহ করেন তিনি। সাইফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে বিশ প্রজাতির অ্যাকুরিয়াম ফিস চাষ করছেন তিনি। পাঠাচ্ছেন ঢাকা, রাজশাহী, বগুরা, সিলেট, খুলনায় বিভিন্ন অ্যাকুরিয়ামের দোকানে। ছোট মাছ প্রতিটি ১২ টাকা থেকে শুরু ৫শ টাকা পর্যন্ত পাইকারি দামে বিক্রি করেন। আর আকারে একটু বড়গুলো দুই হাজার টাকা থেকে প্রতিটি ৫০ হাজার টাকাও বিক্রি হয়।
তিনি আরও জানান, দামি মাছের ক্রেতারা হচ্ছেন দেশে গড়ে ওঠা রিসোর্টগুলো। যারা রিসোর্টের শোভা বৃদ্ধিতে জলাশয়ে রঙিন মাছ রাখেন। জানা গেলো বছরে গড়ে বিশ লাখ টাকার এই মাছ বিক্রি করেন সাইফুল ইসলাম। যেখানে লাভের পরিমাণ মোট বিক্রির ত্রিশ শতাংশ।
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার আরেক মাছ চাষী সেলিম মিয়া বলেন, স্বল্প পরিসরে শুরু করলেও এখন দিনে দিনে তার বাজার বাড়ছে। তিনি অ্যাকুরিয়ম শপগুলোয় সরাসরি সাপ্লাই দেন। দোকানদার ঘরে বসেই তার মাছ পেয়ে যায়। তার ব্যাবসারও দ্রুত প্রসার ঘটছে। তিনি বলেন, এসব মাছ নিয়ে দেশে গবেষণা করে দেশেই অ্যাকুরিয়ম ফিশের জাতের সংখ্যা বাড়ানো উচিত। সহজ চাষ পদ্ধতি বের করা গেলে আমাদের নতুন আয়ের এ পথ আরও গতি পেত। নতুন নতুন উদ্যোক্তা আগ্রহী হতো।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মাছ চাষী লিজন জানান, দেশে চাষ করা মাছের রঙের উজ্জলতা একটু কম থাকে। এটি হয়তো পানির সমস্যা বা খাবারের মাত্রার হেরফের। এই সমস্যা সমাধান করে যদি মৎস বিভাগ আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে উৎপাদন বাড়বে, পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানি কমবে অ্যাকুরিয়াম ফিসের।

ময়মনসিংহে অ্যাকুরিয়াম ফিসের চাষে নতুন কর্মসংস্থানও হচ্ছে। ত্রিশালের মোস্তাফিজুর রহমান জানালেন, আগে বেকার ছিলেন তিনি। পরে কাজ নেন আমিন হ্যাচারি অ্যান্ড ফিসারি প্রজেক্টে। এধরনের মাছ চাষে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও দেখে দেখে শিখে নিয়েছেন তিনি। এখন মাসে আট হাজার টাকা বেতন পান। জানালেন এমন অনেকেই আছে যারা কাজ করছেন এসব মাছ চাষের প্রোজেক্টে।

কথা হয় বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খলিলুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, ভারত, মালয়েশিয়া, চীন ও থাইল্যান্ড উলেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি লাভ করেছে এ ধরনের মাছ চাষ। বাংলাদেশে এখনও একুরিয়াম ফিসের বড় অংশই বিদেশ থেকে আসে। তবে দেশের মাছ চাষীদের এই সেক্টরে আগ্রহী করা গেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা যাবে বিদেশেও। বিদেশে এধরনের মাছের ব্যাপক চাহিদা আছে তাই এই খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন খাতও হতে পারে। যেহেতু বাংলাদেশ মাছ চাষে বিশ্বে অনেক এগিয়ে।

তিনি নিশ্চিত করেন এ লক্ষ্যে, বাংলাদেশে মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ করছে। বিদেশি মাছের পাশাপাশি দেশিয় কিছু মাছের জাতও আছে যা অ্যাকুরিয়ামের জন্য চাহিদা রয়েছে। তাই অ্যাকুরিয়াম ফিস হিসেবে দেশিয় প্রজাতির কিছু মাছের প্রজনন ও চাষ পদ্ধতি নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন তারা। সূত্র-টিবিএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150