সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক ফোরাম (BNJF) নবীগঞ্জ উপজেলা শাখায় নতুন কমিটি অনুমোদন সেলিম সভাপতি সুমন সম্পাদক রাঙ্গাবালীতে নদী থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার মধুপুরে মাস ব্যাপি ক্ষুদ্র শিল্প ও পণ্য মেলা আয়োজন করা হয়েছে। সরিষাবাড়ীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত দিনাজপুর হিলিতে পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখেছেন ভারতীয় ট্রাক চালকরা মধুপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২জন নিহত আহত ১ লালমনিরহাটে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত। নওগাঁর ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান মোঃ আব্দুল জলিল এর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভায় আগমন ওবায়দুল কাদের!! দুপচাঁচিয়ায় আওয়ামী লীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োজন আছে। তবে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে নওগাঁয় দেড় কেজি গাঁজাসহ দু’জন মাদক কারবারি আটক মধুপুরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সরিষাবাড়ীতে-হেলালের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্র উৎসবের নামে মাসব্যাপী গত বছরের ন্যায় খোলা মেলা অশ্লীল যাত্রাপালার প্রস্তুতি!!! সরিষাবাড়ীতে নবনির্মিত গ্রামীণ বাজার দ্বিতল ভবনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত বগুড়ায় ডিবির মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক সহ গ্রেফতার ৪ তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দুপচাঁচিয়ায় গেমস ও এনিমেশন তৈরি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ অপরাধ ও সচেতনার লক্ষ্যে বিভিন্ন মসজিদে বক্তব্য রাখেন কুয়েতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেল ২ বাংলাদেশি রেমিট্যান্স যোদ্ধার

রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মো. সাহাবুদ্দিন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৯ বার পঠিত

ঢাকা প্রতিনিধি: বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে তার শপথ অনুষ্ঠান হয়। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে শপথ পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ এবং কয়েকশ’ বিশিষ্ট অতিথি যোগ দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

মুক্তিযোদ্ধা ও মাঠপর্যায়ের রাজনীতিবিদ মো. সাহাবুদ্দিন ২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হলেন। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৪১ দিনসহ টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১০ বছর ৪১ দিন অতিবাহিত করেন।

স্বাধীনতার পর থেকে ১৭ জন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে মো. আবদুল হামিদই প্রথম ব্যক্তি, যিনি পরপর দু’বার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

মাঠের রাজনীতিবিদ থেকে রাষ্ট্রপতি : মুক্তিযোদ্ধা ও মাঠপর্যায়ের রাজনীতিবিদ মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংকপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শরফুদ্দিন আনছারী, মা খায়রুন্নেসা।

ছোটবেলা কেটেছে পাবনা শহরে। শহরের পূর্বতন গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে রাধানগর মজুমদার একাডেমিতে ভর্তি হন চতুর্থ শ্রেণিতে। সেখান থেকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাসের পর পাবনার এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হয়ে জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে। এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৭২ সালে) বিএসসি পাস করে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ আহ্বানে ছাত্ররাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত অনেকবার বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য লাভ করেন তিনি। ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের পদে থাকা মো. সাহাবুদ্দিন মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ছাত্রলীগে সক্রিয় কাজের ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। ১৯৭২ সালে পাবনার নগরবাড়ী ঘাট জনসভা এবং পাবনা স্টেডিয়ামের জনসভায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্য শুনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে বুকে জড়িয়ে আশীর্বাদ করেন এবং হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসেন।

মো. সাহাবুদ্দিন পাবনা জেলার আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি এবং পাবনা জেলা বাকশালের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে মাঠপর্যায়ের রাজনীতিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন তিনি। ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে তিনি পাবনা জেলা কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মনোনীত হন।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন তিনি। ওই সময় সামরিক স্বৈরশাসকদের রোষাণলে পড়ে ব্যাপক নির্যাতনের পাশাপাশি তিন বছর জেল খাটেন। কারামুক্তির পর পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। শুরুর দিকে পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন সাহাবুদ্দিন। ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) পরীক্ষা দিয়ে বিচারক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে পরপর দুইবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি। বিচারালয়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন শেষে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে ২০০৬ সালে অবসরে যান মো. সাহাবুদ্দিন। এর মাঝে শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান পদেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তখনকার বিচারক সাহাবুদ্দিন। বিচারক জীবনের ইতি টানার পর আবারও তিনি আইন পেশায় ফেরেন। ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কাজ করার সময় সরকার তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

দুদক কমিশনার হিসেবে পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে ওঠা তথাকথিত দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দৃঢ়তার পরিচয় দেন সাহাবুদ্দিন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবনে সাহাবুদ্দিন এক ছেলের বাবা। তার স্ত্রী রেবেকা সুলতানা যুগ্মসচিব ছিলেন। বর্তমানে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক অ্যাডভাইজারের পাশাপাশি ফ্রেন্ডস ফর চিলড্রেন অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150