শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান সহ গ্রেফতার ৩ নওগাঁর পোরশায় ইসলামী আন্দোলনের মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নওগাঁর পোরশায় স্বাভাবিক প্রসব সেবা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত দেশের অধিক জনগোষ্ঠী মানুষ যাতে সেবা পায় সে ব্যাপারে দ্বায়িত্বশীল হতে হবে – জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী মাগুরায় বজ্রপাতে নিহত-২ নওগাঁর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদায় জাতীয় দিবস উদযাপনের অভিযোগ আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন মধুপুরের কুড়াগাছা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে ইফতার মাহফিল কালাই প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত গাইবান্ধায় এসকেএস ফাউন্ডেশন কতৃক মহান স্বাধীনতা উপলক্ষে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রধান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি জয়পুরহাট ইউনিটের মাসিক আড্ডা অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনা যতদিন প্রধানমন্ত্রী আছেন ততদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা বৃদ্ধি পেতেই থাকবে প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার দুপচাঁচিয়ায় চুরি মামলায় দুই আসামি গ্রেফতার নওগাঁ জেলা ষ্টেডিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান মধুপুরে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আসুন ডিজিটাল বাংলাদেশকে বাস্তবে রূপ দিতে একসাথে কাজ করি নওগাঁ টাকা ছাড়া কাজ করেন না ভূমি কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া অতঃপর অভিযোগ সেবাপ্রার্থীদের দুপচাঁচিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শহীদ অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্যের প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা লালমনিরহাটে অসহায় ও গরিব মানুষের মাঝে ১৫ বিজিবির ইফতার সামগ্রী বিতরণ

রায়ের পর অনুলিপি পেতে বিচারপ্রার্থীদের যেন আদালতের বারান্দায় ঘুরতে না হয় -রাষ্ট্রপতি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩৬১ বার পঠিত

কোর্ট রিপোর্টার : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, মামলার রায়ের পর তার কপি (অনুলিপি) পেতে বিচারপ্রার্থীদের যেন আদালতের বারান্দায় ঘুরতে না হয়। একইসঙ্গে চলমান মামলার সংখ্যা আয়ত্তে আনতে বিচাররকদের আরও বেশি কাজ করতে হবে। এদিকে নজর রাখতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে সর্বোচ্চ আদালতের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিওবার্তায় রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বক্তৃতা করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী’। তাই মনে রাখতে হবে, একজন বিচারপ্রার্থীর ন্যায়বিচার পাওয়া তার অধিকার। আর নাগরিকের সে অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
‘এখানে দয়া বা আনুকূল্যের কোনো বিষয় নেই। দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে বিচারক, আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট সবাই তাদের মেধা ও মনন প্রয়োগের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন- সুপ্রিম কোর্ট দিবসে এটাই সবার প্রত্যাশা।
আবদুল হামিদ বলেন, আমি নিজে একজন আইনজীবী হিসেবে জানি বিচারকাজ কত কঠিন ও জটিল। বিচার কার্যক্রম পরিচালনায় একজন বিচারককে কতটা পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু তারপরও আমি বলবো মামলা দিন দিন যে হারে বাড়ছে সেটাকে আয়ত্তের মধ্যে আনতে হলে বিচারকদের আরও বেশি কাজ করতে হবে।
‘সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এবং বিচারকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু বিচারকদের খেয়াল রাখতে হবে মামলার রায় হওয়ার পর রায়ের কপি পাওয়ার জন্য বিচারপ্রার্থীদের যেন আদালতের বারান্দায় দিনের পর দিন ঘোরাঘুরি করতে না হয়। ‘
দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আইনজীবীদের আন্তরিকতা-সততার সঙ্গে সমর্থন প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আইনজীবীরা বিচার ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ। আইনজীবীদের সহায়তা ছাড়া বিচারের কাজ কিছুতেই অগ্রসর হতে পারে না। আমাদের সংবিধান প্রণয়নের সময় যেমন দেশের প্রথিতযশা আইনজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তেমনি যখনই প্রয়োজন হয়েছে তখনই আদালতের ডাকে সাড়া দিয়ে আইনজীবীরা অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে তাদের মতামত দিয়ে আদালতকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছেন।
‘সুপ্রিম কোর্ট দিবসের এই অনুষ্ঠানে আমি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমি আশা করি, জ্ঞানের চর্চায় আইনজীবীরা আগের চেয়ে আরও এগিয়ে যাবেন এবং তাদের মেধা, প্রজ্ঞা, সততা ও আন্তরিকতা দিয়ে বিচারপ্রার্থীদের দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সাহায্য করবেন। ‘
রাষ্ট্রপতি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম হলো শান্তি ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সবার জন্য ন্যায়বিচারের সুযোগ তৈরি করা। উন্নয়নের সঙ্গে ন্যায়বিচার এবং আইন-আদালতের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। একটা কথা মনে রাখতে হবে, বিরোধের মীমাংসা যথাযথভাবে না হলে আস্থার সংকট সৃষ্টি হবে। আর এই প্রক্রিয়া বারবার চলতে থাকলে রাষ্ট্র ও সমাজে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি করে জনগণের ক্ষোভ প্রশমন করে। এতে সমাজে বৈষম্য দূরীভূত হয় এবং রাষ্ট্রে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। আর এভাবেই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। নাগরিকদের আয় ও সুবিধার ভিন্নতা বা আর্থিকভাবে অসচ্ছলতার কারণে কেউ যেন ন্যায়বিচার বা আইনের সমান আশ্রয়লাভ থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে গঠিত হয়েছে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা। আশা করি, এর মাধ্যমে দেশের আদালতে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও দুর্গত বিচারপ্রার্থীরা মামলার শুরু থেকে নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত সব আইনগত সহায়তা পাবে।
প্রযুক্তি ব্যবহার প্রসঙ্গে আবদুল হামিদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এই সময়েও মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আদালত তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ৯ মে, ২০২০ তারিখে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়, যা পরবর্তীসময়ে আইনে পরিণত হয়। ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আদালত প্রাঙ্গণে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য আমি এ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে অনলাইন কজলিস্ট চালু হয়েছে এবং অনলাইন বেল কনফার্মেশন ব্যবস্থা কার্যকরভাবে চলছে। আমি একইভাবে আদালতের সমস্ত কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। সুপ্রিম কোর্ট যেহেতু ‘কোর্ট অব রেকর্ড’, সেহেতু এর সব নথি এবং মামলা দায়ের থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত সমস্ত কার্যক্রমকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি।
’৭৫-পরবর্তী সময়ের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, নিজেদের স্বার্থে জাতীয় সংসদকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে ৫ম ও ৭ম সংশোধনী এনে সেসব কুকীর্তিকে বৈধতা দেওয়ার হীন চেষ্টা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ৫ম ও ৭ম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। নানা বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ড ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন সুসংহত করতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে।
বিচারকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, জাতির ক্রান্তিকালে যখনই প্রয়োজন হয়েছে, তখনই সুপ্রিম কোর্ট মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ও সংবিধানকে রক্ষা করেছে এবং করে যাচ্ছে। তাই আজকের এই সুপ্রিম কোর্ট দিবসের অনুষ্ঠানে আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি সুপ্রিম কোর্টের সেই সব অকুতোভয় বিচারপতিদের যারা বন্দুকের নলের কাছে নতি স্বীকার না করে এবং নিজেদের বিবেককে বিকিয়ে না দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150