এস,আর শরিফুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট।
লালমনিরহাট সদর আসনে বিএনপির নৈরাজ্য ঠেকাতে মাঠের নেতা অ্যাডঃ মতিয়ার রহমানের বিকল্প নেই।সংগঠন গোছাতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অ্যাডঃমতিয়ার রহমান দলীয় মনোনয়ন পাবেন এমনটাই প্রত্যাশা দলীয় নেতা কর্মী বৃন্দের।
লালমনিরহাট সদর আসনে দীর্ঘদিন দলীয় সংসদ সদস্য না থাকায় মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক ভাবে আওয়ামিলীগ অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে,২০০১
সাল থেকে বিগত ২৩ বছরে,সদর আসনে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তির প্রভাবের কারনে দলের ০৪ জন নেতা কর্মী হত্যার স্বীকার হয়েছে।বিএনপির প্রভাবশালী নেতা আসাদুল হাবিব দুলুর নির্বাচনী এলাকা লালমনিরহাট সদর,বরাবরই ভোটের মাঠ দখলে ছিল আসাদুল হাবিব দুলুর।বিএনপির সাংগঠনিক প্রভাবের কাছে ক্ষমতাসীন আওয়ামিলীগ সাংগঠনিক ভাবে কখনো পেরে উঠেনি।এর পিছনের কারন হিসেবে দলীয় সংসদ সদস্য না থাকায় তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা থেকেছে অবহেলিত,এতে ধীরে ধীরে সংগঠন দুর্বল হয়েছে।এই কারনটি চিহ্নিত করে দলের নেতা কর্মীবৃন্দ এবার নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে দলীয় প্রার্থী পাবার আশায়,ক্ষমতাসীন আওয়ামিলীগ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইতিমধ্যে মনোনয়ন পত্র বিক্রি শুরু করেছে।
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃমতিয়ার রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামিলীগের সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা স্বপন,জেলা আওয়ামিলীগের সহ সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা,বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য অ্যাডঃসফুরা বেগম রুমি দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। জোটগত ভাবে জাতীয় পার্টিকে এই আসনটি ছেড়ে না দিলে,জোড় গুঞ্জন রয়েছে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ মতিয়ার রহমান অথবা সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডঃ সফুরা বেগম রুমি এবার মনোনয়ন পেতে পারেন।
জেলা আওয়ামিলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী বৃন্দ ইতিমধ্যে অ্যাডঃমতিয়ার রহমানের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে সাংগঠনিক চিঠি কেন্দ্রে প্রেরন করেছে।জাতীয় শ্রমিক লীগ,আওয়ামি যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ,ছাত্রলীগ চিঠি প্রেরন করার কথা জানিয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্নঃসাধারন সম্পাদক সাখোয়াত হোসেন সুমন খান বলেন লালমনিরহাট জেলায় এ্যড,মতিয়ার রহমানের কোন বিকল্প নেই,কারন তিনি ছারা লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগ অচল।
জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব জহিরুল হক টিটু জানান,যে মানুষটির দিনের শুরু হয় দলীয় নেতা কর্মীদের সমস্যা সমাধানে,আর রাতে ঘুমাতে যান নেতা কর্মীদের কথা চিন্তা করে,দলের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দলকে সুসংগঠিত করার কাজটি সুনিপুন ভাবে করে যাচ্ছেন তিনি,আমাদের অভিভাবক অ্যাডঃ মতিয়ার রহমান কে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হোক এই প্রত্যাশায় কেন্দ্রে আমাদের মতামত জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন,সারা দেশের রাজনৈতিক মাঠের চিত্র একরকম হলেও লালমনিরহাট সদর আসনটি ব্যাতিক্রম,লালমনিরহাট সদর আসনটি বিএনপির হেভিয়েট নেতা আসাদুল হাবিব দুলুর নিজ নির্বাচনী এলাকা হবার সুবাদে, এখানে দলীয় নেতা কর্মীদের অনেক বেশী চ্যালেঞ্জিং এ পড়তে হয়।কারন আসাদুল হাবিব দুলু অনেক জনপ্রিয় এবং সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ একজন রাজনিতীবীদ।তাকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে নেতা কর্মীদের অনেক বেশী চাপ নিতে হয়,দলীয় নেতা কর্মীদের সেই চাপ মাথায় নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক মতিয়ার ভাই সংগঠন গুছিয়েছেন।তার শ্রমের ঘাম,অর্থ,মূল্যবান সময়ের বিনিময়ে এখানে সংগঠন দাঁড়িয়েছে,তাকে রাজনৈতিক ভাবে মূল্যায়ন করা না হলে সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়বে।মতিয়ার রহমান মনোনয়ন পেলে নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে যতটা সহজ হবে অন্য কাউকে দিয়ে সেটি অত সহজ হবে না বলেই, দলের ঐক্যের স্বার্থে আমরা অ্যাডঃমতিয়ার রহমানের মনোনয়ন চেয়েছি। আমাদের আস্থার প্রতীক দলীয় সভানেত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনা দলের স্বার্থে যার হাতে নৌকা তুলে দিবেন,আমরা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করবো।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃমতিয়ার রহমান কে দলীয় মনোনয়ন দেবার জোড়ালো দাবীর প্রেক্ষিতে, আজ বিকেলে শহড় জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসুচী পালিত হয়।বিক্ষোভ কর্ম সূচীতে দলের সর্বস্থরের নেতা কর্মী বৃন্দ অংশ গ্রহন করে।