১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এদিন দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে বলা হয়েছে। দিবসটির ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরতে এদিন অনলাইনে বা যেখানে সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এছাড়া দিবসটির সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন বাস্তাবায়ন কমিটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে এসব সুপারিশ করে। তা আমলে নিয়ে সব স্কুল-কলেজে দিবসটি উদযাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। একই সাথে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ১০০ দিনের কুইজ প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, এসব সুপরিশ করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন বাস্তাবায়ন কমিটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছিল। এতে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছিল।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এ দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরার জন্য এদিন অনলাইনে বা যেখানে সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল। শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছিল, মুজিববর্ষ উদযাপনের উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ১০০ দিনের কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সহায়তায় ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১০ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে এ কুইজ প্রতিযোগিতা চলবে। প্রতিযোগিতায় প্রতিদিন লটারির মাধ্যমে মোট ১০০ জনকে পুরস্কৃত করা হবে। এছাড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে সব অংশগ্রহণকারীদের ১০০টি ল্যাপটপ পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে। অনলাইন এ কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ও সার্বিক সহযোগিতা করতে চিঠিতে বলা হয়েছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা দেশের মানুষের ওপর নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছে। কিন্তু সে নয় মাসের নৃশংসতা ছাপিয়ে গেছে বিজয়ের প্রাক্কালে ১৪ ডিসেম্বর দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরা এদিন রাতের অন্ধকারে লেখক-বুদ্ধিজীবী-শিক্ষাবিদ-চিকিৎসক-সাংবাদিক-প্রকৌশলীদের ধরে নিয়ে হত্যা করে। তাই, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের মাধ্যমে জাতি সেই মহান সন্তানদের স্মরণ করে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।