নরসিংদী প্রতিনিধি ঃঃ- নরসিংদীতে শীতে ছিন্নমূল পাশে ছিন্নমূল পথশিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোকিত নরসিংদী’। এই শীতের শুরুতে ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক ছিন্নমূল শিশুকে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়।
তাদের ভিক্ষাবৃত্তি ও বিপথগামি পথ থেকে
ফিরে আনার লক্ষে সংগঠনটির মূল লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্যেই ছিন্নমূল পথশিশুদের আহার, বস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী প্রদানসহ নিয়মিত লেখাপড়ার জন্য চালু করা হয়েছে পাঠশালাও। সংগঠনটি সারা বছরই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী দান যাচ্ছে পথশিশুদের।
ছিন্নমূল এসব পথশিশুর মাঝে অনেকেই পিতা-মাতা হারা। কেউ বিভিন্ন স্থানে ফেরি করে পানি, বাদাম বিক্রি করছে। কেউ আবার ভিক্ষাবৃত্তি করে রাতে রেলওয়ে স্টেশনেই কাটাতো।
রেলওয়ে স্টেশন ও আশেপাশের বস্তিতে বেড়ে ওঠা এসব পথশিশুদের ‘আলোকিত নরসিংদী’র পাঠশালায় পাঠদানের মাধ্যমে স্কুলগামী করা হচ্ছে বলে জানালেন সংগঠনটির প্রধান আবদুল্লাহ আল মামুন রাসেল। ফলে এ সব পথশিশুদের পরমবন্ধুতে পরিনত হয়েছেন তিনি।
আবদুল্লাহ আল মামুন রাসেল একজন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা। ২০১০ সালে তিনি ‘আলোকিত নরসিংদী’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন উৎসবসহ প্রায় সময়েই পথ শিশুদের মাঝে খাবার, শিক্ষা উপকরণ, নতুন জামা, শীতের সময় শীত বস্ত্র বিতরণ করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর চালু করেন পথশিশুদের পাঠশালা।
রাসেল জানান, নরসিংদীতে প্রায় দেড় শতাধিক ছিন্নমূল পথশিশু রয়েছে। এরা রেলওয়ে স্টেশন ও আশেপাশের বস্তিতে বেড়ে উঠছে। এদের যারা রেলস্টেশনে কাটায়, ভিক্ষাবৃত্তি করে, পানি ও বাদাম বিক্রি করে, ছোট খাটো অপরাধ করে বেড়ায়- তাদেরকে টার্গেটে রেখেই এ তার সংগঠনের কার্যক্রম।
তিনি বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার জন্য আমি পাঠশালায় ৬২ জনকে পাঠদান করে যাচ্ছি। আমার সাথে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবী তরুণরা। আমার বিশ্বাস তরুণরা চাইলেই অনেক কিছু পরিবর্তন করতে পারেন। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ৫/৬ জন করে ছিন্নমূল পথশিশুকে সচেতন করে স্কুলে ভর্তি করানো হচ্ছে। তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
রাসেল আরও জানান, করোনা মহামারিতে অসহায় মানুষের কষ্ট দেখে নিজের জমানো টাকায় খাদ্যসহায়তা দেওয়া শুরু করেন। যা এখনো অব্যাহত রেখেছেন। এই শীতে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ নিয়েও চিন্তিত বলে জানালেন তিনি।