শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত মধুপুর সহকারী পুলিশ সুপারের আবারও বিশাল অর্জন সরিষাবাড়ীতে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে নওগাঁর সাপাহারে আদিবাসী মঙ্গল টুডু নামে এক কৃষকের আম বাগানের গাছ কর্তনের অভিযোগ দুপচাঁচিয়ায় থানা পুলিশের অভিযানে ১০ জন গ্রেপ্তার নওগাঁয় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়াই নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে তুলেনিয়ে ধর্ষণ বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় মুজিবনগর দিবস উদযাপিত নাট্যকার অমৃতলাল বসুর জন্মদিন আজ : নওগাঁ জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় মোহাধুমধামে চৈত্র মাসে শুক্লপক্ষে বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নওগাঁ ঐতিহ্যবাহী ৫ শ বছরের পুরনো রঘুনাথ মন্দিরে রামনবমী জন্ম উৎসব উপলক্ষে ভক্তদের ঢল নেমেছে কালাইয়ে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ অনুষ্ঠিত বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন কালাইয়ে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২৪ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নওগাঁর মহাদেবপুরে বিএনপি ও জামাতনেতা সহ ২১ জনের মনোনয় পত্র দাখিল বগুড়ায় ২২ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ কালাইয়ের জনগণ দুপচাঁচিয়ায় মাদক সেবনের সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ৫ শোক সংবাদ! শোক সংবাদ!! নওগাঁর আত্রাই উপজেলা বিএনপির নয় নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ নওগাঁর ইয়াদ আলীর মোড়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু

হাসপাতালে এএসপিকে পিটিয়ে হত্যা আসামিরা রিমান্ডে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০
  • ৩৮৩ বার পঠিত

Cinn :-বিশেষ প্রতিনিঃ-
মানসিক সমস্যা নিয়ে রাজধানীর আদাবরে ‘মাইন্ড এইড’ নামে একটি হাসপাতালে ভর্তির পর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপনকে (৩৫) ওই হাসপাতালের কর্মচারীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাসপাতালের ১০ জন কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালের ভেতরে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতাল কক্ষে পুলিশ কর্মকর্তাকে পেটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ও র‌্যাব তদন্ত করছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরও তদন্ত শুরু করছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মাইন্ড এইড সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড ডি-অ্যাডিকটেড হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় (৩৫), কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির (২৩), কিচেন শেফ মো. মাসুদ (৩৭), ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান (১৮), ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন (১৯), তানিফ মোল্লা (২০), সঞ্জীব চৌধুরী (২০), অসীম চন্দ্র পাল (২৪), লিটন আহাম্মদ (১৮) এবং সাইফুল ইসলাম পলাশ (৩৫)।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, সোমবার দুপুরে এএসপি আনিসুল করিম শিপনকে আদাবরের ‘মাইন্ড এইড’ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই নিথর অবস্থায় তাকে ওই হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের অভিযোগের পর পুলিশ ওই হাসপাতাল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ফুটেজে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন কর্মচারী আনিসকে মারধর করছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আনিসুল করিমের ভাই রেজাউল করিম জানান, তার ভাই কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার সকালে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যাই। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাউন্টারে ভর্তির ফরম পূরণের সময় কয়েকজন কর্মচারী তাকে দোতলায় নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আমাদের জানানো হয়, আনিসুল সংজ্ঞা হারিয়েছে। সেখান থেকে তাকে দ্রুত জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে হাসপাতালের সহকারী ম্যানেজার আল আমিনের দাবি, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় হাসপাতালের কর্মচারীরা পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যেই কী থেকে কী হয়ে গেল, বুঝা মুশকিল।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ গতকাল দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, হাসাপাতালে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আনিসুলের বাবা ফাইজ্জুদ্দিন আহমেদ একটি হত্যা মামলাও দায়ের করেছেন। মামলায় ১৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। তিনি বলেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, একটি হত্যাকাণ্ড। তিনি আরও বলেন, এটি কোনো হাসপাতাল নয়; এটি একটি নিরাময় কেন্দ্র। সরকারি মানসিক হাসপাতালে ভর্তির কিছু পরেই আনিসুলকে ওই নিরাময় কেন্দ্রে নেয়া হয়। এর পেছনে ‘দালালদের’ সংশ্লিষ্টতার আভাস দিয়ে উপ কমিশনার হারুন বলেন, কেন তাকে সেখানে নেয়া হল সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, গ্রেফতার সবাই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। ওই হাসপাতালের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। অবৈধভাবে তারা বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপ কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, পরিবারের সদস্যরা আনিসুল করিমকে আদাবরের ওই হাসপাতালে নিয়ে যান সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। সেখানে প্রথমে তাকে নাস্তা খেতে দেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর তিনি ওয়াশরুমে যেতে চাইলে হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় তাকে দোতলায় নিয়ে যান। তার বোন উম্মে সালমা সেখানে যেতে চাইলে তাকে বাধা দিয়ে গেট আটকে দেয়া হয়। আনুমানিক বেলা ১২টার দিকে আরিফ মাহমুদ জয় নিচে এসে আনিসুল করিমের বোনকে দোতলায় নিয়ে যান। সেখানে আনিসুল করিমকে একটি রুমের ফ্লোরে নিস্তেজ অবস্থায় শোয়া দেখতে পান তার বোন। দ্রুত জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নেয়া হলে চিকিৎসকরা আনিসুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) ফারুক মোল্লা সোমবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, বরিশাল থেকে সোমবারই গাজীপুরের বাসায় গিয়েছিলেন আনিসুল। ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ থাকায় তিনি চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন আদাবরের ওই হাসপাতালে। সেখানে ‘চিকিৎসার নামে এলোপাতাড়ি মারধর’ করা হলে আনিসুলের মৃত্যু হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল।
ভিডিও ফুটেজে যা আছে: উপ কমিশনার হারুন বলেন, সেখানে আসলে কী ঘটেছিল তা জানতে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ তারা বিশ্লেষণ করেছেন। দেখা গেছে কয়েকজন মিলে মারতে মারতে আনিসুল করিমকে হাসপাতালের দোতলার একটি রুমে ঢোকায়। সেখানে তাকে মেঝেতে উপুড় করে শুইয়ে ফেলা হয় এবং তিন-চারজন পিঠের উপর হাঁটু দিয়ে চেপে বসে। কয়েকজন তার হাত ওড়না দিয়ে পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলে। কয়েক জন আসামী কনুই দিয়ে তার ঘাড়ের পেছনে ও মাথায় আঘাত করে। একজন মাথার উপরে চেপে বসে এবং সকলে মিলে পিঠ, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আনিসুল করিম নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এক প্রশ্নের জবাবে উপ কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, রোগী ভাগিয়ে আনার ক্ষেত্রে ডাক্তারদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারো জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ জন রিমান্ডে: এএসপি আনিসুল করিমকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান এতথ্য জানান। পুলিশ জানায়, এএসপি আনিসুল করিম হত্যা মামলায় গ্রেফতার ১০ আসামীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে প্রত্যেককে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ‘আসামীরা সবাই হাসপাতালে বাবুর্চি, ওয়ার্ডবয়, মার্কেটিং অফিসার ও কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কর্মরত। মামলার এজাহারে বর্ণিত ১১-১৫ নম্বর ক্রমিকে আসামীরা অনুমাদন ব্যতীত হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে চিকিৎসার নামে অবৈধ অর্থ অর্জন করে আসছিল।’ এতে আরও বলা হয়, ‘এই মামলার ভিকটিম আনিসুল করিমকে উন্নত চিকিৎসার আশায় মামলার বাদী গত ৯ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মানসিক চিকিৎসা দিতে পারেন এমন কোনো ডাক্তার হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন না। আসামীরা চিকিৎসা দেয়ার অজুহাতে ভিকটিমকে বলপ্রয়োগ করে হাসপাতালের দোতলায় স্থাপিত একটি অবজারভেশন কক্ষে নিয়ে যায়। আসামীরা ভিকটিমকে মারতে মারতে অবজারভেশন কক্ষে ঢোকায়। তার ঘাড়, পিঠ ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে রুমের মধ্যে উপুড় করে ফেলে দেয়। কয়েকজন ভিকটিম পিঠে চড়ে বসে, কয়েকজন মাথার ওপর আঘাত করে, কয়েকজন দুই হাত পিঠমোড়া করে ওড়না দিয়ে বাঁধে।’ আসামীদের এমন অমানসিক নির্যাতনে ভিকটিম আনিসুল করিমের মৃত্যু হয়। এজাহারনামীয় ১১-১৫ নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত আসামীরা পলাতক। তাদের বর্তমান অবস্থান নির্ণয়পূর্বক গ্রেফতারের স্বার্থে পুলিশ হেফাজতে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা: আনিসুল করিম বরিশাল মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনারের পদে ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরে। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ, র‌্যাব ও পুলিশ সদরদফতরেও তিনি কাজ করেছেন। ৩১তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে মেধা তালিকায় তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন বলে সহকর্মীরা জানিয়েছেন। আনিসুল করিমের বাবা ফাইজ্জুদ্দিন আহমেদ পুলিশের একজন সাবেক ওসি এবং মুক্তিযোদ্ধা। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে আনিসুল ছিলেন সবার ছোটো। তার বড় ভাই রেজাউল করিম বলেন, পেশাগত ও পারিবারিক কারণে একটা মানসিক চাপ ছিল আমার ভাইয়ের উপর। সে কারণে তাকে ডাক্তার দেখাতে নেয়া হয়। শুনেছিলাম ওই হাসপাতালটার পরিবেশ তুলনামূলক ভালো। কয়েজন ভালো ডাক্তার নাকি বসেন, সেজন্যই সেখানে গেছি। কিন্তু সেখানে নেয়ার পর কোনো ডাক্তার দেখার আগেই হাসপাতালের কর্মচারীরা আনিসুলকে মারধর করে জানিয়ে রেজাউল বলেন, ‘ও যখন নিস্তেজ হয়ে গেল, তখন একজন মহিলা ডাক্তার এসে তাকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করে। আমার ভাইকে চিকিৎসার নামে হত্যা করা হয়েছে।’ চার বছরের এক পুত্র সন্তানের জনক আনিসুল করিমকে গতকাল সকালে গাজীপুর কেন্দ্রীয় গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে বলে জানান তার ভাই। এর আগে স্থানীয় ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আজাদ মিয়া, কাপাসিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খানসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের জনগণ অংশ নেয়।
অবৈধ হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়া হবে: তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ জানান, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এখন পর্যন্ত মাইন্ড এইড হাসপাতালটির কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনও অনুমোদন নেই, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের কোনও অনুমোদন নেই, চিকিৎসক নেই। কয়েকজন রোগী রয়েছে। তারা চলে গেলেই অবৈধ হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হবে। তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরেরও কোনো লাইসেন্স নেই। একটি মানসিক হাসপাতাল চালানোর জন্য যা যা দরকার তার কোনো কিছু দেখাতে পারেনি। ওয়ার্ড বয়, কো-অর্ডিনেটর ও ম্যানেজার মিলেই ডাক্তারের কাজ করে সেখানে। অন্যান্য যারা কাজ করেন তারাও কেউ উচ্চ শিক্ষিত নন। তাহলে কীভাবে একটি হাসপাতাল চলতে পারে।’ পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, ‘কীভাবে একজন মানুষকে সবাই মিলে হত্যা করল। এভাবেই তারা মানুষকে ধরে বেঁধে চিকিৎসার নামে টাকা হাতিয়ে থাকে। সিনিয়র এএসপি আনিসুলকে হত্যার পাশাপাশি আরও যাদের হয়রানি করেছে তাদেরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150