মোঃ সালাউদ্দিনঃ
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার সোলার প্যানেল স্থাপনের বিষয়ে নানানমুখি ষড়যন্ত্র করার অপচেষ্টা করছে সার্থ বাজ ভিন্নমতের কিছু হীনমনের মানুষ।
এসব ষড়যন্ত্রকারীরা বসবাস করে বিদুৎতের আলোতে।
বিরোধীতার খাতিরে বিরোধীতা করাই তাদের পেশা হয়ে দাড়িয়েছে।
এসব বিরোধীতা কর্মকান্ড করার জন্য গঠন করেছে একটি সমিতিও ।
সরকার যখন পাবর্ত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর মাধ্যমে সোলার প্যানেল স্থাপন করে প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
এ উন্নয়ন দেখে মন জ্বলে পুড়ে ছারখার হচ্ছে হীনমনের একটি মহলের।
তারা উন্নয়নে বিশ্বাসী নয়। তারা অপপ্রচারে বিশ্বাসী। দূর্ঘম এলাকার অসহায় মানুষ বিদুৎতের আলোতে ফুটে উঠুক এই মহলটির পচন্দ নয়।
কারন তাদের ধারনা পরিবার গুলোর মাঝে সোলার প্যানেল স্থাপন হলে ভবিস্যৎ ভোটের মাঠে কপাল পুড়বে।হওয়া যাবে না স্থানিয় সরকার প্রতিনিধি।
এবিষয়ে ইন্দ্রমনি পাড়ার পাড়া কারবারী ইন্দ্রমনি চাকমা বলেন,তার পাড়াতে ১১৪ পরিবার বহুকাল বিদ্যুবিহীন ভাবে বসবাস করছে।
সরকার ইতিমধ্যে তার এলাকার মানুয়ের জন্য সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্প নিয়েকাজ করছে।
এজন্য সরকারকে পাড়া বাসির পক্ষ থেকে তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন,ইন্দ্রমনি পাড়ায় এমন উন্নয়ন মুসলিম পাড়া এলাকার নামধারী সমিতির লোকজনের পচন্দ হচ্ছে না।
তারা নানানমূখি ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
কিন্তু ওই সমিতির লোকজন বিদ্যুৎ এলাকায় বসবাস করে।তাদের তো কষ্ট নেই।
এরপরেও তারা সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য আক্রোশ হয়ে পড়েছে।
সোলার প্যানেল বিতরন বন্ধে সরকারের উন্নয়ন বাধা গ্রস্ত করতে মেতে উঠেছে নানান মূখি অপপ্রচারে।
তিনি বলেন,এই ওয়ার্ড়ে তিনজন মেম্বার প্রার্তী হয়েছে।
যোগ্য লোককে তারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।
পরাজিত সাবেক মেম্বার নির্বাচনের পরে তার লোকজন নিয়ে সমিতি নাম দিয়ে সবসময়ে নির্বাচিত মেম্বারের উন্নয়ন কাজের পিচনে লেগে আছে।
তিনি ইন্দ্রমনি পাড়া বাসীর পক্ষ থেকে এসব অপপ্রচার ও উন্নয়ন বিরোধীদের বিচার এবং প্রতিবাদ জানান।
পাড়া কারবারী সুনীতি চাকমা জানান,তার এলাকায় বিদ্যুৎ বিহীন ভাবে ২৫ পরিবার বসবাস করে।
সরকার সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্প নিয়েকাজ করছে দেখে পাড়ার সকলেই খুশি হয়েছে।
ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া সহ জীবন মান পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে তারা।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে সাবেক মেম্বার তার কিছু লোক নিয়ে একটি সমিতি করে এ ওয়ার্ড়ের উন্নয়নে সবসময় অপপ্রচার করে।
এতে করে ওযার্ড়ের অসহায় মানুষ বেশি বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।নির্বাচনে হেরে গিয়ে এসব করা ঠিক নয়।
তার জানামতে সোলারের বিষয়ে তার পাড়ার অনেক লোক ছবি তোলার টাকা ছিলো না,মেম্বার নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে গরিব মানুষদের কাগজ পত্র ঠিক করে দিয়েছে।
অপরদিকে সাবেক মেম্বার যারা বিদ্যুতের এলাকায় থাকে তাদের নিয়ে অপপ্রচার করছে ।
অসহায় মানুষ গুলোর উন্নয়নে বাধা হয়ে দাড়িছে।
রবিন্দ্রপাড়ার পাড়া কারবারী নগেন্দ্র ত্রিপুরা বলেন,তার পাড়ায় বিদ্যুৎ বিহীন ভাবে ৩২ পরিবার বসবাস করে। কত কষ্টে চলে তাদের জীবন সেটা তার এলাকার মানুষ ছাড়া বিদ্যুৎ এলাকার মানুষ কখনো বুঝবেনা।
যার নলকূপ নেই সে জানে পানির কি কষ্ট।মেম্বার এসব এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।বর্তমান চেয়ারম্যান ও মেম্বার তাদের এলাকায় অনেক উন্নয়ন কাজ করেছে।
এ এলাকার মানুষের ক্ষতির জন্য সাবেক মেম্বার কিছু লোক নিয়ে সমিতির নাম দিয়ে সবসময় এমন করে।
এতে করে অনেক সময় তার এলাকার ত্রিপুরা জনগোষ্টির অনেক অসহায় পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে।
কবুতর ছড়া এলাকার সাবেক গ্রাম সর্দার বাবুল মিয়া জানান,সোলার বিতরন হয় কিন্তু বাঙ্গালীরা তেমন পায় না।তবে এবার কবুতরছড়া এলাকায় ১২৬ পরিবার পাচ্ছে সরকারের এ বিশেষ সুবিধে।বিদ্যুৎ এলাকায় বসবাস করে মুসলিম পাড়া এলাকার ষড়যন্ত্রকারী কিছু লোক জন মেম্বারকে হেয় করতে অসহায়দের ভাগ্য নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে।
এমন হলে অসহায় লোকজন বসে থাকবে না।
এ বিষয়ে গুইমারা ইউনিয়নের পাচঁ নাম্বার ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য দিদারুল আলম জানান,পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রতিটি গ্রামে গিয়ে যাচাই করে সোলার প্যানেল স্থাপনে তালিকা প্রনয়ন করেছে।
সরকারের এ মহতি উদ্যোগের ফলে এ ওয়ার্ড়ের লোকজন আলোর মূখ দেখছে।এ আলোতে অসহায় পরিবার গুলোর ছেলে মেয়েদের ভবিস্যৎ আলোকিত হবে ।
এ সোলার গুলো অসহায় মানুষের স্বপ্ন।এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে অসহায় মানুষ গুলো।
বিদ্যুৎ এলাকায় থেকে সমিতির নাম দিয়ে লোকজনকে দমক, হুমকি ,মারধর,ষড়যন্ত্র করে কি লাভ হবে।
আমার উপর ক্ষোভ করে অসহায় মানুষের ক্ষতি করে কি হবে।এ এলাকায় সোলার বিতরন সরকারের উন্নয়নের বিরাট একটা অংশ।
অপরাজনিতি আর অপপ্রচার করে অসহায় মানুষের ক্ষতি করা যায়,জনপ্রিয় হওয়া যায় না।