সেঞ্চুরি ছিল বিরাটের কাছে সকাল, দুপুর, রাতের খাবার টেবিলের খাবারের মতো। কিন্তু সেই বিরাট শেষবার সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন অনেক আগেই। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সটাও ভালো যাচ্ছেনা, অন্তত কোহলি নামের সাথে বেমানান। কিন্তু কোহলির এই খারাপ সময়ের পারফরম্যান্স হিসাব করলে দেখা যাবে অনেক ভালো প্লেয়ারের বেটার পারফরম্যান্স থেকেও বেটার।
তবুও কোহলির পারফরম্যান্স নিয়ে আজকাল ট্রল-সমালোচনা হয়। আসলে এটা কোহলির ব্যর্থতা না বরং আমাদের ক্রিকেট ফ্যানসদের চাওয়াটাই বেশী তার কাছ থেকে। যেমনঃ ফুটবলে অনেক ভালো প্লেয়ার আছে যারা ৫-৬ম্যাচ গোলবিহীন থাকলেও কোনো খবর থাকেনা।
কিন্তু রোনালদো-মেসি ২-৩ম্যাচ খারাপ খেলুক শুরু হবে তাদের নিয়ে লেখালেখি, ট্রল-সমালোচনা অহরহ। তারা জোড়া গোল করার পরও আমাদের আপসোস থাকে আরেকটি গোল করে হ্যাট্রিক কেনো করলোনা। এই চাওয়া, প্রত্যাশাগুলোই প্রমাণ করে তাদের প্রতি আমাদের চাওয়ার পরিমাণটাই বেশী। তাই তাদের এভারেজ পারফরম্যান্সগুলো আমাদের কাছে খারাপ সময় হয়ে ফুটে উঠে।
ফুটবলে ম্যারাডোনা-পেলের গল্প শুনেই আমাদের সময় কাটে, কিন্তু সেই গল্পের পূর্ণতা উপভোগ করি মেসি-রনে। তেমনি ক্রিকেটেও অনেক লিজেন্ডের গল্প শুনে বড় হওয়া। তাদের মধ্যে অনেক লিজেন্ডের খেলা দেখার সুযোগ হয়নি কিংবা অল্প সময়ই সুযোগ হয়েছে। এমনকি ক্রিকেটের বরপুত্র স্যার শচীনের খেলাও বেশীদিন দেখার সুযোগ হয়নি, তবে তাতে আফসোস কোথায় একজন ক্রিকেট ফ্যান হিসেবে?
আমাদের কাছে বর্তমানে গল্পের শচীন যেনো বিরাটের মধ্যেই ২২গজে এখনো গল্প লিখে যাচ্ছে। বিরাট কোহলি মানুষটা কারো কাছে বেয়াদব, কারো কাছে অসভ্য, কারো কাছে একজন ভারতীয়। তবে এইসবকিছু চাপিয়ে বিরাট কোহলি মানুষটা আমার কাছে স্রেফ ২২গজের একজন কিংবদন্তী।