শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় দুই মাদক বিক্রেতা সহ গ্রেফতার তিন মাদক উদ্ধার নওগাঁর পৌর বাজারসহ বিভিন্ন গরুর মাংসের দোকানে বেঁধে দেওয়া চেয়ে বেশি মুল্য বিক্রি করছে ভারতের বিখ্যাত চিকিৎসক ড,দেবি সেঠীর হৃদরোগ এড়ানো বিষয়ে পরামর্শঃ নওগাঁর ধামইরহাটে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে অসহায় হতদরিদ্রদের মাঝে নগদ অর্থ ও হুইল চেয়ার বিতরণ করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী কইল সার্বজনীন শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে ১৬ প্রহর ব্যাপী লীলা কীর্তন শুরু দুপচাঁচিয়ায় নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান সহ গ্রেফতার ৩ নওগাঁর পোরশায় ইসলামী আন্দোলনের মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নওগাঁর পোরশায় স্বাভাবিক প্রসব সেবা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত দেশের অধিক জনগোষ্ঠী মানুষ যাতে সেবা পায় সে ব্যাপারে দ্বায়িত্বশীল হতে হবে – জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী মাগুরায় বজ্রপাতে নিহত-২ নওগাঁর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদায় জাতীয় দিবস উদযাপনের অভিযোগ আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন মধুপুরের কুড়াগাছা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে ইফতার মাহফিল কালাই প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত গাইবান্ধায় এসকেএস ফাউন্ডেশন কতৃক মহান স্বাধীনতা উপলক্ষে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রধান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি জয়পুরহাট ইউনিটের মাসিক আড্ডা অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনা যতদিন প্রধানমন্ত্রী আছেন ততদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা বৃদ্ধি পেতেই থাকবে প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার দুপচাঁচিয়ায় চুরি মামলায় দুই আসামি গ্রেফতার নওগাঁ জেলা ষ্টেডিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান মধুপুরে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ডায়ালাইসিস চিকিৎসার উপকরণ না থাকায় রংপুর মেডিকেলে রোগীরা মহাবিপাকে !

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ মে, ২০২৩
  • ৫২ বার পঠিত

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ!

শোয়েব হোসেন —

ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি বিভাগে ডায়ালাইসিস চিকিৎসার প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই। বাইরে থেকেই সব উপকরণ কিনতে হচ্ছে রোগীদের। একবার ডায়ালাইসিস করতে কমপক্ষে তিন হাজার টাকার উপকরণ কিনতে হয়। ফলে মহাবিপাকে রয়েছেন রোগী ও স্বজনরা।

তাছাড়াও অর্থের অভাবে অনেকের ডায়ালাইসিস বন্ধ রয়েছে। কারও কারও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
এরই মধ্যে গত ১৫ দিনে ১২ জন কিডনি রোগী মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন স্বজনরা। অথচ হাসপাতালের পরিচালক ইউনুছ আলী জানিয়েছেন,
এত রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি তার জানা নেই!

কিডনি রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে ডায়ালাইসিস চিকিৎসার যন্ত্র ছাড়া কোনও উপকরণ নেই। সবকিছু বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে রোগীদের। এ নিয়ে বারবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করলেও কোনও ব্যাবস্থাই হয়নি। উপকরণ কিনতে না পেরে সপ্তাহে দুই বারের পরিবর্তে মাসে একবার ডায়ালাইসিস করছেন দরিদ্র রোগীরা। যারা প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনতে পারছেন না, তাদের চিকিৎসা চলছে না। এতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে কারও কারও মৃত্যু হচ্ছে বিনা চিকিৎসায়।

ডায়ালাইসিস বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা বলছেন, কর্তৃপক্ষকে বারবার লিখিতভাবে জানানোর পরও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে ডায়ালাইসিস সেবা অনেকটা বন্ধ হওয়ার পথে এবং রোগীর সংখ্যাও কমে গেছে।

সরেজমিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২য় তলায় অবস্থিত ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডে ঘুরে এবং কিডনি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে ১২ জনের মৃত্যু ও অনেকের শারীরিক অবস্থার অবনতির তথ্য জানা গেছে।

পঞ্চগড় থেকে রংপুর মেডিকেলে কিডনি ডায়ালাইসিস করতে এসেছেন আছমা বেগম। তিনি বলেন, ‘উপকরণ কিনতে না পারায় আমার ডায়ালাইসিস হচ্ছে না।
একই কথা জানালেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা থেকে আগত রহিমা বেগম ও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থেকে ডায়ালাইসিস করতে আগত মনোরঞ্জন বর্মন।

তারা জানিয়েছেন, একজন কিডনি রোগী ২০ হাজার টাকা জমা দিয়ে সপ্তাহে দুদিন করে ৪৮ বার ডায়ালাইসিস করাতে পারেন। এটি রোগীদের প্যাকেজ সুবিধা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যাদের দুটো কিডনি বিকল, একমাত্র তাদের সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করানো হয়। আগে সব ধরনের উপকরণ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হতো। কিন্তু, গত ছয় মাস ধরে প্রত্যেক রোগীকে ডায়ালাইসিসের সব উপকরণ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। সব উপকরণ বাইরে থেকে কিনে আনলে তবেই ডায়ালাইসিস করানো হয়। এসব উপকরণ কিনতে ২৭০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করলে ছয় হাজার টাকা লাগে। সে হিসাবে মাসে আটবার ডায়ালাইসিস করতে ২৪ হাজার টাকা লাগে। একজন রোগীর পক্ষে এই ব্যয়ভার বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এজন্য ডায়ালাইসিস করাতে পারছেন না তারা।

ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুর মেডিকেলে ডায়ালাইসিস করতে আসা সালমা বেগম বলেন, ‘ডায়ালাইসিস করাতে পানি, রক্ত, ক্যানুলা, সুঁচ, গজ ও ব্যান্ডেজসহ সবকিছু বাইরে থেকে কিনতে হয়। সপ্তাহে দুই দিনে খরচ লাগে প্রায় আট হাজার টাকা যা কিনা মাসে ৩৬ হাজার টাকা। এভাবে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমি এখন নিঃস্ব।

রংপুর সদরের মমিনপুর থেকে শাহেরা বেগমের কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হাসপাতালে এসেছেন তার ছেলে সফিউল আলম। তিনি জানান, তার মায়ের প্রতিবার ডায়ালাইসিস করাতে তিন-চার হাজার টাকার উপকরণ কিনতে হয়। কিন্তু উপকরণ কিনতে না পারায় মাসে আট বারের পরিবর্তে চার বার করাতে হচ্ছে ডায়ালাইসিস।
এতে তার মায়ের অবস্থার অবনতি ঘটছে।

একই সমস্যার কথা বললেন নীলফামারী থেকে আগত মমতাজ আলী ও দিনাজপুরের হিলি থেকে আগত মোকতার হোসেন। মমতাজ আলী বলেন, ‘ইতিমধ্যে শেষ সম্বল একটি করে গরু বিক্রি করে উপকরণ কিনে ডায়ালাইসিস করিয়েছি। এরপর এত টাকা ব্যয় করে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই আমার।

ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডের নার্স মো. রানা বলেন, এখানে ২৬টি ডায়ালাইসিস মেশিন আছে। সবগুলোই সচল কিন্তু উপকরণ সরবরাহ না থাকায় অনেকের পক্ষে ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হচ্ছে না। আগে রোগীদের জায়গা দিতে পারতাম না। এখন রোগী নেই। যারা আসছেন তারা বাইরে থেকে সব উপকরণ কিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আ ম আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ডায়ালাইসিস চিকিৎসাসেবার প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ নেই।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সমাধান হচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে উপকরণ দিচ্ছে না। এ জন্য রোগীদের সেবা দিতে পারছি না আমরা।

এই খবর প্রচার-প্রকাশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সচেতন ও প্রভাবশালী মহলকে যতোদ্রুত সম্ভব সুষ্ঠু ব্যাবস্থা ও সমাধানের জন্য সার্বিক সহযোগিতা কামনায় দৃষ্টি আকর্ষন করা হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150