সুশান্ত মালাকার দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ=
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা ধীন উনাহত সিংড়ায় (৪) বছরের এক শিশু কন্যাকে যৌন পীড়নের অভিযোগে তসলিম উদ্দিন মন্ডল (৬০) ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার তছলিম উদ্দিন মণ্ডল উপজেলার উনাহত সিংড়া, মৃত তয়েজ উদ্দিন এর ছেলে।
দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় গত (২৬ মে) শনিবার ওই শিশু কন্যাটি বাড়ির পাশে তছলিম উদ্দিন মণ্ডলের দোকানে আইসক্রিম কিনতে যায়। যাওয়া পর তছলিম উদ্দিন মন্ডল ওই শিশু কন্যাকে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে সু-কৌশলে দোকান ঘরের ভিরতে নিয়ে গিয়ে ঝাপ বন্ধ করে ওই শিশু কন্যার স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত দিয়ে যৌন পীড়ন করে এবং অনৈতিক কাজ করার চেষ্টা করে। এসময় ওই শিশু কন্যা কান্নাকাটি শুরু করলে এক পর্যায়ে তছলিম উদ্দিন মন্ডল শিশুটির হাতে আইসক্রিম ও দুইটি চকলেট ধরিয়ে দিয়ে কাউকে কিছু যেন না বলে এ কথা বলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। শিশু কন্যাটি বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করলে পরিবারের লোকজন তাকে জিজ্ঞাসা করে সে পরিবারের লোকজনের কাছে সবকিছু খুলে বলে। পরে ওই কন্যা শিশুর পিতা মোঃ হয়রত আলী সোনার (৪০) সাং উনাহত সিংড়া, বাদী হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিবার ২৮ মে আসামির নিজ এলাকা উনাহত সিংড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।
অপর আরেকটি অভিযোগে থানা পুলিশ দুপচাঁচিয়া উপজেলা ধীন দুপচাঁচিয়া মেইল বাসস্ট্যান্ড মাঝি পাড়া (৭) বছরের এক শিশু কন্যাকে যৌনপীড়নের অভিযোগে রাজুন প্রমানিক (৪৮) ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার রাজুন প্রমানিক (৪৮) কাহালু উপজেলার ভাটাহার মৃত ফয়েজ উদ্দিন (ফয়ান) এর ছেলে। সে বর্তমান দুপচাঁচিয়া উপজেলাধীন মেইল বাসস্ট্যান্ড মাঝিপাড়া মোঃ সাইফুল ইসলাম এর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। দুপচাঁচিয়া থানা সূত্রে জানা যায়
গত (২৮ মে) শনিবার শিশুকন্যা ৭) বাড়ির পাশে আম বাগানে আম কুড়াতে যায়। এবং দীর্ঘ সময় পড় শিশু কন্যাটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে আসে এসে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বমি করতে থাকে। শিশুটির মা শিশুটিকে কি হয়েছে বলে জিজ্ঞাসা করিলে সে জানায় রাজুন প্রমানিক তাকে অনেক আম দিবে বলে কৌশলে তার নিজ স্বয়ং কক্ষে নিয়ে গিয়ে তার বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয় এবং এক পর্যায়ে তার মুখের ভিতরে অনৈতিক কাজ করার চেষ্টা করে। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে আসামী রাজুন প্রমানিক তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করে কাউকে কিছু না বলার জন্য শাসিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। শিশু কন্যাটির বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজনকে সবকিছু খুলে বলে। পরে ওই শিশু কন্যার বাবা মোঃ মহাসিন আলী মিয়া (৪৫) পিতা মৃত মোফাজ্জুল হোসেন মিয়া, সাং বীরকেদার ফকিরপাড়া, কাহালু, বর্তমান ঠিকানা মেইল বাস স্ট্যান্ড মাঝিপাড়া মোঃ খোরশেদ মাস্টারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। বাদী হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার (২৮ মে) আসামির নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়কে সোমবার (২৯ মে) বগুড়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।