সুশান্ত মালাকার দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ=
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশের অভিযানে বুধবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য গাজা, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেন।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় এসআই (নিঃ) সুজাদ্দৌলা সরকার দুপচাঁচিয়া থানা, বগুড়া সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় দুপচাঁচিয়া থানাধীন তালোড়া ইউনিয়ন কইল কলোনী গ্রামে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকের রানী বলে পরিচিত মোছাঃ মরিয়ম এর বসত বাড়ির শয়ন ঘরে বিছানায় বালিশের নিচে হইতে আসামী ১। মোছাঃ মরিয়ম(৫০), স্বামী মোঃ সেলিম ,থানা-দুপচাঁচিয়া, জেলা –বগুড়াকে একটি পলিথিনের ভিতরে মাদকদ্রব্য গাঁজা৫০০ গ্রাম সহ (৩১ মে) বুধবার রাত্রী ১২.৩০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করেন।এবং উক্ত আসামীর নিকট হতে প্রাপ্ত আলামত গুলি সাক্ষীদের সম্মুখে জব্দ করেন।
উল্লেখিত ঘটনায় এসআই (নিঃ) মোঃ সুজাদ্দৌলা সরকার ওই রাতেই বাদী হয়ে এজাহার দায়ে করলে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মোছাঃ মরিয়ম(৫০) এর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
ওই রাতেই একই স্থানে ওপর আরেকটি অভিযান চালিয়ে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ (৩১ মে) বুধবার রাত্রী ১২:৫০ ঘটিকায় তিন জনকে গ্রেফতার করেন। দুপচাঁচিয়া থানা সূত্রে জানা যায় এসআই (নিঃ) মোঃ রাসেল আহম্মেদ সরকার দুপচাঁচিয়া থানা, বগুড়া সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় দুপচাঁচিয়া থানাধীন তালোড়া ইউনিয়ন এর কইল কলোনী গ্রামে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মাদকের রানী মোছাঃ মরিয়ম এর বসত বাড়ির শয়ন ঘর হইতে আসামী ১। মোঃ ফাহিনুর ইসলাম প্রাং ওরফে ফাইন(৩৯), পিতা-মোঃ আকবর আলী প্রাং, সাং-টেমা, ২। মোঃ আতিকুজ্জামান সোহাগ(৩২), পিতা-মোঃ আকরাম হোসেন, সাং-মাটাই পশ্চিমপাড়া, ৩। মোঃ মুরাদ হোসেন(২০), পিতা-মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সাং-আটগ্রাম দিঘীরপাড়া, সকলের থানা-দুপচাচিয়া, জেলা-বগুড়াগনকে গ্রেফতার করেন। এবং তাদের কাছে থাকা একটি পলিথিনের ভিতর থেকে (৫০+৪০+১০)=১০০ (একশত) পিচ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য Tapentadol Tablets উদ্ধার করেন। উক্ত আসামীর নিকট হতে প্রাপ্ত আলামত গুলি সাক্ষীদের সম্মুখে জব্দ করেন।
উল্লেখিত ঘটনায় এসআই(নিঃ) মোঃ রাসেল আহম্মেদ ওই রাতেই বাদী হয়ে এজাহার দায়ে করলে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে উক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
ওই রাতেই (৩১মে) বুধবার অপর আরেকটি অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র সহ মোঃ রাসেল আহমেদ নামে এক জনকে গ্রেফতার করেন। থানা সূত্রে জানা যায় এসআই(নিঃ)মোঃ এরশাদ আলী দুপচাঁচিয়া থানা বগুড়া সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় দুপচাঁচিয়া থানা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা কালে দুপচাঁচিয়া থানাধীন তারাজুন পূর্বপাড়া গ্রামস্থ জনৈক মোঃ আব্দুল গাফ্ফার(৭১) এর বসত বাড়ির পিছনে তারাজুন পূর্বপাড়া হইতে তারাজুন নতুনপাড়া গামী ইট বিছানো রাস্তার উপর থেকে ১। মোঃ রাসেল আহম্মেদ(২৩), পিতা-মৃত আব্দুস সোবাহান, সাং-তারাজুন পূর্বপাড়া, থানা-দুপচাঁচিয়া, জেলা-বগুড়াকে গ্রেফতার করেন। এবং আসামীর নিজ হেফাজত থেকে একটি অত্যাধুনিক সিলভার রংয়ের স্টিলের তৈরি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করেন।এবং উক্ত আসামীদের নিকট হতে প্রাপ্ত আলামত সাক্ষীদের সম্মুখে জব্দ করেন।
উল্লেখিত ঘটনায় এসআই(নিঃ)মোঃ এরশাদ আলী ওই রাতেই বাদী হয়ে এজাহার দায়ে করলে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে আসামী ১। মোঃ রাসেল আহম্মেদ(২৩) এর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ অপর আরেকটি অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করায় একজন ও আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ আমজাদ হোসেন, পিতা মৃত রমজান আলী, সাং বলদাহার, থানা দুপচাঁচিয়া, জেলা বগুড়াকে ঢাকায় সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন। দুপচাঁচিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল কালাম আজাদ সকল আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে (৩১ মে) বুধবার বগুড়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।