বিবাহিত ছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী হলগুলোতে থাকতে পারবেন না-এমন নিয়মের অবসান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের একাংশ। এ সময় ওই নিয়মের অবসানসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান শামসুন নাহার হল সংসদের সাবেক ভিপি শেখ তাসনীম আফরোজ।
তিনি বলেন,বিবাহিত হওয়া কি অপরাধ? বিবাহিত স্ট্যাটাসের সঙ্গে হলে বা থাকতে না দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা বা কারণ আমাদের কাছে নেই। একজন ছাত্রী বিবাহিত নাকি অবিবাহিত,তা দেখে কেন হলে সিট বরাদ্দ হবে,যেখানে তিনি মেধা অনুযায়ী বৈধ সিট পান? হলে সিট পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ ছাত্রীদের অধিকার। একজন বিবাহিত ছাত্রীর হলে থাকা যদি অপরাধ হয়ে থাকে,তাহলে হলের আবাসিক শিক্ষক ও প্রাধ্যক্ষদেরও অবিবাহিত হতে হবে,বিবাহিত হলে তাঁরা কোয়ার্টারে থাকতে পারবেন না। তাঁদের স্বামী কী দায়িত্ব নিতে পারেন না?
তিনি অভিযোগ করে বলেন,হল সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কোনো কথাই শুনতে চাইছে না হল প্রশাসন। অথচ পাঁচ বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া ছাত্রলীগের হল কমিটির নেতারা এখনও হলে থাকেন। দ্বিচারিতা করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি আমরা আর সহ্য করব না। দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব আমরা।
সংবাদ সম্মেলনে যে চারটি দাবি তুলে ধরা হয় সেগুলো হলো-
১. বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকার যে বিধি-নিষেধ এবং তাদের জন্য প্রচলিত যে নিয়ম তা বাতিল করতে হবে।
২. শিক্ষার্থীদের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মর্যাদা রক্ষার্থে সকল ছাত্রী হলে ‘লোকাল গার্ডিয়ান’বা‘স্থানীয় অভিভাবকের’পরিবর্তে ‘ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট’ বা ‘জরুরি যোগাযোগ’শব্দটি রাখতে হবে।
৩. আবাসিক শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্বারা যেকোনো ধরনের হয়রানি এবং অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধ করতে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা সাপেক্ষে অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অধিকার পুনর্বহাল করতে হবে এবং জরুরি প্রয়োজনে তাদেরকে হলে অবস্থান করতে দিতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিশমা,সুফিয়া কামাল হল সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শারমিন,সুফিয়া কামাল হল সংসদের সাবেক পাঠকক্ষ সম্পাদক অর্পিতা প্রমুখ।