ওবায়দুর রহমান,বিভাগীয় ব্যুরো চীফ খুলনা।
মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউপির মনিরামপুরে দ্বিতীয় দফা হামলায় আতর মোল্যা( ৪২) একজন নিহত হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়,মানিরামপুরে গতকাল ২৯/০৩/২৩ তারিখে আঃলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়,এই সংঘর্ষের খবর শুনে আতরের বাড়ীতে অত্মীয়রা দেখতে আসে,বাড়ীতে সবজি নেই দেখে আজ শুক্রবার ৩০/০৩/২৩ তারিখ বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ইয়ার আলী গ্রুপের আতর মাঠে বেগুন তুলতে যায়।আতরকে একা পেয়ে রব্বানী শেখ গ্রুপের লোকজন তার উপরে হামলা চালায়,এতে সে মারাত্মক জখম হলে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দ্রুত নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কৃষ্ণ দাস বিশ্বাস তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন, আতর আলী ঐ গ্রামের সালাম মোল্যার ছেলে,সে দীর্ঘদিন সৌদি আরব থেকে দেড় বছরের হলো বাড়ী এসেছে।
এর আগে গত২৮/০৩/২৩ইং তারিখ বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউপির মনিরামপুর গ্রামে ইউনিয়ন সেচ্চাসেব লীগের সভাপতি ইয়ার আলী গ্রুপের শহিদুল ফকির ও ২নং ওয়ার্ড আঃলীগের সভাপতি রব্বানী শেখ গ্রুপের কাশেম ফকিরের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।সম্প্রতি ঐ জমি মাপাকে কেন্দ্র করে বিরোধ চরম পর্যায় ধারণ করলে শুক্রবার বিকালে ইয়ার আলী গ্রুপের হেমায়েত ধান ছাঁটাই করে বাড়ী ফেরার পথে রব্বানী গ্রুপের কয়েকজন তারা উপরে হামলা চালায়।এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, এসময়
ইয়ার গ্রুপের আকিদুল (২০)আশরাফুল(৩৮)হাবিবুল্লাহ (৩৮)হুসাইন মোল্যা(২৪)সীমা খাতুন(২৭)সাইফুল্লাহ (৫৫)হেমায়েত মোল্যা(২৯)আমিনুর(৩০)সাহেব আলী(৩৫)শামীম মোল্যা(৩২) রব্বানী গ্রুপের সাহের ফকির(৪৪)কাশেম ফকির(৪২) নুর ইসলাম(২৮)লিমন(২৬)কাশেম ফকিরে মা বউসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে, আহতদের মধ্যে ১২ জন মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, বাকিদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়,এসময় বেশ কয়েকটি বাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটে,আতর আলীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বেশ কিছু লোকজন মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাঁসপাতাল জড়ো হলে পুলিশ তাদের কয়েকদফা তাড়িয়ে দেয়,এবং নিহতের চাচাতো ভাই সবুজসহ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।