রাজশাহীতে হঠাৎ করেই কেজিপ্রতি ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। সরকার ১৯০ টাকা দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরেও ব্রয়লার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা।

এদিকে সব ধরনের মাছেরও দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এমন অবস্থায় রাজশাহী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষে শুক্রবার কোনো অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

শুক্রবার মহানগরীর সাহেববাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। এছাড়া সোনালি মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০, লেয়ার ৩০০ ও দেশি মুরগি ৫৭০ টাকায়। খাসির মাংস ১১০০ এবং গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি।

ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। আর বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। এছাড়া বড় পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। এক কেজির আশপাশের ওজনের মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, সিলভার কাপ ১৬০ টাকা কেজি, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০, টেংরা ৫৫০ থেকে ৬০০, শিং মাছ ৫০০, তেলাপিয়া ১৬০, বড় চিংড়ি ১০০০, বাঁশপাতা মাছ ১৪০০, বাতাসি ১২০০ এবং ছোট চিংড়ি ১০০০ টাকা কেজি।

মাছ ব্যবসায়ী আইনুল ও নাসিম জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকার ভেদে মাছের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। ছোট চিংড়ি ছিল ৮০০ টাকা, শুক্রবার তা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার টাকায়। নদীর মাছের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এমন অবস্থায় মাছের বাজারে ক্রেতা কম বলে জানিয়েছেন দুজন মাছ ব্যবসায়ী।

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির দাম। তবে শসা ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়। আলু বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৩০, আদা ১৪০, রসুন ১০০ থেকে ১৫০, কাঁচামরিচ ৮০, বেগুন ৫০, করলা ৮০, ঢেঁরস ৮০, সজনা ৮০, পটল ৭০ টাকা কেজি, লাউ ৪০ টাকা পিস এবং টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি।

বাজার করতে আসা আফজাল হোসেন বলেন, কদিন আগেই সরকার ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিল ১৯০ টাকা। দুদিনের ব্যবধানে শুক্রবার বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। প্রকাশ্যে এমন অনিয়ম হলেও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না বাজার তদারককারী প্রশাসনকে।

একই অভিযোগ করে শফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবারে বাজারে ভোক্তা অধিকারের দেখা মেলে না। অথচ প্রত্যেক সপ্তাহে বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয় এই শুক্রবারেই।

মুরগি ব্যবসায়ী সালাম বলেন, খাবারের দাম ও বাচ্চার দাম বাড়ার কারণে ফার্মের মালিকরা মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফার্ম থেকেই খুচরা ব্যবসায়ীরা কিনছেন ১৯০ টাকা কেজিতে। এ কারণে খুচরা ব্যবসায়ীদের বেশি দামে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে।

রাজশাহী বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, সরকার ব্রয়লার মুরগির দাম ১৯০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। দাম বেশি রাখার সুযোগ নেই। আমাদের একটি টিম বাজারে রয়েছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তবে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সাহেববাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কোনো অভিযানিক টিমের দেখা মেলেনি।