সোহেল রানা রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান
আজ ২০মার্চ সোমবার। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) এর ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত বেলাল হোসেন চতুর্থতম মৃত্যুবার্ষিকী । জীবিত থাকাকালিন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে সবসময় একজন দলের নিবেদিতপ্রাণ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি দুঃসাহসী নাম ছিলো বেলাল হোসেনের। কিন্তু তার মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের কোন নেতা তার পরিবারের কোন খোঁজ রাখেনি। ফলে এই আওয়ামী লীগের তাগী পরিবাররা নিজেকে অসহায় মনে করে ভেঙ্গে পড়েছেন।
এদিকে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বলতে চাই, তাঁরা ( প্রয়াত নেতারা ) দেশ, জনগণ ও দলের জন্য কীভাবে আত্মত্যাগ করেছেন, তা থেকে আপনারা শিক্ষা গ্রহণ করুন। তাহলে দল আরও এগিয়ে যাবে। এসব নিবেদিতপ্রাণ নেতার আত্মা শান্তি পাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারা মৃত্যুবরণ পড়ে সঙ্গে তার পরিবারকে ও তাদের সন্তানদের কোন খোঁজ খবর রাখে না এতে ভবিষ্যৎ আওয়ামী লীগ তাগী পরিবাররা নিজেকে অসহায় মনে করেন। এসকল নেতা কর্মীদের খোঁজ খবর রাখার জন্য তিনি দেশের সকল নেতাকর্মীদের নির্দেশও দিয়েছেন।
বেলাল হোসেন অসুস্থ্য থাকাকালিন সময়ে তার খোজ নিয়েছিলেন রসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এক সময়ের ত্যাগী নেতাদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রয়াত বেলাল হোসেন রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি দুঃসাহসী নাম। যিনি কোনো অন্যায়ের সঙ্গে কখনোই আপস করেননি। তার জীবনাদর্শ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের জন্য অনুকরণীয়।
তারা বলেন, যখন আওয়ামী লীগ করতে মানুষ ভয় করতো সেসময় তিনি আওয়ামী লীগ এর জন্য অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পড়ে তার পরিবার ও সন্তানদের রাজশাহীর নেতারা কোন খোঁজ খবর রাখে না এমনকি তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার পরিবারের খোঁজটাও নেই না দলের বর্তমান নেতাকর্মীরা। যা দলের কাছে কাম্য নয়।
প্রয়াত বেলাল হোসেনের স্ত্রী ও সন্তানরা সংবাদ ২৪ ঘন্টাকে জানাই, পরিবারের উপার্জনের একমাত্র ভরসা ছিলেন প্রয়াত বেলাল হোসেন। তিনি সবসময় আওয়ামী লীগের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন ।তার মৃত্যুর পরে আমাদের পরিবারের দেখার কেউ নাই। তার মৃত্যুর পরে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছিল দলের পক্ষ থেকে আমার একমাত্র ছেলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিবে। কোথায় ব্যবস্থা? বেলাল হোসেন প্রয়াত হওয়া ৪ বছর হয়ে গেলেও এখনো কোন ব্যবস্থা হয়নি। খোঁজ নেয়নি দলের নেতাকর্মীরাও। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রসিক) মেয়র জনাব এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন মহোদয় এর কাছে প্রয়াত আ.লীগ নেতা বেলাল হোসেনের একমাত্র ছেলের একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়ার অনুরোধ জানান প্রয়াত বেলাল হোসেনের স্ত্রী।