বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গাইবান্ধার পলাশবা‌ড়ি‌তে মিথ্যা অপপ্রচা‌রের প্রতিবা‌দে এক সংবাদ স‌ম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে নওগাঁর রাণীনগরে তীব্র গরমে এমপি সুমনের নির্দেশে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয় নওগাঁয় একুশে পরিষদের উদ্যোগে ১৯৭১ সালে অসহায় শরণার্থীদের দুর্ভোগ রোট টু বালুঘাট কালাই উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত কিংবদন্তি বাঙালি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবস “””””””রসায়নবিদ জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন আজ স্বনামধন্যা সুরসম্রাজ্ঞী অন্নপূর্ণা দেবীর জন্মদিন আজ মধুপুরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট স্থগিত ঘোষণা নওগাঁর মহাদেবপুরে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশীর হামলায় স্বামী ও স্ত্রীসহ ৪ জন আহত নওগাঁয় স্ত্রীহত্যার মামলায় স্বামী সালাউদ্দিনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত নওগাঁ আসিফ মেহেনাজ নামে এক কলেজ ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা তীব্র দাবদাহে সারাদেশের মতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নওগাঁর জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর ও সর্দিজনিত রোগী। আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ দুপচাঁচিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এক যুবকের কারাদন্ড দুপচাঁচিয়ায় হেরোইন সহ যুবক গ্রেফতার চাটরা স্টুডেন্টস ফোরাম আলোকিত মানুষ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে বার্ষিক কুইজ বিজয়ী ও উত্তীর্ণদের পুরস্কার বিতরণ সচেতন বার্তা প্রদানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা — মনোহরদীতে জমি সংক্রান্ত জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত-০২ ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠি হাতীবান্ধায় গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা আটক গ্রাম পুলিশকে জেলহাজতে প্রেরন

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতি স্থগিত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
  • ৫৭ বার পঠিত

সোহেল রানা রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো

প্রধান রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ১৫ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল অবৈধভাবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তাদের এই পদোন্নতির আদেশ স্থগিত করেছে। এছাড়া পদোন্নতির পর এ পর্যন্ত তাদের গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ৫ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব আক্তার উননেছা শিউলী এক চিঠিতে প্রথমে ছয়জন কর্মকর্তার পদোন্নতি স্থগিত করে তাদের উত্তোলিত অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে ১৯ মার্চ আরও নয়জনের ব্যাপারে একই নির্দেশনা দিয়ে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। এই চিঠি সোমবার পেয়েছেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডেও চেয়ারম্যান ও সচিব।

এর আগে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক তদন্তে রাজশাহী বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতিতে গুরুতর অসঙ্গতির অভিযোগ উঠে আসে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আলাদা দুই চিঠি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে সরেজমিন অভিযোগ তদন্ত করেছেন।

তদন্ত কমিটিতে ছিলেন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর, শিক্ষা পরিদর্শক আজিজুর রহমান, মনকিউল হাসনাত, হেমায়েত উদ্দীন এবং অডিট কর্মকর্তা চন্দন কুমার দেব। গত বছরের জানুয়ারিতে এই কমিটি দুদক ও মাউশিতে এ প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে এই ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতি স্থগিত ও গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পরে পদোন্নতি স্থগিত ও গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক দুই চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও অধ্যাপক ড. মোকবুল হোসেনের কার্যকালে পদোন্নতির এসব অনিয়ম ঘটে। দু’দফায় ১৫ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিতে নানা অনিয়ম করেন তারা। বোর্ডের সিলেকশন কমিটিও নিয়ম না মেনে তাদের পদোন্নতির সুপারিশ করেছিল বলে তদন্তে উঠে আসে।

২০১৭ সালে প্রথমে নয়জন সপ্তম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি পান। এরা হলেন- উপ-কলেজ পরিদর্শক নেসার উদ্দিন আহমেদ, উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মানিক চন্দ্র সেন, সাবেক উপ-সচিব (প্রশাসন) ওয়ালিদ হোসেন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ ও রেকর্ডস) মঞ্জুর রহমান খান, ক্রীড়া কর্মকর্তা লিটন সরকার, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, অডিট কর্মকর্তা সেলিনা পারভীন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) জাহিদুর রহমান ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উমা) হোসনে আরা আরজু।

এদের পদোন্নতি দিতে সিলেকশন কমিটি ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল শুক্রবার বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষে ৪৮ জন উপযুক্ত কর্মকর্তার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে। কমিটির সভাপতি ছিলেন বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। ৪৮ জনের মধ্যে কমিটি নয়জনকে পদোন্নতির সুপারিশ করলে ২০১৭ সালের ৯ জুলাই তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।

কর্মকর্তাদের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। শুধু মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে নয়জনের পদোন্নতির তালিকাটি চূড়ান্ত করা হয়। ওই মেধাতালিকা থেকে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান মোকবুল হোসেন আরও ছয়জনকে পঞ্চম গ্রেডে পদোন্নতি দেন বিধি লঙ্ঘন করে।

তারা হলেন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (জেএসসি) ফরিদ হাসান, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (স্ক্রিপ্ট) রুবী, উপ-সচিব (ভান্ডার) দুরুল হোদা, উপ-সচিব (প্রটোকল) খোরশেদ আলম, উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক (রেজি) মো. নুরুজ্জামান ও লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন ডকুমেন্টেশন কর্মকর্তা সুলতানা শারমিন আক্তার। প্রথমে বিতর্কিত ওই মেধাতালিকা থেকে ১ থেকে ৯ নম্বর ক্রমিকের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হলেও দ্বিতীয় পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই ক্রমিকও অনুসরণ করা হয়নি। দ্বিতীয় দফায় পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল ক্রমিকের ১২, ১৩, ২০, ২১, ২৫ ও ৩৮ নম্বরে থাকা কর্মকর্তাকে।

এই ছয়জনের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে শিক্ষা বোর্ডকে বলা হয়েছে, এদের পদোন্নতির আদেশ স্থগিত করে তার প্রমাণ মন্ত্রণালয়ের এই বিভাগে পাঠাতে হবে। পদোন্নতি পাওয়ার পরে এই কর্মকর্তারা পঞ্চম গ্রেডে বেতন গ্রহণ করে থাকলে গৃহীত অতিরিক্ত অর্থ তাদের কাছ থেকে আদায় করে শিক্ষা বোর্ডের কোষাগারে জমা করতে হবে।

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক যে পদক্ষেপ সেটা আমরা গ্রহণ করব। সরকারি নির্দেশ কার্যকরে কোনো অবহেলার সুযোগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150