বিশেষ প্রতিনিধি : গ্রামীণ রাস্তার বিষয়ে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশের পল্লী অঞ্চলে অনেক রাস্তা ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে, আর কত রাস্তা তৈরি করতে হবে এবং কোন কোন সংস্থা কোন কোন রাস্তা তৈরি করবে এসবের বিস্তারিত থাকতে হবে ওই মাস্টারপ্ল্যান।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। একনেক শেষে ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল আসলাম।
তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প : বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মাস্টারপ্লান তৈরির নির্দেশ দেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে এই মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে বলেছেন তিনি। এর ফলে সমন্বিতভাবে পল্লী অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট উন্নয়ন সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, গ্রামীণ অবকাঠামোর অনেক কাজ চলছে। কিন্তু সেগুলো সত্যিকারভাবে হচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে। এসব রাস্তা মানসম্মতভাবে করতে হবে। রাস্তায় যাতে পানি জমে না থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া রাস্তায় ব্যবহৃত বিটুমিনের মানও নিশ্চিত করতে হবে।
নদী ভাঙন প্রতিরোধের অন্যতম কৌশল হতে হবে নদীর প্রধান চ্যানেল খোলা রাখা। প্রয়োজনে ক্যাপিটাল ড্রেজিং, নদীতে ডুবোচর থাকলে সেগুলো কেটে দিতে হবে। তাছাড়া বড় নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ছোট ছোট নদীগুলোর নিয়মিত মেইনটেনেন্স এবং খনন করতে হবে। বর্ষাকালে যাতে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখা যায় সেজন্য বাফার জোন তৈরি করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে পলি পড়া বন্ধ না হয়। কেননা পলিতো অনেক উপকারে আসে।
ঘূর্ণিঝড় আস্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়কসহ পাঁচ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৫০৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৪২৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা ৭৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয় করবে।
একেনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- যমুনা নদীর ডান তীরের ভাঙন হতে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলাধীন কাতলামারী ও সাঘাটা উপজেলা গোবিন্দ এবং হলদিয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্প; এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এছাড়াও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা; এটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০৫ কোটি টাকা। ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। খুলনা সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় হবে ৩৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মাণ প্রকল্পে ১০২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় বাড়িয়ে সংশোধনী অনুমোদন দেয়া হয়েছে।