ফেনী(সানাগাজী)প্রতিনিধিঃ- স্বপ্নেে আদেশ পেয়ে তরুণীকে বিয়ে করলেন ৬৩ বছর বয়সী ‘পীর’
বি এ পড়ুয়া ২৩ বছর যুবতীকে বিয়ে করেছেন ৬৩ বছর বয়সী জামশেদ আলম ওরফে ‘ফুল হুজুর’ নামের ফেনীর সোনাগাজীর কথিত এক ‘পীর’। স্বপ্নযোগে বিয়ের নির্দেশনা পেয়ে উভয় পরিবারের সম্মতিতে ১০ লাখ টাকা কাবিনে ঢাকার আদালত এলাকায় ফুল হুজুর তরিকার প্রধান দরবারে বড় আয়োজনে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সোনাগাজীতে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেগুলোতেও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
বিয়ের পর নবদম্পতি ঢাকায় অবস্থান করছেন। ওই ছাত্রীর বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায়। অপরদিকে, ফুল হুজুর বিশ্ব সুন্নি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম হায়াতের অনুসারী বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘ ৩ যুগেরও অধিক সময় ধরে সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের জামশেদ আলম ফতেহপুরী ওরফে ফুল হুজুর তার বাড়ির দরজায় একটি দরবার শরীফ খুলে বিভিন্ন ঝাড়-ফুঁকের তদবীর করে আসছেন। এ সুবাদে স্থানীয় নারী-পুরুষসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষের সঙ্গে তার পীর-মুরিদ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পাঁচ ভাই চার বোনের মধ্যে শুধু ফুল হুজুর ও তার দুই বোন জীবিত রয়েছেন। ২০০৪ সাল থেকে তার দরবারের পাশাপাশি তার নামে ওপর একটি নূরানি মাদ্রাসাও পরিচালনা করে আসছেন। প্রতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি বড় আয়োজনে পালন করা বার্ষিক ওরশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তার ভক্ত-আশেকানদের আগমন ঘটে।
ফুল হুজুরের অর্থায়নে পরিচালিত নূরানি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে ফুল হুজুরের সম্পর্কের কারণে সে হুজুরকে বিয়ে করতে অনুপ্রাণিত হয়। এছাড়া হুজুরের ভক্ত-আশেকানদেরও বিয়ের জন্য চাপ ছিল। হুজুর স্বপ্নের মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার নির্দেশনা পেয়েছেন। তার বয়স-শারীরিক অসুস্থতার জন্যও বিয়ে করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি জানান, ওই ছাত্রী ফেনী জিয়া মহিলা কলেজে অনার্সে অধ্যয়নরত। হুজুরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সে স্বেচ্ছায় পরিবারের অভিভাবকদের সম্মতিতে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে।
নাতনি ও তার পরিবারের সদস্যরা ফুল হুজুরের বিয়ে দিতে পেরে খুশি জানিয়ে ওই ছাত্রীর নানা নুর করিম জানান, হুজুরের সাথে নাতনির বিয়েতে রাষ্ট্রীয় অথবা ধর্মীয় আইনের কোনো বাধ হয়ে দাঁড়ায়নি ।
এদিকে, বিয়ের ব্যাপারে ও দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বিয়ে না করা প্রসঙ্গে জানার জন্য একাধিকবার ফুল হুজুরের মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।