সুশান্ত মালাকার দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ=

বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলা তালোড়া ইউনিয়নের কইল গ্রামে বাসন্তীপূজা পালিত হয়েছে। এই বছরে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাসন্তী পূজা।গত সোমবার ২৭ মার্চ মহাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
আগামী ৩১ শে মার্চ শুক্রবার বিজয়া দশমী দেবী দুর্গা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাসন্তী পূজা। বাসন্তী পূজা উপলক্ষে পূজামণ্ডপে নানান ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়েছে।
কইল গ্রামে দুইটি সার্বজনীন পূজা মন্ডবে বাসন্তী পূজা দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।হিন্দু শাস্ত্রানুযায়ী জানা যায়, চৈত্র মাসে হয় বাসন্তী পূজা। এটিও দুর্গাপূজার নামান্তর মাত্র । আশ্বিন ও চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষে দুর্গাপূজা করা হয়। আশ্বিন মাসের দুর্গাপূজা শারদীয়া দুর্গোৎসব এবং চৈত্র মাসের দুর্গাপূজা বাসন্তীপূজা নামে পরিচিত।
অশুভ শক্তির বিনাশের জন্য কালে কালে বহু মানুষ আদ্যাশক্তির আরাধনা করেছেন। রামায়ণ থেকে জানা যায়, রামচন্দ্র শরৎকালে অশুভ শক্তির বিনাশের উদ্দেশ্যে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। এটি ছিল অকালবোধন। আবার পুরাণ অনুযায়ী, চন্দ্র বংশীয় রাজা সুরথ এবং সমাধি বৈশ্য মিলে মেধস মুনির আশ্রমে বসন্তকালে দেবী দুর্গার পূজা করেন। যা বাসন্তী পূজা নামে প্রসিদ্ধ।
এ বিষয়ে দুপচাঁচিয়া উপজেলার কইল গ্রামের পূজা কমিটির লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান তাদের ব্যক্তিগত এমনকি বার্ষিক বাসন্তী পূজা এটা কোন সরকারের কোন অনুদান নাই নেই কোন প্রশাসনিক নজর বছরের পরে বছর পূর্ব পুরুষ থেকেই হয়ে আসছে এই বাসন্তী পূজা।তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছি ।যাতে এই পূজা মন্ডপে অনুদান পাওয়া যায়। এমনকি সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করছেন কইল বাসি। পূজা কমিটির সঙ্গে কথা বলে জানা যায় চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে অনুষ্ঠিত পূজাই হচ্ছে আদি দুর্গাপূজা। তবে বর্তমানে আশ্বিন মাসে শারদীয় দুর্গাপূজাই বেশি জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।