Cinn:দেশে বজ্রপাতে মৃত্যু ও আহতের ঘটনা গত কয়েক বছর ধরে বেড়েই চলেছে। চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমেও বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। গত দু’মাসে দেশে বজ্রপাতে ১৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এপ্রিল থেকে প্রায় প্রতিদিনই বজ্রপাতে হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে সিলেটে একদিনেই মারা গেছে ৯ জন। বজ্রপাতে প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে আহত হয়ে থাকেন। এ হিসাবে দেশে প্রতিবছর বজ্রপাতে আহত হওয়ার সংখ্যাটিও কম নয়।
জানা গেছে, বজ্রপাতে আহতরা স্থায়ীভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে যান। দেশে নিুবিত্তের মানুষই সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের শিকার হয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের প্রধান কর্মক্ষম ব্যক্তিটিই বজ্রপাতের শিকার হয়ে থাকেন। যেসব পরিবারের প্রধান কর্মক্ষম বক্তি বজ্রপাতের শিকার হন, সেসব পরিবারকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীতে বজ্রপাতে যত মানুষ মারা যায়, তার এক-চতুর্থাংশই বাংলাদেশের। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার হাওর, বাঁওড় ও বিলে অনেক মানুষ সারা দিন নানা রকম কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকে। প্রশ্ন হল, তাদের কতজন বজ্রপাত থেকে নিজেকে সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন?
অনেকে কালো মেঘ দেখা দিলে বিপদ জেনেও উন্মুক্ত স্থানে কাজে যেতে বাধ্য হয়। এ ক্ষেত্রে উন্মুক্ত স্থানে কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা যাতে বজ্রপাত থেকে নিজেদের সহজে রক্ষা করতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। বাসাবাড়িতেও বজ্রপাত থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা না নিলে সে ক্ষেত্রেও বিপদের আশঙ্কা থেকে যায়।
বজ্রপাত বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা পর্যাপ্ত তথ্য দিতে পারছেন না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে বজ্রপাত বৃদ্ধির একটি সম্পর্ক রয়েছে। এ অবস্থায় ব্যাপক হারে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই এ বিষয়ক হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।