বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আজ ভোটগ্রহণ শুরু, কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মদিন সিএমপি ইপিজেড থানার অভিযানে সিআর সাজা পরোয়ানাভুক্ত আসামী মঞ্জুর আলম,গ্রেফতার পল্লবীতে ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলাকারীরা আজও পলাতক কালাইয়ে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মিলনের বিজয়- টাঙ্গাইলের মধুপুরে ভোট দেয়া হলো না মাসুদের নওগাঁ জেলা প্রথম ধাপে আগামীকাল ৮ এই মে তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে নওগাঁ অভিযান চালিয়ে ৭৫ লিটার চোলাই মদসহ আজিজার রহমান নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার নওগাঁর নিয়ামতপুর গাছের গুড়ি বোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় একজন মোটরসাইকেল আরোহী মৃত্যু কিংবদন্তী কন্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীর প্রয়াণ দিবস গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মাংস ব্যবসায়ীদের ‘পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত  নওগাঁর মান্দায় বেসরকারি সিসিডিবির গ্রাজুয়েট ফোরামের দায়িত্ব হস্তান্তর নওগাঁর মান্দায় দীর্ঘ দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি সপ্তম শ্রেণী স্কুল ছাত্রী নওগাঁ গভীর নলকূপের সেচভাড়ার টাকা চাওয়ায় ড্রেনম্যানকে পিটিয়ে জখম দুপচাঁচিয়ায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হলেন অধ্যক্ষ রঞ্জন পাল দেওয়ানগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব আলহাজ্ব মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা সুরস্রস্টা রামতনু পান্ডে- তানসেন এর প্রয়াণ দিবস কালাই উপজেলা নির্বাচন: ত্রিমুখী লড়ায়ে কে হচ্ছেন চেয়ারম্যান? নওগাঁর চৌমাশিয়া বাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাধন নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু কালাই উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কলেজ) নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মান্নান

জাতির জীবনে আজ ভয়াল ২৫ শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসঃ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪
  • ১২ বার পঠিত
  • উজ্জ্বল কুমার সরকারঃ

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা মুছে দেয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট। এই অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়। অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সেই আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়। অপারেশন সার্চলাইট কিভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ‘১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।’ পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তাঁর কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট।
মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হল আরো ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। এরপর সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।’ পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয় , ‘১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।’
১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়া

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150